somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভয়ঙ্কর মূহুর্ত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কয়েকটা মাস হলো নিউ ইয়র্কে বসবাস করছি। যেকানে কাজ করি সেখান থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা-১২টা বেজে যায়। বেশীরভাগ সময় আমি হেটে হেটেই বাসায় আসি। কারণ বাসে উঠলেই ২.৭৫ ডলার খরচ হয়। এখানে বাসের সিস্টেমটাই এরকম। নির্দিষ্ট বাস নির্দিষ্ট জায়গায় যাবে। এই নির্দিষ্ট জায়গার ভেতর আপনি যেখানেই যাবেন আপনাকে ২.৭৫ ডলারই দেওয়া লাগবে। একটু সহজ করে বুঝাই। ধরুন গ্রেট তুরাগ টঙ্গী থেকে মহাখালি পর্যন্ত যায়। আপনি টঙ্গী থেকে উত্তরা গেলেও ভাড়া ২.৭৫ডলার, টঙ্গী থেকে মহাখালি গেলেও ২.৭৫ ডলার। বাসা যেহেতু কাছে, মাত্র ১৯--২০ মিনিট লাগে আসতে তাই আমি পয়সা অপচয় না করে হেটে হেটেই আসি।

আর হেটে হেটে আসতে গিয়েই এক আশ্চর্য রকমের ঘটনার দেখা মিললো। একটু ভয়ংকরও বলা যেতে পারে। আমি যে রাস্তা দিয়ে হেটে আসি সে জায়গাটা একটু নির্জন। কিছুটা পথ আছে যেখানে কোন আলো নেই। বাসাগুলোও থাকে অন্ধকার। সেটা বেশীক্ষনের পথ নয়, অল্প একটু পথ। কিন্তু এই অল্প একটু পথেই এক ভয়ংকর ঘটনা দেখতে পেলাম।

একদিন আমি হেটে হেটে আসছি। তখন বাজে রাত ১১.৪৫। আমি একা একাই হাটছিলাম। আশেপাশে আর কাউকে হাটতে দেখছিলাম না। প্রতিটি বাসার সামনে গাড়ি রাখা। চারিদিক একদম চুপচাপ। রাত হয়ে গেলে এমনটাই চুপচাপ থাকে চারপাশ। আমি এক মনে হেটে যাচ্ছি। হঠাৎ একটি বাসার দোতলার একটি ঘরের দিকে আমার চোখ গেলো। চোখ যাওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ কোন বাসাতেই লাইট জ্বালানো ছিল না একমাত্র ঐ বাসাটার দোতলার ঐ ঘরটি ছাড়া।

আমি খেয়াল করলাম ঐ ঘরটার জানালার সামনে কালো ড্ব্রেস পরা অবস্থায় কে যেন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এক মনে তাকিয়েই আছে। আমি কিন্তু তখনো ঐ বাসার সামনা সামনি পৌছাইনি। অল্প কয়েক গজ দূরে রয়েছি। দূর থেকে চেহারাটা অত বোঝা যাচ্ছে না। ঐ বাসাটার ঠিক সামনাসামনি আশার পরই কেনো যেন আমি থেমে গেলাম। কেনো থামলাম তা নিজেই বুঝলাম না। আমি আগ্রহের সাথে তাকিয়ে ছিলাম। যাকে জানালার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম সে এক মহিলা সেটা এতক্ষণে বুঝলাম। এরপর দেখি হঠাৎ মহিলাটি সরাসরি আমার দিকে নজর দিলো। চোখ বড়াবড় আমার দিকে তাকালো। শুধু তাকালই না, আমার দিকে কেমন জানি ভয়ঙ্কর চেহারার রূপ দিয়ে তাকানোর সাথে সাথে হাসি দিল।

আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম আমিতো রাস্তায় আর সেতো বাসার ভেতর সুতরাং আমার এখান থেকে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লেই চলবে। মহিলাটি যদি দৌড় দিয়েও ঘর থেকে বের হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে তারপরেও আমি ততক্ষণে কেটে পড়তে পারবো,এটা ভেবেই যেই আমি দ্রুত বেগে হাটা শুরু করলাম ওমনি দেখি ঠিক সেই মহিলাটি বাসার গেটের সামনে অর্থাৎ আমার একদম কাছাকাছি এসে উপস্থিত, হয়তো মহিলাটি হাতটি বাড়ালেই আমাকে ধরে ফেলবে।

আমি রিতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম এবার। আমি উল্টা দিকে দৌড় দেওয়া শুরু করলাম। মহিলাটিও আমাকে ফলো করে দৌড় দিচ্ছিলো। আশেপাশে আর কেউ নেই। আমি সাংঘাতিক ভয় পাচ্ছিলাম। কোন মতে ঐদিন ঐ ঘটনা থেকে মুক্তি পেয়ে যাই। দৌড় দিয়ে অনেক্ষণ একটি বাসার পিছনের দিকে লুকায় ছিলাম। পরে অন্য রাস্তা ব্যবহার করে বাসায় গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২৭
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×