somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

একজন ড. বিজন কুমার শীল ও আমাদের ক্রেডিট নিয়ে নোংরা রাজনীতি

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিম ওয়ার্ক ঃঃ সোজা কথায়, যখন কিছু মানুষ এক হয়ে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে, ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে কাজ করে – তাকেই টিম ওয়ার্ক বলে। একটি টিম একসাথে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।
আর সেখানে কেউ টিম পরিচালক থাকে, থাকে সহযোগী, অর্থনৈতিক সাহায্যকারী, একজন আবিস্কারক, কেউ হয়তো মূল থিউরি আবিষ্কার করে। আর কেউ সেটা কাজ করতে সাহায্য করে।

আদর্শ টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রে টিমের সদস্যরা নিজের লাভের চেয়ে টিমের লাভকে বেশি মূল্য দেন। ব্যক্তিগত ভাবে ক্রেডিট নেয়ার বদলে টিমের লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করেন।

একটি ভালো টিম ওয়ার্ক তখনই হয় যখন টিমের প্রতিটি সদস্য বা মেম্বার নিজের দায়িত্বে পুরোপুরি ১০০% নিবেদিত থেকে ভালোভাবে নিজের কাজ করেন, এবং অন্যদের কাজে সাহায্য করেন।


এই স্টেটাস দিয়েছেন একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। যাকে আমরা গুণী ও মহান মানুষ হিসেবে জানি। তাকে একজন বললো স্যার আপনার কাছে এমন লেখা মন্তব্য আশা করি নাই। বিজ্ঞ জ্ঞানী মানুষটি উত্তর দিলেন আমার ইচ্ছা, আপনার কথায় তো আমি লিখবো না। আজব যুক্তি।


উল্লেখ্য যে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
তিনি ঘোষণা দিলেন, তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে ২০০-২৫০ টাকায় বাজারজাত করা যাবে।
তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ড. বিজনের নেতৃত্বে এই গবেষণা টিমে রয়েছেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। তার মানে তার আরো গবেষক ছিলেন। একটা টিমের আওতায় এই গবেষণা হয়েছে। হে এটা ঠিক এর মূল উদ্ভাবন আবিষ্কার করেছেন ডক্টর বিজন কুমার শীল


২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। সেখানেও তার সাথে একটা টিম ছিল। তিনি কি কখনো বলেছেন যে আমার সাথে কোন টিম মেম্বার কাজ করেনি? তিনি কি এ কথা অস্বীকার করেছেন? নাকি এইটা বলেছেন যে আমার টিম মেম্বার রা আমার আবিস্কার এর ক্রেডিট নিয়ে নিতে চায়। এটা আমি দিবো না। এটা আমার একার আবিষ্কার। না তিনি সবার নাম প্রকাশ করেছেন।

এটা একটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো : ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’। এই পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবিলা করে। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন।৷ ( তথ্য গুলো আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা হতে নিয়েছি)

তিনি যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন, তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন। ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। এ প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছিলেন, (ঢাকা, শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ এর নিউজ) গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে যখন নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিল তখন তিনি আমাদের বললেন, এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সে রূপান্তরিত রূপ।।

।ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার। তিনি (বিজন কুমারশী) আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসেই থাকেন। তিনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।
এখানে কোথাও কি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এটা আমি আবিষ্কার করেছি, এটা আমার গবেষণার ফসল। এটার সকল ক্রেডিট আমার। আমাকে বিজ্ঞানী আবিস্কারক এর উপাদি দাও। বিজনের কোন অবদান নাই এমন তো না। তাহলে একজন জ্ঞানী মানুষ কেন ফেসবুকে এসব তর্ক বিতর্ক করে?


