পরদিন সকালে ঝুড়িতে রুটির বদলে মিলল হুমদো এক কালো বিড়াল। ডিমে তা দেয়ার ভঙ্গিতে আয়েশী বসে আছে। তা-এর জোরে আমাদের রুটিগুলো গরম পরোটা হয়ে গেল কিনা দেখতে হুমদো বাবাকে আলতো কোলে তুলে নিলাম। ঠিক তখনি চোখে পড়ল, আরে রুটির থলেটা তো আসলে দরজার হাতলে ঝোলানো আছে। বিড়াল ছেড়ে থলেটা হাতে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে রাখতেই মৌরি আপুর চিল চিৎকার, ‘অ্যাই, অ্যাই, ওটাকে সড়াও, ইইইইইকক্...!’। কোন ফাঁকে যে কালো বিড়াল ভালো মানুষ সেজে ঘরে ঢুকে পড়েছে অনাহূত মেহমান হয়ে। ব্যাপার দেখে নূর আর তাফসুও তারস্বরে হল্লা করে উঠলো। মুহূর্তেই তান্ডব বেঁধে গেল। মৌরি আপুর হাতে ডিম ভাজার খুন্তি। বিপদজনক অস্ত্র। এমন হাউকাউ দোজখে হানা দিয়ে বিলাই বেচারা পুরোই ভ্যাবাচ্যাকা। জল বেশি ঘোলা হবার আগেই খপ্ করে সেটাকে ধরে বারান্দায় নামিয়ে দরজার আগল তুলে দিলাম।
গ্যাঞ্জামটা শুরু না হতেই ফুরিয়ে গেল দেখে বাচ্চারা হতাশ হয়ে কাঁধ ঝুলিয়ে ঘুরতে লাগলো। মৌরি আপুও ঠান্ডা হয়ে খুন্তি নামিয়ে নাস্তায় মন দিলেন। হাঁকডাকে হাদি ভাই আর রুমিও চোখ ডলতে ডলতে টেবিলে এসে বসেছে। নাস্তার আয়োজন নেহাত কম না। বেকারির মচমচে রুটির সাথে ডিম ভাজা, মাখন আর ধোঁয়া ওঠা কাপে ব্ল্যাক কফি। হাদি ভাই কোত্থেকে এক কৌটা দামি মধু বের দিলেন। খানাখাদ্যের ব্যাপারে উনি খুব সৌখিন। আমার ধারনা, হাদি ভাইকে ঝাঁকাঝঁকি করলে ছোট ছোট শিশি-বোতল মিলবে। এই যেমন হট সস, অলিভ অয়েল, ক্যারামেল সিরাপ ইত্যাদি। আপাতত আমরা মধু ওপরেই মৌমাছির মত ঝাঁপিয়ে পড়লাম আর রুটির পিঠে ছড়িয়ে মুখে পুরতে লাগলাম গোগ্রাসে।
চটজলদি ব্রেকফাস্টের পাট চুকিয়ে বেড়িয়ে পড়েছি দল বেঁধে। গাড়ি করে বোপার্ড ট্রেনস্টেশনের কাছে। সেখান থেকে চড়ে বসবো হুন্সর্যুকবান নামের এক মজার রেলগাড়িতে। হুন্সর্যুক রেললাইনকে বলা হয় জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর ট্র্যাক। তাই আগ্রহ জমেছে মনে। তড়িঘড়ি টিকেটে কেটে স্টেশনের সামনে অলস দাঁড়িয়ে ইতিউতি চাইছি। হাতে সময় আছে খানিকটা। মেঘলা দিন। ঝেঁপে বৃষ্টি না নামলেই হল।
