somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আদর্শ যার যার, দল সবার। এটাই রাজনীতি

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনীতিতে একটা কথা আছে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কোন কথা নাই। আর নেতাদের বিশেষ কোন আদর্শ নাই। আগে আমি মনে করতাম যে যারা ডানপন্থী তারা বামে যায়না । মানে যারা ধর্মীয় রাজনীতি করে তারা বামদের সাথে একত্রে রাজনীতি করবেনা। আর যারা বাম পন্থী যারা সমাজতন্ত্র মানে তারা ডানপন্থীদের সাথে যাবে না। যারা গণতন্ত্রবাদী তারা আরেক রকম। এখন সেই দিন নাই। একজন নেতা তার কাপড় পাল্টানোর মতোই দল পাল্টায়। আর আগের দল ছেড়ে যে দলে যাচ্ছে সেই দলের আদর্শ তার বিপক্ষের ই হোক না কেন। তা সে দেখেনা। যার তার সাথে জোট গড়ে তোলে। আসল কথা হল ক্ষমতা। নীতি, আদর্শ বলতে কিছু যদিও থাকে সেটা দল পরিবর্তন করার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। দল পরিবর্তন তো নেতার আদর্শ পরিবর্তন

১)একজন ডানপন্থী নেতা ছিল। আমি জন্মের পর থেকেই এই লোককে একরকম এই রকম দেখেছি। জাতীয় পার্টি করতো। ২০১৩ সালে সে দল পরিবর্তন করলো। কারন সে কোনদিন বিজয়ের মালা গলায় ঝুলাতে পারেনি। এইজন্য সে এরশাদ সাহেবের দল থেকে পল্টি মেরে দল পরিবর্তন করলেন । আর তিনি নিজেকে এলাকার ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামীলীগ কর্মী বলে ঘোসনা দিলেন।
নোট এক বড়ভাই বলেছিল, এই দল ত্যাগকারী নেতাদের দলে নেয়া যে কত বড় বিপদ তা বলার মতো নয়, এরা নামে দল ত্যাগ করে। আর।দলের নামে নানান কুকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। কথাটা ১০০%সত্য। আওয়ামীলীগ যেসব দল ত্যাগকারী নেতাদেএ নিজ দলে নিয়েছে। এরাই তার কোন কাজের না। বরং বিপদ একদিন না একদিন সেটা তারা বুঝবে।

২)আমাদের দেশে অনেক বামপন্থী নেতা আছে এরা এলাকায় বড় দলে জায়গা না পেলে সেসব দলের পদের জায়গা দখল করে রাখে। আমি জাতীয় পর্যায়ের চেনাজানা নেতাদের কথা বলছিনা। তৃণমূল এলাকার কথা। জাতীয় নেতারাই যেখানে আদর্শ দল ত্যাগ করে। সেখানে
জেলা, থানা কি কোন ব্যাপার? আমাদের নেতারা এই পল্টিবাজি খুব ভালো পারে। বামপন্থী রা আওয়ামীলীগ এ খুব প্রবেশ করে আর সুযোগে সময়ে তারা আবার বের হয়েও যায়। এদের পক্ষে প্রেস মিডিয়াকে পাওয়া যায়। তাই তারা খুব জেগে উঠে মাঝে মাঝে

৩) জোট গঠন বাংলাদেশে দলের নেতারা দলেই থাকেনা। তো জোট তো সাধারণ কথা। তাহাদের ক্ষমতার দরকার হলে, যে কাউকে তাদের সাথে মাঠে নামিয়ে দেয়। নিজেদের কর্মী অভাব হলেও অন্য দলের কর্মী আনতে তারা যার তার সাথে জোট গড়ে তোলে। ১৫ „২০দল নিয়ে একটি জোট গঠন করলেও বেশির ভাগ দলের ই থাকেনা পূর্ণ কমিটি। কিছু তো মনে হয় (One man army)
,এক দল এক নেতা ।