একটা টিম মেম্বার হিসেবে যদি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবকে ধরে নেই। তাওতো তার কিছু অবদান আছে। নাকি? তিনি ওই প্রতিষ্ঠান এর প্রধান আর একজন প্রতিষ্ঠানের নেতা ও। যখন সরকার এই প্রতিষ্ঠান কে সাহায্য করতে চাননি তিনি নানান মহলে, নানান জায়গায় কিভাবে ঘুরেছেন তা তো আমাদের জানা নাকি। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী রা না মানলেও জনগণ জানে আর জানে প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম যে তিনি এই টেস্টিং কিটকে গ্রহনযোগ্যতা দেয়ার জন্য কতটা লড়াই করেছে ।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর বিক্রম মিলনায়তনে আয়োজিত স্যাম্পল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা প্রথমে স্যাম্পল পাচ্ছিলাম না। তো আমি স্যারের (ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসককে ফোন দিই। উনি বললেন, আপনাদের কত স্যাম্পল লাগবে আমাকে বলুন।’



যাই হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কত সহযোগিতা করেছেন, সেটি বলে শেষ করতে পারব না। এই কথাটি আমরা এখন বলতে চাই যে, শুধু দেশ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য যে টেস্ট দরকার ছিল, সেটি আমরা করতে পেরেছি এবং আমরা আশা করি আগামীকাল থেকে আমরা প্রোডাকশনে চলে যাব। তারপর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্যান্ডওভার হবে’— বলেন ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে আমি কাজ করছি, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। আমি একা নই, আমার সাথে যারা ছিল, তারা সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের লিডার ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডা. ‍মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।’

আমার সঙ্গে আরও চারজন বিজ্ঞানী ছিলেন— যাদের আছে অত্যন্ত দুর্দান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং উদ্ভাবন করার শক্তি। এরা হলেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. আদনান, ড. মো. জহিরউদ্দিন ও ড. সোহাগ’— বলেন ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি। সব শেষে আমরা বলতে পারি উই হ্যাব ডান দিস। আমরা এটি করতে পেরেছি। আশা করছি, আমরা আগামীকাল থেকে প্রোডাকশনে চলে যাব। আমরা দুই ধরনের কিট ডেভেলপ করেছি। একটা হলো করোনা ভাইরাসের এন্টিজেন ডিটেকশন। আরেকটি হচ্ছে এন্টিবডি ডিটেকশন। প্রত্যেকটা ইনফিউশনে দুইটা ডোর থাকে। একটি হচ্ছে ইন্টিজেন বা ভাইরাল ফেস আরেকটি হলো এন্টিবডি।’(সারাবাংলা April 25, 2020


উল্লেখ্য যে শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব অ্যান্টিবডি থেকে শনাক্ত করা হয়। এই কৌশলটা বিজন কুমার শীলের জানা ছিল। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয় বেশ কিছু দেশে। তখন সিঙ্গাপুর সরকারের পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন বিজন কুমার শীল। কয়েকজন গবেষকের সঙ্গে মিলে তৈরি করেন সার্স ভাইরাস শনাক্ত করার কিট। সেটার পেটেন্টে রয়েছে এই বিজ্ঞানীর নাম।
এখন আমার কথা হল এই কাজগুলো কি একা করার মতো কোন কাজ? পৃথিবীর কোন আবিষ্কার কি কোন বিজ্ঞানী একা তার নিজের ল্যাবরেটরিতে আবিস্কার করেছেন?


#পোস্টদাতা তিনি বুঝাতে চাইছেন৷ যে এই আবিস্কার এর সম্পুর্ন ক্রেডিট আমরা, সরকার, সাংবাদিক মিডিয়া সবাই ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী কে দিয়ে দিয়েছি। আর এটা দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনেক ব্যবসা করে লাভবান হয়ে যাচ্ছেন। আর আবিষ্কারক উদ্ভাবক এর নামের পাশে মনে হয় ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এর নাম বসে গেছে। আগামীকাল ই একটা সাধারণ জ্ঞান বই বের হবে। যাতে লেখা থাকবে করোনা টেস্টিং কিট কে আবিস্কার করেন? উত্তর ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী , । আসলে কি তাই? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বা বিজন কুমার শীল কি বলেছেন যে এটা কারো একার আবিষ্কার। বাকি যারা তারা এমনিতেই ছিলো ।
তাহলে এই সাধারণ কথা নিয়ে এতো রাজনীতি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী কি বলেছে যে আমি একা আবিষ্কার করেছি আমাকে এর সব লাভ দিতে হবে। এটা দিয়ে আমি ব্যবসা করব, বলেছে কি? না।