হঠাৎ পথের ধারে একটা ভাস্কর্য নজরে এল। ছানাপোনা হাতে এগিয়ে গেলাম। ওভারকোট চাপানো মোচওয়ালা রাশভারী এক ভদ্রলোক হালকা মেজাজে খেলছেন দুই শিশুর সাথে। কংক্রীটের বেদীতে খোদাই করা তার নাম, এঙ্গেলবের্ট হুম্পারডিঙ্ক- জার্মান কম্পোজার। আর বেদীর বাঁ পাশে ঝাঁপসা হরফে লেখা, ‘হান্সেল আর গ্রেটেল’। গ্রিম ভাইয়ের লেখা রুপকথার দুই চরিত্র। বাবা আর সৎ মা একদিন বনে ফেলে রেখে যায়। কেউ দয়া করে পোষ্য নিলে অভাবী বাবার দায়মুক্তি হয় আর ভালুকে খেয়ে ফেললে সৎ মায়ের ঝামেলা চুকে যায়। পথহারা ভাইবোন খিদে নিয়ে এসে দাঁড়ায় কেক-রুটি দিয়ে বানানো এক অদ্ভূত বাড়ির ফটকে। আর অমনি পড়ে ডাইনির খপ্পরে। বুড়ির ইচ্ছে খাইয়ে-দাইয়ে ভাই হান্সেলকে মোটাতাজা বানিয়ে চুলোয় চড়িয়ে রেঁধে খাবে। কিন্তু বোন গ্রেটেলের ধাক্কায় একদিন চুলোয় পড়ে বুড়ির নিজেরই ভবলীলা সাঙ্গ। তারপর বুড়ির লুকানো মনি-মুক্তা নিয়ে ভাইবোন ফিরে যায় গরীব বাবার কাছে। এই গল্প দিয়েই এঙ্গেলবের্ট এক ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় লিখলেন তার বিখ্যাত অপেরা ‘হান্সেল আর গ্রেটেল’। গ্রিম ভাইদের রুপকথা নতুন প্রান পেল এঙ্গেলবের্টের সুরের দ্যোতনায়।
‘ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে, দৌড় দৌড় দৌড়...!’। মৌরি আপুর অস্থির ডাকে সম্বিত ফিরল। খেলায় মশগুল এঙ্গেলবের্টকে বিদায় জানিয়ে ঝেড়ে একটা দৌড় দিলাম ছানা দুটো হাতে পেঁচিয়ে। ‘আউ, আউ, লাগছে তো’ অভিযোগ পাত্তা দেয়ার সময় নেই এখন।
হুন্সর্যুকবান নামের দুই বগির ছোট্ট খেলনা রেলগাড়িটা ছেড়ে যাবার ঠিক পাঁচ সেকেন্ড আগে হুড়মুড়িয়ে ঢুকলাম সবাই। হাঁপাতে হাঁপাতে আসনে গা এলিয়ে দিলাম। পাশের সিটের গোমরামুখো বয়স্ক দম্পতি হতাশ মাথা নাড়লো, ‘এই বিদেশীগুলো আর তাদের ছাওপাও এখন হল্লা জুড়ে আরাম হারাম করে দেবে, উফ্!’। মনের ভাবটা পড়ে নিয়ে ইচ্ছে করে পিত্তি জ্বলানো হাসিতে হ্যালো জানালাম। বাচ্চাদেরকে ‘কি রে, কেমন লাগছে?’ বলে উসকে দেয়ার খুব ইচ্ছেটা চাপা দিয়ে দুষ্ট হেসে জানালার কাঁচে ডুব দিলাম।
পাহাড় এখানে সবুজে মোড়ানো। ঘন গাছের সারি হাত ধরাধরি করে আলিঙ্গনে দাঁড়িয়ে। সমতল ছেড়ে আমরা পাহাড় কেটে ওপরে উঠছি। বোপার্ড ছেড়ে এমেলহাউসেন পর্যন্ত যাবো আমরা প্রায় পনেরো কিলোমিটার পাড়ি বোপার্ডের এদিকটায় ট্রেন উঠে গেছে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটারের মত। দিয়ে। উনিশ শতকের শেষে শুরু হয় এই হুন্সর্যুক লাইনের কাজ। সে সময়ে বসে এত