-আচ্ছা রিফাত মানুষ চেনার সহজ উপায় কি?
-মানুষ চেনার আবার সহজ উপায় আছে নাকি?মানুষ চিনতে হবে কঠিন উপায়ে।
-খুব তোমার কঠিন উপায় তাই না?আমাকে কোন কঠিন উপায়ে চিনলে শুনি?
-তোমাকে চিনেছি কে বললো?প্রতিনিয়ত চেনার চেষ্টা করছি চিনতে পারছি না তো।তাতে আরও অবাক হচ্ছি,সারাজীবন শুনেছি মেয়েরা রহস্যময়ী।কিন্তু রহস্যর ভাণ্ডার যে এত গভীর সেটা তো তোমাকেই দেখে বুঝতে পারছি।
নীরা কুটকুট করে হাসে,মেয়েদের কুটকুট হাসিতে মানায় না তবে নীরাকে মানায়।সব হাসিতে মানায়।
-নীরা আমি জানি তুমি আমায় প্রচন্ড ভালোবাসো তবুও কি তোমার কখনও ফেসবুকে কোন সুদর্শন যুবক দেখলে কথা বলতে ইচ্ছে হয়?অথবা ফোনালাপ?
-হ্যাঁ সত্যি বলছি।ইচ্ছে হয়।
-কারণটা কি?ভালোবাসায় খাঁদ আছে বলে?
-একদম না।ভালোবাসায় খাঁদ নেই খাঁদ আসলে মানবসত্ত্বায়।তোমার ইচ্ছে হয় না?
রিফাত নিশ্চুপ।মুখরিত যুগলের কথোপকথন আচমকা থেমে যায়।তারা অন্যদিকে তাকিয়ে অনুশোচনা করে।এমনটা আসলে কেনো হয়?মানবসত্ত্বার খাঁদ ভরাট করার কোন উপায় কি আদৌ আছে?
সহজ স্বীকারোক্তি "নেই"।প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও সেখানে তৃতীয়পক্ষ আসবে।এই তৃতীয়পক্ষ প্রকৃতি নিজ হাতেই তৈরি করে দেয়।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা নীরা আর প্রত্যেকটা রিফাত একি সমস্যায় ভুগছে।এই সমস্যার সমাধান নেই।