যদি বলতো চলুন দেখি তাহলে পরিস্থিতি কেমন হতো
১) ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী যদি বলতো এটা আমার আবিষ্কার , তাহলে বিজন কুমার শীল কে আর তার সংস্থার দায়িত্ব দিতেন না। বলতেন তোমার নামে প্যাটেন্ট নিয়ে রাখছো। আর আমার ল্যাবরেটরিতে কাজ করতে চাও। আমি তোমাকে কেন সুযোগ দিবো। এতে আমার লাভ কি। তুমিই তো এর আবিস্কারের সব ক্রেডিট নিয়ে নিবে। তাই আমার কোন সহযোগিতা তুমি পাবে না। তিনি কি এসব বলেছেন? না বরং কিভানে গবেষণা কাজ চালানো যায়। কি করলে ভালো হবে৷ কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করা যায়। সব কাজ করেছেন।
সরকার কিট নিতে চাচ্ছিল না। সেখানে কিভাবে এই টেস্ট কিটকে গ্রহনযোগ্য করা যায়। সকল কাজে সম্মুখে ছিলেন তিনি।



২) ডঃ বিজন কুমার শীল স্যার কি এমন কোন কথা বলেছেন? যে আমিই একা এই টেস্ট কিট আবিষ্কার করলাম। আর এখন ক্রেডিট নিচ্ছে জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বা অন্য সহযোগীরা আমার ক্রেডিট নিয়ে নিচ্ছে। তাই আমি একা গবেষণা করবো। কাউকে এর ভাগ দিব না। বলেছে কি? না। বরংং তিনি প্রেস ব্রিফিং এ কে কি করেছে কারা কারা ছিলো তার সাথে, সবার নাম উল্লেখ করেছেন। তাহলে আমাদের মহাজ্ঞানী গুণী মশায় এটা নিয়ে এতো রাজনীতি করেন কেন? তাও আবার ফেসবুকে , হাসি পায় এসব কাজ দেখলে


২৬ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, ৬:৪৪

তার ফেসবুক পোস্টে মানুষটিকে (ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী কে) যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটা মোটেও একজন জ্ঞানী গুণী লেখকের কাজ হতে পারে না। আর কোন মানুষ এই বিষয় নিয়ে এমন রাজনীতি করবেন কিনা জানা নাই। ডঃ বিজন কুমার শীল কে যদি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এতোই ধোকা দিতো তাহলে তিনি কেন বললেন না? আর এখানে একা খাওয়ার কথা আসছে কেন?
ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোন আচরণে কি মনে হয়েছে যে সে বলেছে সব ক্রেডিট আমার। বরং সরকার কিট গ্রহণ করলো না। আর তিনি সেটাকে গ্রহণযোগ্য করতে কতো কি করলেন। এটা কি ওই লেখক দেখে না? জানি এইখানে অনেক মানুষ পাওয়া যাবে আমাকে জিজ্ঞেস করবে এই ব্লগে এই লেখা দেয়ার মানে কি? আমিও বলবো এমন একটি ভালো কাজকে বিতর্ক করার মানে কি


মুন্নী সাহা সঞ্চালিত এটিএন নিউজ এর টক শোতে তিনি (ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী) বললেন কিট তৈরির জন্য কতগুলো মেধাবীকে তিনি একত্রিত করেছেন। তিনি কিছুই না। এখন ভেবে দেখুন এটাই বা ক'জন করে। আবার দেখুন গালমন্দ তাকেই সবাই দিচ্ছে তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। যাহোক দেশের মানুষের মঙ্গল হলেই চলবে। এই কথা কেউ বলেনা। কেন যাকে দেখতে পারিনা তার চলন বাঁকা এই জন্য?





