আজকাল দেখি অনেক ছেলেমেয়েই তাদের রাজনীতিবিদ বাবার পাক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করেছেন । আর তাদের কলাম দেখে মনে হচ্ছে, তারা একেকজন ফেরেশতা। এইসব সন্তানদেরকে বলি, আপনি যে ভোগবিলাসের মাঝে মানুষ হয়েছেন, তার অর্থের যোগান আপনার বাবা কিভাবে করেছেন, কখোনো কি তা একটু খোজ নিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেছেন???
আমার অনেক বন্ধুই আছে যাদের বাবা অথবা ভাই সরকারি চাকরি করে।মাঝে মাঝেই তাদের মুখে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে বিশাল বিশাল সব লেকচার শুনি।কিন্তু যখন তার বাবা একটা নতুন গাড়ি কেনে, অথবা সবাই মিলে থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া ঘুরতে যায় সেটা সবাইকে গর্ব করে বলতে তাদের একটুকুও বাধে না।
এছাড়াও অনেক টিচারকেই দেখেছি, যারা রাজনিতিবীদ আর আমলাদের দূর্ণীতির ব্যাপারে গলাবাজি করেন।তাদের ছেলেমেয়েরাও অহংকারে বাচে না যে, তাদের বাবা একজন বিশাল সৎ মানুষ।কিন্তু তার বাবা যে ২০০-৩০০ ছাএকে নিয়ে কোচিং ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে, সেটাও গর্ব করে তার বন্ধুদেরকে বলতে ভোলে না।
এছাড়া যারা ব্যবসায়ী বাবার ছেলেমেয়ে তদেরকে বলি, আপনার বাবা কতটুকু সৎ একবারও কি একটু খোজ নিয়ে দেখেছেন? ঠিকমতো আয়কর দেয় তো?রাজনিতিবীদদের সঙ্গে তার কতটুকু দেনাপাওনা, সেটা জানেন তো?হজার হাজার শ্রমিক যারা তার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয় তো?তার উৎপাদিত পণ্য আপনি নির্ভয়ে ব্যবহার করেন তো?
আসলে আমরা তরুনরা দূর্ণীতির ব্যাপারে অনেক সোচ্চার।কিন্তু আমার বাবা, ভাই অথবা অনেক ক্ষেএে মা যে দূর্ণীতি করছে সেটা জেনেও আমরা না জানার ভান করে থাকি।অথবা ব্যাপারটা আমাদের কাছে পুরোপুরি স্বাভাবিক মনে হ্য়।হয়তবা প্রিয়জনদের এই দূর্ণীতিগুলো ছোটোবেলা থেকে দেখতে দেখতে আমরা পুরোপুরি অভ্যাস্ত হয়ে যাই, তাই এই দূর্ণীতিগুলো চিন্তার বাইরেই থেকে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




