somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আগের দিন এখন নাই, দিন বদলে গেছে (পর্ব ৩)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করবেন না? আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করলে বা আমাদের অনুভূতি গুলোতে আঘাত করলে আপনাকে আমরা মোটেও ক্ষমা করবো না৷ আমাদের একবেলা খাবার না পেলেও চলে৷ আমরা বাঙ্গালী। তবে অনুভূতি নিয়ে খেলা যদি করেন বা অনুভূতি গুলোকে ছোট করে দেখেন। তাহলে ভেঙ্গে চুরে ডাস্টবিনে ফেলে দিবো। আর যদি ভালোবাসা দাও হাজার বছর মনে রাখবো। হাজার বছর দুঃখ দিলেও একদিনের ভালোবাসা ভুলোবোনা৷ এটাই বাঙ্গালী। যেমন আমরা পাকিদের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে, তারা আমাদের ভাবনা বিশ্বাস আর অনুভূতি নিয়ে খেলা করেছে একবার৷ আর ভারত আমাদের বন্ধু ভাই, দাদা, বোন, । সব কারন তারা একবার আমাদের ভালোবাসা দিয়ে সাহায্য করেছে৷ যদিও এখন মোটা মোটা বাশ দেয়৷ পানি দেয়, যখন লাগবেনা তখন৷ যাই হোক একবার সাহায্য করেছে তো। তাই হাজার খুন মাফ। আমরা ওই একবারের টাই আজীবন মনে রাখবো। আর শান্তিতে আকিজ বিড়ি টানবো। দেশে একটা বিশেষ নামের সিগারেট ও পাওয়া যায়। সেটাও টানতে পারি৷ খুব দামে কম৷ ২ টাকা মনে হয়।



আজো সেই সন্ধ্যা নেমেছে, সালাম অনেক কিছু হারিয়ে এই পথে। আজ তার ভাবনারাও তার সাথে ছলনা করা শুরু করেছে। চোখের সামনে থেকে সব মধুর স্বপ্ন সরিয়ে দিয়ে দুঃখের স্মৃতি গুলো ভাসিয়ে তুলছে বারবার। সব ভুলে যাওয়া দুঃখ আজই যেনো চোখের সামনে পর্দা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। চোখে সামনে যেনো সব কিছুই ঝাপসা লাগে৷ অবশেষে রাস্তার ধারে ঘাসে বসেই পড়লো সালাম। সাথে তার বন্ধু। সিগারেটের দীর্ঘ টান ধোঁয়ার সাথে যেনো সে কথা বলছে৷ধোয়া যেনো কুন্ডলী পাকিয়েছে। আর সেই কুন্ডলীতে তার সব অতীত দেখা দিচ্ছে। সালাম আরো মনোযোগ দিয়ে সিগারেটে টান দেয়৷ একটা লম্বা টান। ধোয়া গুলো তার ফুসফুস বেধ করে যেনো সারা পাকস্থলীতে চলে গেছে৷ এটা তার ভাবনা। সিগারেট নয়। যেনো হাজার বছরের পুরোনো সব স্মৃতি সে গভীর মনোযোগ দিয়ে টানছে।


সব জায়গায় আজকাল দালাল দিয়ে ভরে গেছে৷ জমি কিনতে গেলে দালাল, কুরবানির গরু কিনতে গেলে দালাল, বাজারে গেলে দালাল,
কোন কিছু বিক্রি করলে দালাল, পাসপোর্ট অফিসে, ভিসা অফিসে, সব জায়াগায়, আর আরেক দালাল যারা মানুষকে টাকার বিনিময়ে বিদেশে নিয়ে যায়। আর এই দালাল, কে হলে আদম বেপারি। তারা আদমের সন্তানকে বিদেশে কামলার দামে বিক্রি করে দেয়৷ অনেকে উপকার করে। অনেকে ভুয়া ভিসা, ভুয়া কাগজ সব ভুয়া দিয়ে মানুষকে পাঠিয়ে বিপদে ফেলে৷

আর সেই এক ভুয়া দালালের খপ্পরে পরে সালামের জিন্দেগী আজ সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে উড়ে গেছে। তার সব কিছু মিশে গেছে মরুভূমির বালির সাথে৷ তার চারদিকে আজ শুধুই কালো ধোঁয়া৷

আমিনের ডাক শুনে হঠাৎ যেনো সে গভীর ঘুম থেকে জাগলো।

কিরে সালাম বাড়ি যাবিনা৷ কি ভাবছিস এমন করে? এভাবে মন মরা হয়ে থাকলে চলবে? কতদিন পর তুই আসলি, চল বাড়ি যাই,। মা তোকে দেখে খুব খুশি হবে। চল এবার বাড়ির দিকে যাই।

সালাম বললো, বুঝলি বন্ধু, আজ যদি আমি পরবাসে না গিয়ে এইখানেই থেকে যেতাম। আজ যদি কোন একটা কাজ এইখানেই খুঁজে নিতাম৷ আর সেইদিন একটু দেখে শুনে পা ফেলতাম। আজ কি এমন হতো৷

চাকরি না পেলেও। কাজ না পেলেও, এই দশটি বছর অন্ততপক্ষে বিদেশের মাটিতে জেল খাটতে হতোনা৷ টাকা পয়সা না হলেও মার সাথে, বোনের সাথে থাকার ভাগ্যটা হয়ে যেতো৷ আজ যদি।

আমিন তাকে থামিয়ে দিলো। থাক বন্ধু, যদি কি হতো, কি হতে পারতো৷ এসব কথা বলে মনটাকে আর ভারি করিসনা৷ মনের উপর জীবনের উপর অনেক কষ্ট চলে গেছে৷ সেই দুঃখ আর বাড়িয়ে তুলিসনা, এসব প্রশ্ন নিজেকে আর করিসনা৷ চল এখন বাড়ি চল৷
তোর এখন বিশ্রাম প্রয়োজন, চল৷

চারদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে, সিগারেটের ধোঁয়া আর দেখা যায়না৷ শুধু অনুভূতি গুলো পিছনে টানে৷ আরেকটা সিগারেট কিনে আগুন ধরিয়েছে সালাম৷আজ সিগারেট যেনো তাকে ছাড়তেই চাচ্ছে না।

সবাই চলে গেলো৷ বাবা মা, প্রেম, জীবনের সুখ, যৌবন, সিগারেট তাকে ছাড়বে না৷ মরার আগে তাকে ছাড়বেনা, । দুঃখগুলো বারবার
টানছে তাকে, ধোঁয়ার মতো দুঃখগুলোকেও কেন উড়িয়ে দেয়া যায়না? কেন বেদনাগুলো আকাশে উড়ে যায়না, যেমন সিগারেটের ধোঁয়া উড়ে যায়। কেন তারা আকাশে যায়না, যেমন আকাশে উড়ে বুনো চিল।

দুঃখ তুমি কি আমার বন্ধু? ।
দুঃখ তুমি কে? কোথায় তোমার বসবাস?
তুমি কি আমার বুকের ডান পাশে থাকো?
নাকি তোমার বসবাস আমার বুকের বা পাশে?

তুমি কি আমার অন্তরে বাস কর?
তুমি কি আমার মস্তিষ্কের গভীর চিন্তা।
নাকি তুমি অন্ধকারে থাকো মিশে?

তুমি কে?
দুঃখ, কি তোমার পরিচয়?

কোথায় তোমার ঠিকানা?
কোথায় তোমার বসবাস?.


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×