১) আপনি কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে অনার্স করেছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। কোন ব্যবহারিক জ্ঞান নাই। খুব কম। সারর্টিফিকেট আছে অনার্স /সম্মান শ্রেণী। চাকরি নিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থাতে লাখ টাকা দিতে মামুর বিরিয়ানী খেয়ে। (মামুর বিরিয়ানী বুঝেন নাই, ঘুস দিয়ে আরকি তো আপনার দক্ষতা ওইখানেই আত্মহত্যা করেছে। চাইলেই আপনি দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলী হতে পারতেন। তাহলে কি বুঝলেন সারর্টিফিকেট কোথায় গেলো? সরকারি দপ্তরে। সরকারি মোটা ফাইলে আটকে গেলো আপনার সারর্টিফিকেট
২)অনেল লোক আছে কম্পিউটারে কোন সার্টিফিকেট নাই। তারপরেও কাজ করে এমন যেনো কোন বড় ডিগ্রী নিয়ে বসে আছে। আসলে তার কাজ তাকে এই বাস্তব সারর্টিফিকেট দিয়েছে। এটা কোন ফাইলে বন্দী হবে না৷ মরনের আগ পর্যন্ত সাথে থাকবে।
৩)অনেক শিক্ষিত লোক আছে আমাদের সমাজে, তাদের আচরণ এতো খারাপ যে তাদের আমরা কুকুরের সাথে তুলনা করে ফেলি সময়ের প্রয়োজনে। যদিও তারা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান (ভার্সিটি) হতে ডিগ্রিধারী ও হয়। তারা আচরণের দিক থেকে নিচু মানের
৪) আবার অনেক লোক আছে যারা বড় ডিগ্রিধারী নয়৷ আবার অশিক্ষিত ও নয়। তবে তাদের আচরণ উচ্চ মানের হয়
৫)আমাদের কর্মক্ষেত্রে এমন লোক ও পেয়ে থাকি যে, সে সারর্টিফিকেট অনুযায়ী একটা বিভাগে আছে। সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছে, ধরুন ককম্পিউটার ট্রেনিং অফিসার হিসেবে। হায় দেখা যায় তার ডিপ্লোমা সারর্টিফিকেট আছে। অথচ সে ইমেইল আইডিও খুলতে পারেনা। সে ভালো টাইপিং জানে না, সে কম্পিউটার সম্পর্কে ১০%জ্ঞান ও রাখেনা , তার মানে এই যে তার সারর্টিফিকেট আছে, তবে সে দক্ষনা। তার দক্ষতা নাই। বাস্তব জ্ঞান নাই। পাঠ্যবই পড়েছে হয়তো। সে সাইকেল কিভাবে চালাতে হয় এই বই মুখস্ত করেছে, সাইকেল ধরেনি
আমাদের জীবনে সারর্টিফিকেট দরকার আছে। পড়ালেখার দরকার আছে। পাঠ্যপুস্তক দরকার আছে। তার সাথে সাথে যেটা বেশি দরকার
সেটা হল বাস্তবতা। জীবনে বাস্তবিক জ্ঞান, বাস্তবিক আচরণ, বাস্তব অভিজ্ঞতা। ওই ইউ পি চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশন হতে দেয়া চারিত্রিক সার্টিফিকেট নয়। বাস্তব জীবনে চলতে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ভালো অভিজ্ঞতা ভালো চরিত্র থাকা চাই
শিক্ষা যেনো শুধু মুখস্ত বিদ্যা না হয়। মনের ভিতরে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