মনে পড়ে আমতলার প্রভাত ফেরি
শষ্যে বাটা চালের পিঠা
ফুটপাতের চায়ের দোকানের
সেই জমপেশ আড্ডা।
বৈশেখের প্রথম প্রহরে
অগনীত স্বপ্নের ভান্ডার থেকে
বিরামহীন স্বপ্ন চুরি করা
লাল হলুদের মিশ্রন
মাথায় রক্তিম ফুলের বিবর্ন সমাহার
যেখানে প্রায় খুলে যেত
লার কেল্লার দ্বার।
সারা দিনমান সময়কে ফাঁকি দেয়ার
কত তিব্র বাসনা।
জীবন থেকে অন্য কোন প্রজাপ্রতির রাজ্যে
অসংখ্য ডানা ঝাপটানো উদ্দ্যান।
মনে পড়ে স্বপ্নহীন ভালোবাসার টানে
ছুটে চলা সময়ের কথা।
আচ্ছা সময় গুলো এখন কোথায়?
লাগামহীন ছুটে চলা অসংখ্য
স্বত্বার একটি প্রান।
একাকার হয়ে যাওয়া দিনের সমস্ত সময়
নিলখেত নিউমার্কেটের প্রতিটা নুড়িপাথর
সাদ্দামের চায়ের দোকান, বিউটি হোটেল
আজিজ মার্কেটের অন্তরে রেস্তরা
সোহরাওয়ার্দি উদ্দ্যান
আমাদের রক্তিম সময়ের বিবর্ন আয়োজন
সমস্ত উদ্দিপনা আজ কোন অতলে হারালো।
পুতুলকে খুব মনে পড়ে অভিমানি পুতুল!
মনের তিব্র আকাঙ্খাকে
সময়ের কাছে জলাঞ্জলী দিয়ে
জীবন থেকে পালাবার লুকোচুরি খেলায়
ফিরে গেলো অভিমানের অন্ধকারে।
অযশ্র স্বপ্ন নিয়ে বাচতে চাওয়া কাকলি
এখন যার প্রতিটা ন্বপ্নের গোড়ায়
বিভৎস অন্ধকার।
দিনের সমস্ত ভাগে না পাওয়ার
কাল্পনিক হতাশার দির্ঘশ্বাস ছাড়া হাদি
যার অনুপস্থিতি কেউ কামনা করেনি।
আর সেই মধ্য মনি সুমন
পুতুলের ভেতরের কষ্টের কারন ছিলো যে
অবশেষে সোমা কে নিয়ে
বির্তকিত জিবনের শেষ বন্ধন।
ভেঙ্গে যাওয়া রিপনের তানপুরা তার
কোন সুরই যেন এখন আর বাজে না
যার সময় গুলি এখন বিভৎস
যন্ত্রনা গুলি গগন চুম্বি।
কাকলীর কলতানে আজন্ম দিশাহীন পথ।
সোহাগ আখির ব্যাঙ্গত্বক প্রেম যুদ্ধ।
ইতিহাস থেকে ছিটকে পড়া
কালাম তানিয়া শিউলি সবুজ আর
অনৈতিক উপণ্যাসের পাতায়
ঠায় হওয়া সমস্ত বন্ধুজন।
পলাশীর চারতলা বাড়িটি
এখন আর বুঝি আগের মত নেই।
কলোনির মাঠটি এখন চার দেযালে বন্দি।
খুব বেশি মনে পড়ে সবাইকে।
এখন আর বকুল তলায় যাওয়া হয় না।
বিবর্ন রবিন্দ্র সরোবর।
বৃদ্ধের সারিতে রমনার বটমুল।
পলাশির পিচ ঢালা পথ
এখন অন্য সুরে গান করে।
স্মৃতির কোঠরে বন্দি টি এস সি
আর ইডেন কলেজের বিরামহীন আড্ডা।
ন্ধদয়ের কোঠরে বন্দি
হারানো সমস্ত দিন।
যদি একটি দিনের জন্যে
আবার ফিরে পেতাম
আমাদের সেই এক খন্ড সময়
তবে প্রান খুলে বলতাম
কেমন আছিস সবাই!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৪