উঁচুতে রেললাইন বানানো দুঃসাহসই বটে। তবে জার্মান কারগরি বলে কথা। কোথাও সরু ব্রীজ দিয়ে লাইন চলে গেছে তো কোথাও আবার গ্র্যাভিটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোজা আকাশের পানে চলেছে এই রেলগাড়ি। আরে, হঠাৎ একটা হরিন দেখলাম মনে হল। রেলগাড়ির ঝিকঝিক শব্দে চমকে উঠে চকিতে মিলিয়ে গেল গহীনে।
এ পথ দিয়ে চমৎকার ট্রেইল চলে গেছে রেললাইনের সমান্তরালে। কেউ হাইকিংয়ে যেতে চাইলে মাঝের কোনো ষ্টেশনে নেমে যেতে পারে। নিয়মিত ম্যারাথন দৌড়ানো বেজায় ফিট হাদি ভাই একটু নড়েচড়ে শুধালো, ‘কি রুমি, ফেরার পথটা হাইকিং করে ফিরবে নাকি? জমবে কিন্তু’। হাইকিং পরিশ্রমের কাজ। দৌড়ঝাঁপের নাম শুনলে রুমি সাহেবের ‘ফ্যাকাল্টেটিভ হিয়ারিং’ শুরু হয়। মানে ‘ইচ্ছে শ্রবন’। কিছু কথা তখন সে ইচ্ছে করেই শোনে না। ‘অ্যাাঁ, হাদি ভাই, কিছু বললেন নাকি? শুনতে পাচ্ছি না তো’। হাদি ভাই আরো বারকয়েক একই প্রশ্নের একই জবাব পেয়ে খাপ্পা মেরে অফ্ গেলেন। কিন্তু যেই না মৌরি আপু লাঞ্চের কথা পাড়লেন, অমনি রুমির বন্ধ কান ফটাস্ খুলে গেল। দুম্ করে সে মতামত ঠুকে দিল, ‘মেঘলা দিনে গরমাগরম ইন্ডিনিয়ান বা তুর্কি খাবার হলে জমবে কিন্তু’।
এমেলহাউসেন ছুঁয়ে হুন্সর্যুকবান আমাদের বোপার্ডে ফিরিয়ে আনলো। রুমির সাধের ইন্ডিনিয়ান-তুর্কি ডিশ বাদ দিয়ে আমরা এক ভিয়েতনামী রেস্তোরাঁয় হানা দিলাম। স্যালমন সুশি, সয়াসসে স্টির-ফ্রাইড নুডুলস আর সুইট-সাওয়ার ফিশ সাবড়ে আবার বেড়িয়ে পড়লাম জবর একটা ঢেকুর তুলে। এখন গন্তব্য কেবল্-কার স্টেশন বরাবর।
কেবল্-কারের ‘কার’ অংশে ঘাপলা আছে। ভেবেছিলাম চারকোনা বাক্স মত হবে। ঢুকে হাত-পা ছড়িয়ে করে বসে থাকবো। এখন যে দেখছি দুইজনের বসার মত হুডখোলা নীলরঙা আসন আর তাতে নড়বড়ে হুড়কো। এর নামও ভিন্ন- জেসেলবান বা কেবল্-চেয়ার। এই বাহনে চেপে পাহাড়ের এমাথা-ওমাথা পাড়ি দেবার কথা ভাবতেই মাথা ঝিমঝিম করছে। মৌরি আপুর আবার উচ্চতা-ভীতি আছে। আমাদের ব্যাকপ্যাকগুলো জমা নিয়ে স্টেশনের বেঞ্চে চোখ বুজে জিরোতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। মা-ঘেঁষা নূর রয়ে গেল মা’র সাথেই।
