বাংলার সীমা
রঈস-দীন
সীমা, তোমার সীমানা ছেড়ে
আমি ভুল করেছি
এখানে বিধাতার প্রকৃতি
সর্বত্রই বিকৃতি
এখানের নারীর শরীরে
যৌবন থাকে না সঞ্চয়
বহমান নদীর শৈবালের মতন
দলিত মথিত
রঞ্জনে আবৃত সমস্ত দেহ ।
এখানের নারীর শরীরে খুঁজে পাইনি
মাটির গন্ধ ।
এখানের বাসরশয্যায়
ছড়িয়ে থাকে অজস্র ফুল
এক পাশে নব বধূ ঘুমায়
মধ্যিখানে কুকুর ।
তাই আমার দিন কাটে তৃপ্তিহীন
রাত্রি প্রশান্তিহীন
জীবনকে মনে হয় এক অভিশাপ
তাই মর্মে মর্মে বুঝেছি তোমার অভাব ।
আর বুঝেছি তোমার চারিপাশ
শীতল নিঃশ্বাস নেয়ার কুঞ্জবন
সবুজের অসীম মায়ায়
তোমার রূপের নিরাপত্তার প্রসাধন ।
আজ মনে পড়ে সীমা,
বৈশাখীর সন্ধ্যার সঙ্গমণে
মনাই নদীটির জলে সাঁতার কাটো তুমি অসংকোচে
ডুবে থাকো কিছুণ
তারপর তীরে উঠে বকুলতলের আড়ালে
তোমার তপ্ত শরীর মুছে নাও আঁচলে
সিক্ত কর তনুমন ।
মনে হয় বাংলার মাঠ ঘাট প্রান্তর
মাটি জলবায়ু শস্য ফসল
এসব কিছু নিংড়ানো রস
তোমার দেহের আনাচে-কানাচে করেছো লালন ।
পুষ্পের মতনÑÑ
তোমার দেহখানা তার জন্যে
তুমি করেছিলে গঠন ?
জানি, সেখানে ঠাঁই হবে না আর
আমার শরীরে যা ছিল বাংলার
আর আমার মায়ের আদরে
বেড়ে উঠেছিলাম দুরন্ত উচ্ছ্বাসে
আজ অনাদরে বিদেশিনী নিয়েছে কেঁড়ে
অবশিষ্ঠ নেই আর অনড় অসার ।
এ শুণ্য হাতে ফিরে যদি আসি
তোমার অসীম সীমায়
সীমা, সেদিন কি আমায় করিবে মা ?
সেদিন যদি খুলতে না পারি
তোমার হৃূদয়ের দ্বার
অন্তত দখিনা জানালাটি খোলা রেখো
পাশে থেকো জানালার
বাংলার বাতাস
তোমার শরীর থেকে বয়ে আনবে
বাংলা মাটির সোঁদা সোঁদা সুবাস
সেই সুবাসিত বাতাস তোমার প্রেম
আমার বিশ্বাস
তোমার প্রেমে মিশে থাকবে অনন্তকাল
আমার শেষ নিঃশ্বাস ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




