প্রশ্ন দেখলাম কয়েকটা, তবে স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসা প্রশ্ন মনে হল, ব্লগার দিপের, কিছু উত্তর দিয়েছিলাম.।.।শেয়ার করলাম সবার সাথে।
১/হযরত মুহাম্মদ সঃ এর সিনিটীফিক নাম কি?
২/হযরত মুহাম্মদ সঃ কুরানে কি কি চেনজ এনেছে?
৩/তাবলিক বা ইসলামের দাওয়াতে নেওয়ার জন্য জান্নতের হুর এবং সারাবের লোভ দেখানো হয়। এটা কতটা যুক্তিযুক্ত ?
৪/জান্নাত কিংবা জাহান্নামের কথা চিন্তা করেই কি দুনিয়ায় কাজ করা উচিত নাকি আল্লাহর সন্তুস্টি আদায়ের জন্য কাজ করা উচিত।
৫/ মা্নুষ সৃস্টির সেরা জীব । এটাতো জানি। কিন্তু মানুষ কি সকল সৃষ্টির থেকে সুন্দর?
৬/ নাস্তিকরা নাকি কাফেরদের থেকে খারাপ, যুক্তি কি?
৭/ যারা বিধর্মি তারাই কি কাফের?
৮/ ইসলামে কি এই কথা আছে যে আল্লাহ বলেছেন যারা ইসলাম বিরোধী তেদের আমি ধ্বংস্ব করে দিব।
৯। কোরান মুখস্ত কিন্তু অর্থ জানেনা তাদেরকে কি হাফেজ বলা যায়।
১০/ মুসল্মান ছাড়া আর কেউ জান্নাতে যাবেনা। তাহলে আফ্রিকা বা পৃথিবির বিভিন্ন অঞ্চলে যে সকল মানুষ ইসলাম সমপর্কে অবগত নয় তাদের কি হবে।
কতিপয় প্রশ্নগুলো খুব স্বাবাভিক হলেও আমার কাছে এগুলো, সিরিয়াস। আর কেউ না জেনে আন্দাজে কোনো কথা বলবেন না। পারলেলিঙ্ক বা রেফারেন্স দিন।
উত্তর_____
১। মানুষের সায়েন্টিফিক নেম হোমো স্যাপিয়েন্স বলে ইন্ডিভিজুয়াল সবার নেম থাকতে হবে এমন কোন যুক্তিগত কথা নেই।
ইতিহাস যেন পরিবর্ত্ন না হয়ে যায় সে কারনে সেরা দের একটা আলাদা নাম সেওয়া হয় এওতাকে সাইনটিফিক নেম বলে। সেটা গতিময় বিজ্জানের না। তার একটা আছে,। ক্লাসে শুনেছিলাম। এখন মনে আসছে না।
ক্লাসের শোনা কথা, মানুষের দেয়া নাম, এটার কোন ভ্যালিডিটি আমার কাছে নাই , তাই আমি সা নেম খুজতেও যাইনা। প্রশ্নটা সলিড লাগেনাই, ব্যাপার না হয়ত জানতে চেয়েছেন তাই দিয়েছেন।
২। পুরা কোরান নাজিল হয়েছে নবীজির উপর, সোজা কথায় আল্লাহর কথা নবীজির মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়ে মানব সমাজে এসেছে, সো যিনি সোর্স(সোর্স আল্লাহ, বোঝানোর জন্য বললাম আরকি) তার তো চেঞ্জ করার কথাই আসেনা কারন তার মাধ্যমে পুরাটা নাযিল হবার পর পুরা সংকলন্টাই করান। এখন যদি জিজ্ঞেস করেন আল্লাহ টু নবীজি ওয়ারল্যাস মিডিয়ার ব্যাখ্যা দেন, সেই ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবোনা, তবে এক গায়েবি ব্যাখ্যার জন্য ইসলাম মিথ্যা হবেনা কারন চোখে দেখা যায় এরকম বহু উদাহরন আছে বিশ্বাস করার মত যদি নিউট্রালি বিশ্বাস করার মানসিকতা থাকে।
৩। জান্নাতের আর সরাবের লোভ দেখিয়ে ইসলামে নিয়ে আসার কথা বলা কোন যুক্তিরই কথা না সেটা তাবলিগ, জাকির নায়েক, দুনিয়ার টাইটেল দেয়া সেরা আলেম, আপনি, যেই বলুক না কেন।
৪। জান্নাত গায়েবি ব্যাপার হলেও তার সুখ পাবার বাসনা, বস্তুগত অফুরন্ত সুখের ইন্ডিকেশন দেয়। আর বস্তুগত সুখ পাবার বাসনা কোন মুসলিমের থাকতে পারেনা, পারলেও সে আল্লাহর পছন্দনীয় হবার কথা না।
অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তার ইবাদাত করতে হবে, জান্নাত পাবার জন্য নয়।
৫। সৌন্দর্য আপেক্ষিক, আপনার চোখে যা সুন্দর, আরেকজনের চোখে তা সুন্দর লাগতেই হবে ভাবার কোন কারন নেই। ভাবের প্রশ্ন, করার প্রয়োজন ছিলনা,তবে সৃষ্টির সেরা তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আমি মনে করি সুন্দর কারন এর থেকে সুন্দর কোন প্রানী এখনো আমার চোখে পড়েনাই, আপনার পড়লে জানাবেন। হুর নিয়ে জেনে নেবেন, তবে এতটুকু আইডিয়া দিয়ে রাখি, আপনার জীবনসঙ্গী যদি আপনার মত নেককার হয় আর দুজনেই যদি জান্নাতে যান, তবে তাকে আপনাকে দেয়া হুরদের মধ্যে প্রধানের মর্যাদা ও সৌন্দর্য দেয়া হবে।
দুনিয়াতে আপনার ওয়াইফ নিশ্চই হুর নামক কোন সৃষ্টি হবেননা, মানুষই হবে।
৬। নাস্তিকরা কাফেরদের থেকে খারাপ, এটা আপনি বলছেন, আমি বলিনা, কোথা থেকে জানলেন তাও জানিনা, যতটুকু পড়লাম কোরানে ডিরেক্ট কিছু নাই, আপনার করা একটা দুর্বল, অসম্পূর্ণ প্রশ্নের খন্ডনীয় যুক্তি থাকতেই হবে এটা না ভাবাই ভাল।
৭। কাফের যতটুকু জানি, নিজের বোধবুদ্ধিতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বোঝার পরও তাকে মানতে অস্বীকার করা।
এখন আপনার জানা কোন বিধর্মী তার মত করে সৃষ্টিকর্তার কন্সেপ্ট বুঝেও তা না মানে , অবশ্যই সে কাফের, যদি না জেনে বসে থাকে জানার সামর্থ্য থাকা সত্তেও তাহলেও সে কাফের, কোন নামে মুসলমান যদি আল্লাহর অস্তিত্ব জেনেও তা ভালভাবে না মেনে চলে সেই মুসলমানও কাফের, কারন ইস্লামে আছে, প্রতিটা শিশুই পৃথিবীতে আসে মুসলমান হয়ে , তাই কাউকে বিধর্মী ভাবা ঠিক না কেবলমাত্র এই পৃথিবীর মানুষের তৈরি করা নিয়মে চলতে হয় বলে।
৮। এধরনের শুনেছিলাম এবং পড়েছিলাম মনে পড়ছে , রেফারেন্স ভুলে গেছি সরি, তবে এই ধরনের মানুষ তারাই হবে যারা ইসলামের সত্যি জেনেও তা ধংস করতে চায়। আর সামর্থ্য নাই বলে যদি কেউ না জানে তবে আল্লাহ তাকে অবশ্যি মাফ করে দেবেন। কারন তিনি বলেছেন " আমি অবশ্যই তোমাদেরকে , তোমাদের পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষেই বিচার করব"
৯। কোরানে কোথাও দেখিনি যে কাউকে হাফেজ বলার ক্রাইটেরিয়া কি। যদি এর সংগা এটাই হয় যে যার কুরান মুখস্থ থাকবে ইররেস্পেক্টিভ অর্থ জানুক আর না জানুক তাহলে কোন সমস্যা নাই। এখন এই নাম দিতে যদি আপনার আপত্তি থাকে তাহলে তা পার্সোনাল ব্যাপার। যারা মুখস্থটাও করে তারা ডেডিকেশন নিয়েই করে, সেটাও ফেলনা না।
১০। উত্তর ৮ এর শেষে দেয়া আছে।
আশা করি কেবল জানার জন্যই প্রশ্ন করেছেন। কাউন্টার চাইলে দিতে পারেন, তবে সাম্নাসামনি না বসে কাউন্টার বেশি চালানো যায়না কিছু লেখা দিয়ে। নিজে যা বুঝি আর জানি তা থেকে বললাম, এই কথাগুলা কোন বেদবাক্য না।
ভাল থাকবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




