somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন আছিস সবাই

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মনে পড়ে আমতলার প্রভাত ফেরি
শষ্যে বাটা চালের পিঠা
ফুটপাতের চায়ের দোকানের
সেই জমপেশ আড্ডা।
বৈশেখের প্রথম প্রহরে
অগনীত স্বপ্নের ভান্ডার থেকে
বিরামহীন স্বপ্ন চুরি করা
লাল হলুদের মিশ্রন
মাথায় রক্তিম ফুলের বিবর্ন সমাহার
যেখানে প্রায় খুলে যেত
লার কেল্লার দ্বার।
সারা দিনমান সময়কে ফাঁকি দেয়ার
কত তিব্র বাসনা।
জীবন থেকে অন্য কোন প্রজাপ্রতির রাজ্যে
অসংখ্য ডানা ঝাপটানো উদ্দ্যান।
মনে পড়ে স্বপ্নহীন ভালোবাসার টানে
ছুটে চলা সময়ের কথা।
আচ্ছা সময় গুলো এখন কোথায়?
লাগামহীন ছুটে চলা অসংখ্য
স্বত্বার একটি প্রান।
একাকার হয়ে যাওয়া দিনের সমস্ত সময়
নিলখেত নিউমার্কেটের প্রতিটা নুড়িপাথর
সাদ্দামের চায়ের দোকান, বিউটি হোটেল
আজিজ মার্কেটের অন্তরে রেস্তরা
সোহরাওয়ার্দি উদ্দ্যান
আমাদের রক্তিম সময়ের বিবর্ন আয়োজন
সমস্ত উদ্দিপনা আজ কোন অতলে হারালো।
পুতুলকে খুব মনে পড়ে অভিমানি পুতুল!
মনের তিব্র আকাঙ্খাকে
সময়ের কাছে জলাঞ্জলী দিয়ে
জীবন থেকে পালাবার লুকোচুরি খেলায়
ফিরে গেলো অভিমানের অন্ধকারে।
অযশ্র স্বপ্ন নিয়ে বাচতে চাওয়া কাকলি
এখন যার প্রতিটা ন্বপ্নের গোড়ায়
বিভৎস অন্ধকার।
দিনের সমস্ত ভাগে না পাওয়ার
কাল্পনিক হতাশার দির্ঘশ্বাস ছাড়া হাদি
যার অনুপস্থিতি কেউ কামনা করেনি।
আর সেই মধ্য মনি সুমন
পুতুলের ভেতরের কষ্টের কারন ছিলো যে
অবশেষে সোমা কে নিয়ে
বির্তকিত জিবনের শেষ বন্ধন।
ভেঙ্গে যাওয়া রিপনের তানপুরা তার
কোন সুরই যেন এখন আর বাজে না
যার সময় গুলি এখন বিভৎস
যন্ত্রনা গুলি গগন চুম্বি।
কাকলীর কলতানে আজন্ম দিশাহীন পথ।
সোহাগ আখির ব্যাঙ্গত্বক প্রেম যুদ্ধ।
ইতিহাস থেকে ছিটকে পড়া
কালাম তানিয়া শিউলি সবুজ আর
অনৈতিক উপণ্যাসের পাতায়
ঠায় হওয়া সমস্ত বন্ধুজন।
পলাশীর চারতলা বাড়িটি
এখন আর বুঝি আগের মত নেই।
কলোনির মাঠটি এখন চার দেযালে বন্দি।
খুব বেশি মনে পড়ে সবাইকে।
এখন আর বকুল তলায় যাওয়া হয় না।
বিবর্ন রবিন্দ্র সরোবর।
বৃদ্ধের সারিতে রমনার বটমুল।
পলাশির পিচ ঢালা পথ
এখন অন্য সুরে গান করে।
স্মৃতির কোঠরে বন্দি টি এস সি
আর ইডেন কলেজের বিরামহীন আড্ডা।
ন্ধদয়ের কোঠরে বন্দি
হারানো সমস্ত দিন।
যদি একটি দিনের জন্যে
আবার ফিরে পেতাম
আমাদের সেই এক খন্ড সময়
তবে প্রান খুলে বলতাম
কেমন আছিস সবাই!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×