হক্ মাওলা বলে ঝুলে পড়লাম জেসেলবান চেয়ারের হাতল ধরে। হুড়কো ভাল করে লাগানোর আগেই লোকটা জোরসে এক ঠেলা দিল হেইয়ো। ঠেলা খেয়ে ভয়ের চোটে কলিজাটা গলা ঠেলে বেড়িয়ে আসতে চাইল যেন। নিরুপায় এক ঢোক গিলে সেটাকে আবার পেটের ভেতর সুশী আর নুডুলসের কাছে পাঠিয়ে দিলাম। মৌরি আপুর সাথে রয়ে গেলেই ভাল হত বোধহয়। তাফসুটা ভয় পাচ্ছে না তো? হাদী ভাইয়ের সাথে বসেছে। মাঝ আকাশে ভ্যাক কান্না দিলে বিরাট বিপদ।
আশংকা ভুল প্রমান করে সামনে থেকে হল্লা ভেসে এল, ‘মা, দেখো আমরা কত উঁচুতে, কি দারুন, কি মজা’। এখন অতি আনন্দে সে উল্টে পড়ে না গেলেই হয়। হাদী ভাইয়েরও আনন্দ আর ধরে না। আবেগ মিশিয়ে রুমিকে আরেকবার প্রস্তাব দিলেন,’ওপাশে নেমে হাইকিং করে ফিরে যাই, কি বলো?’। রুমি কানের পর্দায় তালা মেরে পাল্টা শান্ত স্বরে প্রশ্ন ছুড়লো, ‘হ্যাঁ? কি বলেন? শুনি না তো। খুব বাতাস‘। এই মামদোবাজি হাদী ভাইয়ের ভাল লাগলো না। জেসেলবানের লোহার রড ধরে ঝাঁকি শুরু করলেন। আমাদের আসন প্রবল বেগে দুলে উঠল। কান্ড দেখে তাফসু মিয়া খিলখিলিয়ে হাসছে। বাবা-মার যে আত্মা শুকিয়ে খাক্, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই কোনো।
টিপির টিপির বৃষ্টি এসে লাগলো চোখে মুখে। মেঘের দেশটা এখন হাতের খুব নাগালে। কুয়াশার মত কি যেন ভেসে গেল পাশ দিয়ে। এক টুকরো মেঘ। ঝুম বৃষ্টি নামলে পালাবার পথ নেই। তাই হাত বাড়িয়ে টুপ-টাপ ফোঁটাগুলোকে আলতো ছুঁয়ে দিলাম। লক্করঝক্কর নীল কেবল্-চেয়ার মুহূর্তেই পাল্টে গেল ময়ূরকন্ঠী উড়ালপঙ্খীতে। হালকা ডানায় উড়ে চলছি যেন কোনো কল্পরাজ্যে। আর পাখির চোখে অবাক দেখছি তটিনী রাইনের সর্পিল গতি বাধাহীন।
মেঘের রাজ্যে মেঘ বিলাসের এই দুর্লভ দুপুরটাকে সযত্নে পুকেটে পুরে ফেললাম সবার অলক্ষ্যে।
আকাশ থেকে মর্ত্যের পাতালে নেমে এসেছি। রাইন পাড়ের পথঘাটও নদীর মতই আঁকাবাকা। আমরা এগলি-ওগলি ধরে এলোমেলো হাঁটছি ছন্নছাড়া। আজ বিকালে আর তাড়া নেই। ফিরতি পথে তাই খোলা হাওয়া টেনে নিচ্ছি বুক ভরে। দুইপাশের বাড়িগুলো সেকেলে আদলের। নানা নকশার আঁকিবুঁকি তাদের বুকে-পিঠে। ইটরঙা বাড়ির পাল্লাকে রুইতনের তাস বলে ভুল হতে চায়। আবার কোনো দেয়ালে সোনালী তুলির জমকালো ছোঁয়া। কোনো বাড়ির মিনার জাদুর টুপির মত খুব চোঁখা। তবে সব দালানেই খোঁদাই করা তার জন্মকাল। আন্নো ১৭৮৭, আন্নো ১৭০২ ইত্যাদি। ল্যাটিন 'আন্নো' মানে সাল বা বছর। এমন তিনশো বছরের পুরানো একটা বাড়ি কিনতে পারলে মন্দ হত না। সাথে দুয়েকটা ভূত জুটে যেত ফাও ফাও। ভূতকে তার পেত্নী সমেত শান্তিতে থাকতে দিয়ে এক কাপ চাপ আর প্রিয় বই নিয়ে বসে যেতাম রুইতন জানালা খুলে। নদীর জলে-হাওয়ায় বিকেলগুলো উড়ে যেত গল্পে কবিতায়। খালি রাতের বেলা ভূতের ছাওগুলো কার্নিশ থেকে নেমে এসে মিহি স্বরে চিঁ চিঁ ডাক ছাড়লে সামান্য ভয় লাগতো আর কি।
