এক•
কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে আমার সামনের লোকটাকে ইমিগ্রেশন আটকে দিল। তিনি ভিজিট ভিসায় এসেছেন। এর আগে মালয়েশিয়ায় সাত বছর চাকরী করেছেন। ইমিগ্রেশন অফিসারের সন্দেহ তিনি মালয়েশিয়ায় আবার কাজ করতে এসেছেন। তাই ফেরত।
দুই•
রোমানিয়া এয়ারপোর্টে সুলেমান সাহেব ধরা। তিনি জব ভিসায় এসেছেন। তার পাসপোর্ট উল্টেপাল্টে ইমিগ্রেশন অফিসার দেখলেন এর আগে তিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় ঘুরেছেন নয় দশটি দেশ। তার মানে তিনি মোটামুটি ধনী। এখন কাজ করতে এসেছেন রোমানিয়ায়? ইউরোপের সবচেয়ে গরীব দেশে? তিনি তো আজকে ঢুকলে কালকেই চলে যাবেন ফ্রান্স। কাজেই গো ব্যাক। রোমানিয়া কারো ট্রানজিট হতে চায় না।
তিন•
আঃ রহিম এসেছে বুখারেষ্ট এয়ারপোর্টে। তার ওয়েল্ডিং কারখানায় চাকরীর ভিসা। ইমিগ্রেশন অফিসার জিগ্যেস করলেন- আপনি কি কাজ করতে এসেছেন? উত্তর- আমি এইচএসসি।
এখানে আপনার চাকরিদাতার নাম কি?
রহিমের উত্তর - জব ভিসা।
এভাবে যত প্রশ্ন, রহিমের তত বাকা উত্তর। ত্যাক্ত হয়ে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত - গো ব্যাক।
চার•
করিম গিয়েছে পোলান্ডে। এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ নিলেন। কম্পিউটারে ভেসে উঠলো- ওমানে তিনি দুম্বা চুরির মামলায় একমাস জেল খেটেছেন। অফিসারের সন্দেহ হোল করিমের সেই স্বভাবটা এখনো আছে। না থাকলে আমার দামী ঘড়িটার দিকে এতো অবাক হয়ে তাকায়ে আছে কেন? কাজেই ফেরত পাঠানোই উত্তম।
আপনারা মনে রাখবেন ভিসা হয়ে যাওয়ার পর এয়ারপোর্টে আটকে যাওয়াটা খুবই দূর্ভাগ্যের। আপনার নিজের কারনেই বেশীরভাগ সময় আপনি ব্যার্থ হবেন। তাই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে এবং স্মার্টলি প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে হবে। কনফিডেন্ট থাকুন। সাবলীল থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