এই শিরোনামে গত ২৪ ঘন্টা থেকে প্রথম পাতায় কেউ না কেউ পোস্ট দিচ্ছেন। ভবিষ্যতেও দিতে থাকবেন। এটি খু্বই ভাল লাগছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, কিছু রাজাকার সমর্থক ছাড়া আমরা সবাই চাই।
যারা এই শিরোনামে পোস্ট দিচ্ছেন, তাদের প্রতি আমি একটি অনুরোধ করছি। আপনারা আপনাদের পোস্ট থেকে "যৌবনযাত্রা" সাইটের যতগুলো শব্দ আছে সব মুছে দিন। প্রথমপাতায় কিছুক্ষন পরপর পোস্ট আসছে। সব পোস্টেই "যৌবনযাত্রা" সাইটের কথা লেখা আছে। এটি একধরনের বিজ্ঞাপনের কাজ করছে। প্রতিদিন অসংখ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক ভিজিটর সামহোয়ারইন ভিজিট করে, তাদের কাছে এভাবে একটি এডাল্ট সাইটের বিজ্ঞাপন করাটা ঠিক কাজ হচ্ছেনা।
এখন আপনারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, যৌবনযাত্রা হোক আর সামহোয়ারইন হোক, প্রতিটি সাইটেরই একটি মালিকপক্ষ আছে। এই মালিকপক্ষকে রাজী করানোটা সহজ কাজ নয়। আপনার শুধু একজন নয়, অনেকে মিলে পোস্ট দিচ্ছেন, এখন ভেবে দেখুন একজন অমি পিয়াল যৌবনযাত্রার মালিকপক্ষকে ব্যানার লাগানোতে কিভাবে রাজী করিয়েছেন। তিনি নাকি সেজন্য মুকুটহীন সম্রাট সেজেছিলেন। জানিনা আর কি কি করেছিলেন।
যাইহোক, আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, শুধু কোন সাইটের ইউজারদের নিয়ে নয়, সাথে সাথে সেই সাইটের মালিকপক্ষকে নিয়েও চিন্তা করতে হয়। আমার যত ক্ষোভ পর্ন সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে।
তারা যেটা করে, সেটা আমার বিবেচনায় কোনমতেই সঠিক কাজ নয়। সমাজের অন্য অপরাধীদের মতই তারা একধরনের অপরাধ করেই তাদের জীবিকা অর্জন করে। পর্নো, পতিতাবৃত্তি এসব প্রমোট হলে, যারা পতিতা তাদের খুব বেশী লাভ হয়না বরং যারা পর্ন, পতিতাব্যবসা করে তাদেরই লাভ বেশী হয়। আপনারা জানেন, বেশীরভাগ নারীদেরকে জোর করে পর্নো ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয।
গত দিনের আমার পোস্টে আমার সব ক্ষোভ ছিল, যৌবনযাত্রার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। আমাদের বাংলাদেশে মানুষ এত কমে যায়নি যে, যারা পর্ন ব্যবসা করে তাদেরকে সাথে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। একটা কথা খেয়াল করবেন, আমি কিন্তু বলিনি, যারা যৌবনযাত্রা ইউজার বা ভিজিটর তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে পারবেন না। তারা অবশ্যই চাইতে পারবেন। সেটার জন্য সংগঠিত হতে আমাদেরকে কেন একটি পর্নো সাইটের প্লাটফর্ম ব্যাবহার করতে হবে। আমাদের ব্যবহার করার মত প্লাটফর্মের কি এতই অভাব?
যৌবনযাত্রা সাইটের কথা না লিখেও সামহোয়ারইনের কাছে ব্যানার লাগানোর দাবী করা যায়। যৌবনযাত্রা বা যৌবনজালার মূল কনটেন্ট হলো পর্নো। পর্নো বাদ দিলে তারা দুদিনেই পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই তারা কখনো পর্নো বাদ দিবেনা। অমি পিয়াল যদি তাদেরকে পর্নো বাদ দিতে বলে , তারা অমি পিয়ালকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে যৌবনযাত্রা থেকে বের করে দিবে।
আমি একটি সূত্রে জেনেছি, কিছুদিন আগে যৌবনজালার মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। লন্ডনপ্রবাসী জনৈক ব্যক্তি যিনি সম্প্রতি একটি ফোরাম খুলে ফ্লপ খেয়েছেন, তিনি যৌবনজালায় একটি বিরাট অংশ বিনিয়োগ করে কিনে নিয়েছেন। উনাদের টার্গেট হলো, বাংলাদেশের প্রথমসারির কিছু সাইট নিজেদের করে নেওয়া ও তাতে নিজেদের মতাদর্শের প্রচার প্রচারনা চালানো। খবরটি সত্য কিনা আমি এখনও নিশ্চিত নয় বিধায় আর বিস্তারিত কিছু বলবনা, যাদের বুঝার ক্ষমতা আছে, তারা নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন।
আবারো অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের পোস্ট থেকে "যৌবনযাত্রা" সাইটের যতগুলো শব্দ আছে সব মুছে দিন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। এই মুহূর্তে আমরা যেটা করতে পারি, যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দেওয়া। একজন যুদ্ধাপরাধীও যাতে ভোটে জিততে না পারে। জিততে পারলে সেটি আমাদের সবার ব্যর্থতা। কোনভাবেই যাতে জিততে না পারে সে ব্যাপারে যার যার অবস্থান থেকে জনমত গড়ে তুলুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




