আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দেড় বছরে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৯ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। এর মধ্যে তিন জন বাদে বাকী সবাই খুন হয়েছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। গত চারদলীয় সরকারের শাসন আমলে একই সময়ে নিহত হয়েছিল একজন শিক্ষার্থী। ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পরে নিহত হওয়া ঐ শিক্ষার্থীর নাম সাবেকুন নাহার সনি।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শুধু নিজেদের ছয় শিক্ষার্থীকে খুন নয়, ছাত্রলীগ গত দেড় বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় ১২৭টি সংঘর্ষ করেছে। উল্লেখযোগ্য প্রায় ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ এই সংঘর্ষ ঘটিয়েছে। এদের মধ্যে ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসে আহত হয়েছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগ সৃষ্ট এই সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, চট্টগ্রাম ভেটেনারি বিশ্ববিদ্যালয় মোট ২৮৭ দিন বন্ধ থাকে।
এই সময়ে ছাত্রলীগের বর্বরতার নানা চিত্রও মিডিয়াগুলো প্রকাশ করেছে। রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের কর্মীকে কোপানোর বিভৎস দৃশ্য প্রকাশ করেছে পত্রিকাগুলো। পিটিয়ে আহত করার পর চারতলা থেকে শিক্ষার্থীদের ফেলে দেয়ার পর মাটিতে তাদের নিথর পরে থাকার নারকীয় দৃশ্যও দেখা গেছে।
মানবিক বোধের সকল মানুষ এই নৃশংশতার নিন্দা জানিয়েছে।
কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ছাত্রলীগের উপাধী দিয়েছে 'রামদাবাদী জল্লাদ'।
অবাক ব্যাপার হলো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে নাকি কান্না কেঁদে কৃত্রিম দরদ দেখানো লেখক জাফর ইকবাল তার নিজের ছাত্র সংগঠনের এই কুকীর্তির ব্যাপারে সীমাহীন নিরবতা দেখিয়েছে।
মানবতার কথা বলে বলে মুখে ফেনা তোলা শাহরিয়ার কবির ছাত্রলীগের এই পাশবিকতার ব্যাপারে নির্বিকার থেকেছে।
নির্বিকার থেকেছে গাফফার চৌধুরী, মুনতাসির মামুন, কবির চৌধুরীসহ মিডিয়ায় অন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে সর্বদা সোচ্চার দাস বুদ্ধিজীবীরা।
ইরোটিক তানিয়া আমিরেরও এ বিষয়ে কোন মানবিক উচ্চারণ চোখে পড়েনি।
কথিত মানবতাবাদী, নিজেদের প্রগতিশীল দাবী করা এই মানুষগুলোকে আর সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মনে হয় না। তাদের প্রত্যেককে মনে হয় এক একটা ক্লাউন। তাদের খুব ঘৃণা করতে ইচ্ছা করে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






