আমি ঐশী। ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত, কিছু সময়েরঅপেক্ষা। ছোট কালের কিছু স্মৃতি আমার নিউরনগুলোকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে বার বার। ৫ বছর বয়সেবাবার সাথে বৈশাখী মেলায় কুমারের দক্ষ হাতেরতৈরি পুতুলগুলির দিকে যখন লোভ হল, বাবা দমক দিয়েবলল, ঐ সব পুতুলগুলি difficult middle class familyমেয়েদের জন্য, তোমার হাতে আমেরিকার পান্ডাপুতুলটি মানায়। বাবার বেতন কত ছিল তখনো আমারজানা ছিল না তবে বেশ বুঝতাম আমাদের অনেকটাকা। মায়ের শরীরে ভারী গয়না দেখে জিগাসকরিলাম, আম্মু পুলিশের চাকুরীতে বুঝি অনেকটাকা???ক্লাসে পড়া না পারলেও শিক্ষক আমাকে কিছুই বলতনা। পরিক্ষার খাতায় সোনার বাংলা লিখে দিলেও ১০০পেতাম। ক্লাসে বন্ধুরা ভয়ে আমার সাথে কথা বলতনা। বাবাকে জিগাস করিলাম, বাবা পুলিশকে মানুষ ভয় পায়কেন? আমার দামী টিপিনের খাবার যখন বন্ধুদেরসাথে শেয়ার করতে চাইতাম বন্ধুরা বলত, তারা ঘুষেরটাকার খাবার খাবে না। বাবাকে জিগাস করতাম বাবা তুমি কিঘুষ খাও?বয়স যখন ১৫ বছরে পা দিল। অফিসের বাম হাতেরবেশির ভাগ কাজ আমাদের বাসায় হত। মাদকেরলেনদেন, কালো টাকার কাজ, নিরহ মানুষকেবোতলে ভরা ইত্যাদি কাজ গুলি বাবা নিখুঁত হাতে করত।মা বাবাকে সমর্থন করত।আমার সকল প্রচেষ্টা যখন বাবাকে ভালো করতেপারল না। তখন অন্য পথ আবিষ্কার করলাম। নিজে নষ্টহয়ে বাবাকে শিক্ষা দেওয়া। আমি সই পাতাইছি খারাপছেলেদের সাথে। ইয়াবা খেয়ে বাবাকে বললাম,আমার হাতে এই যে ইয়াবা দেখছ! প্রতক্ষ্য ভাবেতুমিই আমার হাতে তুলে দিয়েছ।সময় গড়াইতে গড়াইতে ১৮ বছরে যখন আসলাম।আমি নেই সেই আগের ঐশী। কিন্তু বাবা সেইআগের বাবাই রয়ে গেল। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বাবাকেহত্যা করে ছোট ভাইকে নিয়ে চলে যাব অনেকদূরে। আমি নষ্ট হয়েছি, খারাপ রক্ত আমারশরীরে। আমার ছোট ভাইকে তা হতে দিব না।বাবার কুকর্ম সাথী মা। দুজনকে হত্যা করে পালাতেগিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলাম। ভাবছেন আইননিজের হাতে কেন তুলে?????? এই দেশেরআইন This is my foot. যেখানে রহিম মিয়া ২৩ বছরবিনা অপরাধে শাস্তি পেল। আমার হাসি আসছে এইকারনে যে, আমার মৃত্যুর রাই যিনি দিল, তিনি আমার বাবারই দলে।।।।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