somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসে লাঞ্ছনার শিকার

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসে চড়ে ইউনিভার্সিটি যাচ্ছিলাম। ভাগ্যবশত কোন বসার জায়গা পেলাম না আমি তাই অন্যথা আমাকে দাড়িয়ে থাকতে হল। কিন্তু মহিলাদের বসার দুইটা সিট তখনও খালি। ইচ্ছে হল না কাউকে বিরক্ত করে উঠিয়ে বসতে। বয়স এখনও কম দিব্যি কষ্ট করতে পারব তাই একটা অহমিকা কাজ করে মনে। কিছুদুর যেতে এক মহিলা বাসে উঠল, আমার মায়ের বয়সী হবে সে। উনি উঠতেই পাস থেকে এক আপু বলল আন্টি সিট আছে বসেন। আন্টি অতি ভদ্রতার সাথে বলল , ভাই এটা তো মহিলা সিট এখন যে আপনাকে উঠতে হবে। যে বলা সেই কাজ, ওমনি লোকটি ষাঁড়ের মত চেচিয়ে উঠল। বয়ান দিতে লাগল , আমিও মনোযোগ দিয়ে দাড়িয়ে শুনতে লাগলাম। লোকটি বলল, মহিলা সিট হয়েছে তো কি? দেখেন সামনে কত মহিলা বসছে তারা কেন মহিলা সিটে বসলো না? এখন আসছেন সিট নিয়ে কথা বলতে। কথায় কথায় সম অধিকার চান, তাহলে কেন উঠতে বলছেন। দাঁড়ায়ে যান। এই মহিলা যত গেঞ্জাম করে বাসে। পাশ থেকে এক লোক বলছে, ভারতে এই রকম নিয়মই নাই মহিলা আসনের। এরকম আরও নানা কথ্য চলতে লাগল, মজা পেলাম যে ভারতের এত বদনাম করে এই লোক গুলা তারাই আবার শুনাম করছে। কত হাস্যকর লাগছিল তখন।তাই সব শুনে চুপ থাকতে পারলাম না আমি বলে বসলাম, আঙ্কেল যখন মহিলা সিট ভরে যাবে তখন মহিলারা কই বসবে? আর সবসময় তো মহিলা সিট দেখে বসা যাই না। কেও হয়ত সামনে থেকে উঠল সে কি ভিড় ঠেলে পিছে আসবে? এসব বলতেই আমি তাদের আরও শত্রু হয়ে গেলাম। শুরু হল সমস্বরে প্রতিবাদের কন্ঠ যে, আগে এই মহিলা সিট ছিল না। এখন হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সিট ছেরে দেওয়া লাগে। এত সম অধিকারের কথা বলে উনারা তাহলে কেন দাঁড়িয়ে যায় না। আমি খুব অবাক হলাম লোকগুলার সেন্স অফ হিউমার দেখে, অনেক আফসোস হল যে এরা আবার নামি দামি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। অথচ ছোট একটা নিয়মকে তারা বুঝবার চেষ্টা করে না যে, মহিলা আসন গুলা সংরক্ষিত। কোন পুরুষ যদি বসে, বসতে পারে কিন্তু কোন মহিলা এলে আসন থেকে উঠতে হবে। আর মহিলা আসন গুলা ছারাও অন্যত্র মহিলারা বসতে পারে। এই গেঞ্জামের মাঝেও এক লোক তার জায়গা থেকে উঠে মহিলাটিকে বসতে দিল। আর বলল, আপনি বসেন থাক আর কথা বাড়ায়েন না। আপনারা চুপ করেন। আমাকে বলল ছেঁড়ে দেন। ওদিকে মহিলা বলল আমি কি খারাপ বললাম বলেন। উনি যে আমাকে এত কথা শুনালেন পারতেন, উনি নিজের পরিবার থাকলে এভাবে বলতে?এ হল আমদের নিত্য দিনের অবস্থা। আমারা কেও কাউকে এক টুকু ছাড় দিতে চাইনা। ভাল ব্যবহার করলেও তার বিনিময়ে কিভাবে ছোট করা যাই তাই খুজি। যেটা নিয়ম সেটাকে মানতে নারাজ আমরা। এভাবে আর কত দিন চলবে কেও কি বলতে পারেন?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×