৪)আমাদের দেশের বেশিরভাগ নেতাই জানেনা, একজন সাধারণ জনতার অধিকার , আঈন, আইনের বিচার, একজন সামরিক বাহিনীর লোকের সাথে মিলবেনা। তারা দেশদ্রোহী হলে যে কোর্টমার্শাল করা হয়। আর সেটা ভয়ংকর না হলে যে সকল সেনা সদস্য বিদ্রোহ করবে এই জিনিস তারা বুঝেও না বুঝার অভিনয় করে। তাই এসব নিয়ে তাদের খুব চর্চা। একটা দল ই আছে। যাক আর গভীরে না যাই।

৫) আসল কথা তো এইটা। যে তারা কোন দলের না। কোন মতের না। তাদের কিছু কিছু লোকের কোন আদর্শ নাই। তারা নদীর পানির মতো। প্রবাহিত হতেই থাকে।



৬)আমাদের ব্লগেও অনেক দল কানা অন্ধ লোক দেখতে পাই। তাহারা যাদের এতো ভালো আর মহান ভাবেন তাদের নিজেদের ই কোন স্থায়ী আদর্শ নাই। আর আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার গন তাদের নিয়ে অনেক অনেক গভেষণা করেন। যার কোন ভিত্তি আমি দেখতে পাইনা।
তারা কেবল দলপ্রেমীক। আমার মতে কিছু ব্লগার দল মত নির্বিশেষে থাকার দরকার ছিলো। আফসোস আমাদের সিনিয়র বড় ব্লগার গুলো এতো দল কানা। বলার নাই। তারাও ওই নেতাদের মতো। সারাদিন নানান ইনিয়ে বিনিয়ে এক দলকে মহান বানাতে ব্যাস্ত। আর দলের প্রধানকে তারা ফেরেস্তা বানাতে সদা তৎপর। তাদের মিশন ওই একটাই।

৭) আগের দিনে রাজা, মহারাজাগণ নাকি রাজদরবারে রাজ লেখক পালন করতেন। এই লেখকদের কাজ একটাই ছিল। রাজার মন রক্ষা করা। রাজার নামে ভালো ভালো লেখা কাহিণি লেখা। ইতিহাস বইয়ের নামে যা তা লেখা। মিথ্যা বলেনি আমার স্যার। বাদশা আকবরের সভাকক্ষে ও এমন একজন চাটুকার দার্শনিক ছিল। একটা কবিতা আছে। সবাই জানেন। শিক্ষা গুরুর মর্যাদা, এই ঘটনাটা নাকি পুরাটাই মিথ্যা।



৮) আদর্শ যার যার, দল সবার। দল যাই হোক। মত যাই হোক। নমিনেশন টিকেট পেলে সবাই আমার। এখন চিত্রটা এমন হয়ে গেছে,। বড় দলের, ভালো দলের ব্যানারে নিজের ছবি সবাই দেখতে চায়। নিজেকে ছোট, পরিচয়হীন দলের নেতা হিসেবে কেউ পরিচয় দিতে চায়না। আজকাল জামাত নেতারাও দলের স্টিকার কপাল থেকে মুছে ফেলতে ব্যস্ত। তেনারা বিভিন্ন দলে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে নিজেদের পরিচয় পাল্টাচ্ছে। আর সবাই জানে জামাতের নেতারা দেশে অনেক শিক্ষা চিকিৎসা ব্যবসার সাথে জরিত অনেক আগের থেকেই। কোচিং ব্যবসা, ভার্সিটি ব্যবসা, হাসপাতাল, এসব অনেক ব্যবসা যেহেতু তাদের আছে। এবং কি তাদের কোচিং গুলো বিখ্যাত পণ্য / Brand। তাদের এই ব্যবসায়ীরা টাকার শক্তিতে পরিচয় পাল্টাবেই।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০১
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×