সূর্য ডুবিয়ে আমাদের লাল গাড়ি আর কালো গাড়ি ফিরে এল খামারবাড়িতে। কালো বিড়াল ডিনার রেখে গেছে পাপোষের ওপর। নধর একটা মরা ইঁদুর। সকালের কান্ডে বেচারা বোধহয় অনুতাপে পড়ে এই উপহার নিয়ে এসেছে। শিকারের পাশে তাকে পাহারায় ঠায় দাঁড়িয়ে তাই তো মনে হল। তাছাড়া রক্তমাখা, ঘাড় মটকানো ইঁদুর দেখে বিহ্বল মৌরি আপু কাঁদবেন না চ্যাঁচাবেন বুঝতে পারছেন না। কি আর করা। হাদী ভাইয়ের লুকানো দামী অলিভ অয়েলে মচমচে ইঁদুর ভেজে উঠানোর ইচ্ছেটা বাদ দিতে হল। তাছাড়া এক পিসে কারো পেট ভরবে না। তাই হাঁটু গেড়ে বিলাই মশাইকে বিড়ালীয় ভাষায় বলতে হল, ‘মিঁউ ম্যাও, ইঁউ ন্যাও’। বেচারা আহত চোখে উপহার মুখে তুলে নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে উধাও হয়ে গেল।
রাতের খাদ্যপর্ব অল্পের ভেতর চুকিয়ে বারান্দায় এসে জমলাম সবাই। আকাশে মেঘ সরে তারা ফুটেছে ঝিকিমিকি। আধখানা চাঁদের আলোয় চারিদিক বড্ড মায়াবী। শুধু কাছে কোথাও ঝিঁ ঝিঁ ডাকছে একটানা। গল্পে না মেতে আমরা নিঝুম পাহাড়ের নৈবেদ্য শুনতে লাগলাম কান পেতে। আর রাত পেরোলেই রওনা দেবো আরেক সুরের খোঁজে। রাইনের এলোকেশী লোরালাইয়ের সন্ধানে। (চলবে)
রাইনপাড়ে বাড়িগুলোর দেয়ালে বিচিত্র অলঙ্করণ
রূপকথার হান্সেল আর গ্রেটেল-এর সাথে খেলায় মশগুল বিখ্যাত জার্মান কম্পোজার এঙ্গেলবের্ট হুম্পারডিঙ্ক
হান্সরুক ট্রেন থেকে পাহাড় আর সবুজ
ট্রেনের উৎসুক দুই যাত্রী
হান্সরুক ট্রেনের জানালায়
এই রেস্তোরাঁ অটল দাঁড়িয়ে সেই ১৭৬২ সাল থেকে
রাইনের এই ঘাটের নাম আছে ইউনেস্কোর দর্শনীয় স্থানের তালিকায়
কেবল্ চেয়ারে চড়ে মেঘবিলাস। ছবিতে বিন্দু হয়ে আসা হাদি ভাই আর তার সঙ্গী তাফসু
রাইন নদীর অপরূপ রূপ
রাইনের পাড়ে প্রাচীন বাহারি দালান খোঁদাই তার স্থাপত্যকাল, 'আন্নো ১৭৮৭'। ইতালি 'আন্নো' মানে সাল বা বছর।
জেসেলবান বা কেবল্ চেয়ার-এর স্টেশন
বাম থেকে হলুদ লাল নূর, তাফসু আর বেগুনী কমলা মৌরি আপু আর লেখিকা পাখির চোখে রাইনের শ্যামলছায়া