যে ফ্যাসিলিটি ডঃঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রোভাইড করেছেন তার অবদান কম কিসে?ডক্টর বিজন শীল হল গবেষক, তিনি কি প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিং করবে? বিজ্ঞানীরা কি এখন প্রেস ব্রিফিং করে করে নাম কামাবে?।এ কিট বাজারে আনার জন্য ডাঃ জাফরুল্লাহ এদেশের মুনাফাখোর চোরদের সাথে এক প্রকার যুদ্ধে নেমেছে।এই জন্যই তাকে এত বেশি মিডিয়ায় সামনে আসতে হচ্ছে এবং টেস্ট কিটের ব্যাপারে সে এত বেশি হাইলাইটস হচ্ছে।আর তার জন পরিচিতি বেশি তাই সে প্রেস ব্রিফিং করে। আর ডঃ বিজন কুমার শীল স্যার কি একদিনো আসেনি প্রেস ব্রিফিং এ।এটা দেখে ঈর্শান্বিত হয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার কোন মানে হয়না।



আমি শুধু ওই জ্ঞানী মানুষটিকে একটা কথা বলবো


ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার একবারও বলেনি এটা জাফরুল্লাহর কিট , এটাকে সবাই এবং জাফরুল্লাহ স্যার নিজেও বলে গণস্বাস্থ্যের কিট বলে পরিচয় দিয়েছেন। ধন্যবাদ গণস্বাস্থ্যকে আপনাদের মতো মানুষকে চিনিয়ে দিলো।
বিতর্কিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন একটা লেখায় আপনাদের নামে খুব করে মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন।
তা আজ আবার প্রমাণ পেলাম। এর আগেও পেয়েছি তবে আজকে প্রমাণিত।।। ১০০
শুধু একটা কথা বলে যেতে চাই, আপনারা ফেসবুক ফ্রি পাইয়া, আর জনগণের সাপোর্ট পেয়ে যেভাবে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করছেন এটা ঠিক না। আপনি বিষয়টি যেভাবে দেখাচ্ছেন, ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর ডঃ বিজন কুমার শীল এই দুই জন সেভাবে ভাবেনি। আপনি ভাবছেন যে ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী একা সকল সুবিধা ভোগ করছে। আমি বলবো ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এমন কি সুবিধা ভোগ করেছেন এই কয়দিন? আর তারা যদি আপনার মতো নোংরা রাজনীতি করতেন, তাহলে এই করোনা কিট তৈরি হতোনা ।
আজকে যদি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভাবতো যে এটা তো আমার নামে প্যাটেন্ট নাই। এটা ডঃ বিজন কুমার শীল এর নামে।
তাহলে আমি কেন তাকে আমার প্রতিষ্ঠানে সুযোগ দিব? তাহলে এই আবিষ্কার হতোনা। আবার ডঃ বিজন কুমার শীল যদি চিন্তা করতো যে আমি আবিষ্কার করবো আর মানুষের কাছে পরিচয় পাবে ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এর নাম, আমি তার প্রতিষ্ঠানে কান করবো না। তাহলেও এই কাজ থেমে যেতো। আর সহযোগী যারা আছে

হলেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. আদনান, ড. মো. জহিরউদ্দিন ও ড. সোহাগ’— তারাও তো কোন পাবলিসিটি পেলেন না। তারা যদি আপনার মিতো নিচু মনের অধিকারী হতেন। তাহলে আজকে আমরা এই কিট পেতাম না।


আসল কথা হল ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বা ডঃ বিজন কুমার শীল ও তাদের টিমের হলেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. আদনান, ড. মো. জহিরউদ্দিন ও ড. সোহাগ’— এবং ডা. ‍মুহিব উল্লাহ খোন্দকার তাদের মূল টার্গেট ছিলো দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করা। তাদের মূল টার্গেট ছিলো এই কাজের সফলতা অর্জন করা। আর মানুষের সেবা করা। তারা আপনাদের মতো নোংরা রাজনীতি করে না।
তাদের মনে পাবলিসিটি পাওয়ার লোভ নাই। তাই তারা এসব প্রশ্ন তোলে না। আর আপনি লেখক, চাটুকার আর তেলবাজ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১১:৫৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×