রেডিওগ্রাফিঃ নিজ
শুক্রবার ঘড়িতে সময় ০২ঃ০০ টা বায়তুল মোকারম জামে মসজিদ এ জুমা নামাজ শেষ করে আন্দোলনে নেমে যায় এই ভাই টি। হঠাৎ করেই তার সামনে এসে পড়ে তার ঈমাম এর রক্তাক্ত দেহ। রক্ত দেখে সে দৌড়ে বা পালিয়ে যায় নি সে ভাবে আমার সামনে আমার হুজুর আহত হয়েছে আমার বেচে থেকে কি লাভ। যেই ভাবনা সেই কাজ নেমে পড়ে সেও পাল্টা আক্রমন এ। সাবার আক্রমন দমাতে প্রসাশন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এবং কি সেও এক পর্যায় এ আহত হয়। তার সহপাঠিরা আহত দের ধর্মীয় চেতনা থেকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল তাদের কোন পরীক্ষা না করেই মাথা টিপে টিপে মিথ্যে শান্তনা দেয় এই বলে যে, মাথায় কোন প্রকার সমস্যা হয় নি এবং কোন ফরেন বডি নেই।(আহত লোকটির মাথাটিই উপরের ছবিতে) এবং রিলিজ করে কোন কাগজ না দিয়েই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অতি দ্রুত আহত হুজুর দের প্রস্থান করে।
ঢাকা মেডিকেলে গেলেও তাদের ফিরে আসতে হয় কারণ কোন হুজুর দের তারা ভর্তি করবেনা বলে তাদের বের করে দের। প্রশাসন এর শক্ত অবস্থান দেখে তারা আর বেশী মুলামুলি না করে ফিরে আসে।
দুই দিন পর লোকটি তার নিজ জেলা হবিগঞ্জ সাহিদ চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হয়। চোখে গুরুতর জখম থাকার কারনে ডাক্তার তাকে অরবিট হাড়ের একটি এক্স রে দেয়। রোগীটিকে দেখে আমার খুব মায়া হয় এবং আমি খুব যত্ন সহকারে পরিক্ষাটি করি। রিডারে ক্যাসেট দিয়ে আমি স্কিনে চোখ রাখতেই দেখি স্পিন্টার এর অবস্থান। আমি রোগীটিকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম এবং তার মাথার ভেতরে অংশটুকু দেখালাম নিশ্চিত করলাম স্পিন্টার অবস্থান। এবং রোগীকে বললাম শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল ও আপনার সাথে ষড়যন্ত্র করলো তাই না।
রোগিটি পড়ে যাওয়ার আগেই আমি তাকে চেয়ার এ বসালাম, তার আহত চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল এবং আপসোস করতে থাকলো।
প্রশাসন এর শক্ত অবস্থান এর ফলে তারা ইলিগাল দাবীতে সফল হতে পারেনি হয়েছে রক্তাক্ত ক্ষত। আমাদের দেশের মেরুদন্ড এখনো অনেক কাচাই রয়ে গেছে, এজন্য হয়তোবা কোন এক দিন সরকার কেউ ভূগতে হবে।
#ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