একাত্তরের গণহত্যা, শহীদদের আত্মদান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি বিষয় মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যক্রমেও এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেন কমিটির নেতারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এসব দাবি ওঠে। ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ ও ‘ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশ অ্যান্ড ট্রায়াল অব ওয়ার ক্রিমিনাল অব ১৯৭১’ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গি মৌলবাদ এবং প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা হবে। এ সরকারের আমলেই এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে ইসলাম চলে যাবে, ধর্ম থাকবে না—এসব অপপ্রচার একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার। তারা মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ইসলামকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বা ইসলামের ক্ষতি হোক সরকার কখনোই চায় না।
জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর দাবি জানিয়ে বলেন, জঙ্গি-মৌলবাদীরা বুঝতে পেরেছে, তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। এখন তারা বিএনপিকে কাছে চাইছে। তবে বিএনপিও মনে হয় এবার নিজামী-মুজাহিদের কাছে নেওয়ার পক্ষপাতী নয়।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বায়াত্তরের সংবিধানে ফিরে না গেলে আমরা যে রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা সার্থক হবে না।’ তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ যুদ্ধে অস্ত্র হবে যুক্তি। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতেই হবে। তিনি কালক্ষেপণ না করে দ্রুত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
সাথে এই দাবিটিও করছি যে বর্তমানে যারা এই সব করছে তাদের কার্যাবলীও উল্লেখ করা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




