somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন ভাল জিনিস গ্রহণ করে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কোন দলের হয়ে কিংবা কোন স্বার্থের হয়ে কথাগুলি বলতে চাই না। বলতে চাই শুধু মানবিকতার টানে, বলতে চাই এদেশের নাগরিক হিসেবে ভাল মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করতে। হাজারো জনতার ভিড়ে যাদের মনে নাড়া দিয়ে উঠে না যে আজ এই সংকটের দিনে কিছু পশু আমাদের নিমেষে গ্রাস করতে চাইছে। আমি অতি সাধারণ এক মানবী। আমি চাই না কোন বিদ্বেষ, চাই না হানাহানি, চাই না কোন অন্যায় চাই শুধু শান্তি। আমার মত হয়ত অনেকেই চাই সকল কিছুর উপরে থেকে আনন্দময় জীবন। কিন্তু সে সম্ভাবনা শুধু এখন স্বপ্ন। তাই চারশ বৎসর পিছিয়ে যেতে অনেকেই দ্বিধাবোধ করে না। আমাদের মাঝে কেও যদি কারো ভুল ভাঙ্গাতে এসেছে সে যেন জগত সংসারে এক মহাভারত অশুদ্ধির কাজ করে বলে চিহ্নিত হয়। কিংবা এদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কারো বক্তব্য যদি কিঞ্চিৎ মিলবার আভাস পাই তা লোক মুখে সেই দলের পক্ষে স্থান করে নেই। একজন নিরপেক্ষ আম জনতা হিসেবে আমি তাই আমার অন্তর হতে কিছু যুক্তি স্থাপন করতে চাই। প্রথমে বলতে চাই আজ আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে পিছেয়ে হাটার সময় নেই। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। আমাদের প্রধান দুই দলের কেও আমাদের হাতে তুলে ভাত খাইয়ে দিবে না। আমাদের নিজেরদের হাতে তুলেই ভাত খাইতে হবে। তাই আজ যারা বেকুবের মত হেফাজত ইসলামের সমর্থন করছে তারা জানে না কি বোকার কাজ করতে চাইছে। আমারা যদি তাদের ১৩ দফাই চলতে চাই তবে খুব বেশীদিন না অতি শিঘ্র আফগানিতান, পাকিস্থান, আফ্রিকার মত না খেয়ে মরব, পিছিয়ে পরব সকল উন্নয়ন থেকে। একজন নাস্তিকের উচিৎ নয় কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানা তেমনি একজন আস্তিকের উচিৎ নয় ধর্মের অপব্যবহার করা, ধর্মের অপপ্রচার করা। আমি নিজস্ব স্থান থেকে বলব দুটাই অন্যায়। আমি তাই অনুরধ করব যার যার বিশ্বাস তার কাছেই রাখেন। কেও আস্তিক কিংবা নাস্তিক এটা তার একাত্মই ব্যক্তিগত ব্যপার। কেও কাউকে গায়ের জড়ে আস্তিক বানাতে পারবে না তেমনি নাস্তিকও না। নাস্তিক বলে তাকে ফাসি দিতে হবে এমন আইন কোথাও নেই। তেমনি যে আস্তিক সে গায়ের জড়ে কউকে ধর্ম গিলাতেও পারবে না। এটা পুরাপুরি যার যার বিশ্বাস। কিন্তু কারো ধর্মীও অনুভূতিতে আঘাত করা মানবিক গুনাবলির মধ্যে পরে না। স্বাধীন দেশের নাগরিক রুপে আমি যুদ্ধঅপরাধীর বিচার চাই। আজ এই বাংলাদেশ একদিনে পাই নি আমি, অনেক কষ্টের বিনিময়ে, লাখো শহীদের রক্তের প্রতিদান আমি হয়ত পূরণ করতে পারব না। তবু বেচে থাকা কিছু পশুকে শাস্তির মুল্যে পার্থিব সুখ পাব। আমি চাই এদেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খিস্টান সকলে মিলেমিশে বাস করতে। চাই না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে। আমরা বাঙালি এই মর্ম যেন সকলকে উজ্জিবিত করে। সত্যকারের মানুষ হিসেবে মানবিক গুণ অর্জন করতে চাই। আমি চাই না আমার কাজে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মাথা নত করে বেচে থাকুক। আমি চাই সকল নৈরাজ্যের অবসান হক। সকলের বিবেক জাগ্রত হক। আমি চাই না এভাবে অন্যের গাড়ি ভেঙ্গে, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করে সব কিছু অচল করে জনগণের নামে সকল রাজনীতি চলতে। কেও তো আমাদের কথা ভাবে না ভাবে শুধু নিজের গদি। তাই আমাদের ভাবনা আমাদেরই ভাবতে হবে। বসে থাকার সময় নেই আর। আমাদের নিরাপত্তা দাবি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকেই প্রস্তুত হতে হবে। মনে অনেক ক্ষোভ দুঃখ আর জ্বালা নিয়ে কথাগুলা বলা। হয়ত কেও বলতেই পারে না শুধু নিরবে চেয়ে দেখে কেও বা এক ধাপ এগিয়ে পিছে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসে।
কবির ভাষাই তাই মনে হল ‘সাত কোটি বাঙালি হে বিমুগ্ধ জননী ,
রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নী।‘



০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×