somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বাংলা নববর্ষ: গ্রাম ও শহরে"

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শহুরে মানুষ হওয়ায় বাংলা নববর্ষের সময় গ্রামে খুব বেশি একটা থাকা হয়নি। এর বড় কারণ হলো, সাধারণত এপ্রিল- মে মাসেই আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হতো। ফলে কখনো যদি ঈদে বা বছর শেষে যাওয়া না হতো, তবে গ্রামের বাড়িতে সাধারণত যাওয়া হতো পরীক্ষার পরে। সেটাও বোধ করি মে মাসের শেষের দিকে। তবে ঈদ বা বছর শেষে ফাইনাল এক্সামের পরেই সাধারণত গ্রামের বাড়িতে বেশি যাওয়া হতো।

সে যাই হোক, বাংলা নববর্ষের সময়ও কয়েকবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। সময়টা বোধকরি, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ এর মধ্যে হবে। সে সময় এটা উপলব্ধি করেছিলাম যে, বাংলা নববর্ষের যে আয়োজন সেটা মূলত শহরেই বেশি করা হয়। গ্রামের বাংলা নববর্ষের উৎসবটি হয় মূলত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতাকে কেন্দ্র করে। প্রায় প্রতিটি দোকানই দেখতাম নানা ভাবে সাজানো হতো।

রীতিমতো বিয়ের কার্ডের মতো করে ক্রেতাদের কাছে বকেয়া হিসাবটি পাঠানো হতো। ক্রেতারা দোকানে এসে সেটা শোধ করতেন। কেউ কেউ পুরোটা না দিতে পারলেও অন্তত কিছু টাকা হলেও পরিশোধ করতেন। দোকানদার বা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও দেখতাম সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হতো। মিষ্টির সঙ্গে অনেকে আবার লুচিও দিতেন। আর শেষে পান তো থাকতই।

কেউ কেউ আবার মিষ্টির বাইরে অন্যান্য খাবার, যেমন বাতাসা, মুড়কি, খই, মুড়ি, নাড়ু প্রভৃতি রাখতেন। কেউ টাকা দিয়েই চলে যেতে চাইলে তাকে খাবার পার্সেল করে দেয়া হতো। আমরা ছোটরা যারা বাকির তালিকায় পড়তাম না, তারাও এসব থেকে বঞ্চিত হতাম না। আর পরিচিত কারো দোকান হতো, তবে তো আর কথাই নাই। দেদ্দারছে পেট পুরে লুচি-মিষ্টি খেতে পারতাম।

মোটকথা, সে সময় শহরের বাইরে বাংলা নববর্ষ মানেই ছিল হালখাতা। আর হালখাতা মানেই হলো নানা রকমের খাবারের সম্ভার। অথচ শহুরে জীবনে বাংলা নববর্ষ মানে হলো নানা আয়োজন, উপলক্ষ আর আনুষ্ঠানিকতার ছড়াছড়ি। সেসব আনুষ্ঠানিকতায় প্রাণ থাকুক বা না থাকুক, তাতে কারো কিছু যায় আসে না। আনুষ্ঠানিকতা পালনই হলো যেন মূল কথা।

............................................................................(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×