somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাখপতি থেকে কোটিপতি , সা জায়গায় দেখি ভোগী যোগী !!! দোষ হয় শুধু ভজহরির !!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা এক :
দুপুরে ড্রাইভার কে পাঠালাম টায়ার কিনতে । ড্রাইভার খন্দকার ট্রেডার্স টায়ারের দোকানে গিয়ে দোকান দারের সাথে আমাকে ফোনে কথা বলায়ে দিল ।
.
-আমি দোকনদার কে বললাম MRF টায়ার কত ?
- *****/= টাকা ।
- ঠিক আছে , ড্রাইভারকে একজোড়া সিভিল বিট এর টায়ার দিয়ে দেন ।
- সামনের জন্য CEAT টায়ার টা কিন্তু ভাল , একবার লগোয়ে দেখবা নাকি ?
- আমি ম্যানাজারের সাথে আলাপ করে বলছি ।
.
ম্যানাজারকে বললাম CEAT টায়ার কেমন ?
ম্যানাজার বলল CEAT টায়ার দরকার নাই , MRF টায়ারই নেও ।
.
ড্রাইভারকে বললাম MRF টায়ার নিয়ে এসে লাগাও ।
বিকেলে মিলে গিয়ে দেখছি গাড়িতে CEAT টায়ার লাগানো । ড্রাইভারকে ডাকলাম .
- CEAT টায়ার লাগালেন কেন ? আমি বললাম MRF টায়ার লাগাতে ?
- এইটা কি MRF টায়ার না ? আমি দোকানদারকে বুলনু যে MRF টায়ার দিতি !!!
- আপনি দেখে নিবেন না ?
- আমি ইংরাজি পরতি পারি নি , আমাক বুইল্লো এইডি MRF টায়ার !!!
দোকানদারকে ফোন দিলাম :
- কাকা , এটা কেন দিলেন ?
- ড্রাইভার বলল CEAT টায়ার দিতে !!!!
- (ড্রাইভার বলছে আমি MRF টায়ার দিতে বলেছি !! দোকানদার বলছে , ড্রাইভার CEAT টায়ার দিতে বলেছি / আমার আর বুঝতে বাকি থাকলো না ) কাকা আপনি টায়ার বদলায়ে দেন ।
- বাপ টায়ার গাড়িতে লাগায়ে ফেলছে । এইবারের মত এইটায় চালাও পরের বার MRF লিও ।
.
ঘটনা দুই :

টায়ার হাউজ নামে এক দোকানে ফোন দিলাম :
- তাইওয়ানের, তারের ১৮প্লাই MAXISS টায়ার আছে ?
- আছে কিন্তু ১৬ প্লাই হবে ।
- (দামদর ফাইনাল হয়ে যাওয়ার পর ) আমি ড্রাইভার কে টাকা সহ পাঠাচ্ছি , আপনি প্যাডে লিখে দেবেন ’’ তাইওয়ানের, তারের ১৬প্লাই MAXISS টায়ার”” । ব্যতিক্রম হলে কিন্তু ফেরত পাঠাবো ।
ড্রাইভারকে বললাম , টায়ার নিয়ে এসে , আমাকে না দেখিয়ে গাড়িতে লাগাবেন না ।
টায়ার নিয়ে এস ড্রাইভার আমাকে ডাকলো , গিয়ে দেখি : MAID IN VIETNAM (TAIWAN STANDERD) , 16 PR MAXISS TYER সুতার প্লাই । আমি তো সুতার প্লাই লাগাবো না ।দোকানদারকে ফোন দিলাম :
- ভাই সুতার প্লাই লাগাবো না , আপনি সুতার প্লাই দিলেন কেন ? ভিয়েতনামের টায়ারের চাইতে বাংলাদেশি টায়ার খারাপ কি ?
- তারের প্লাইয়ের দাম বেশি , আর তাইওয়ানের ১৮ প্লাই হয়না ।
- আমি তারের প্লাই ছাড়া নিব না , টায়ার ব্যাক পাঠালাম । (((( টায়ার ব্যাক পাঠানোর পর )))
- আজকে তো টাকা ফেরত দিতে পারছি না , খরচ করে ফেলেছি । এক সপ্তাহ পরে এসে নিয়ে যায়েন ।
ঘটনা তিন :
গাড়ীর পেছনের চাকার ড্রাম কিনতে ড্রাইভারকে পাঠালাম … ইউনিক অটোস , নর্থ ব্রুক হল রোড , বাংলাবাজার , ঢাকা । কারন লিলেন্ড গাড়ীর যাবতীয় অরিজিনাল পার্টস এক জায়গাই পাওয়া যায় । যথারিতি এক জোড়া ড্রাম কিনে নিয়ে আসার পর দেখা গেল ড্রাম দেড় ইঞ্চি ছোট , ব্রেক সু বেড় হয়ে থাকছে ।
আবার ড্রাইভারকে পাঠালাম চেন্জ করে আনার জন্য ।
- ইউনিক অটো - আপনার প্রয়জনীয় সাইজের ড্রাম আমার কাছে নেই ।
- তাইলে টাকা ফেরত দেন ।
- টাকা ফেরত দিতে পারবো না । যেদিন এই সাইজের ড্রাম আমার কাছে আসবে , সেদিন নিয়ে যায়েন ।
- তাহলে এখন আমি ড্রাম কিনবো টাকা পাবো কোথায় ?
- আমি যানি না , তবে ২০০০/= টাকা বাটা দিলে , বাকি টাকার অন্য কোন মাল নিয়ে যেতে পারবেন ।
বাদ্ধ হয়ে অপ্রয়োজনীয় , এক্সেল , স্টিক বোল্ড , ক্লাস বকেট, ফেসিং, বিয়ারিং , থালি ও নুর উদ্দিন ভাইয়ের ব্রেক সু নিয়ে টাকা ওয়াসিল করলাম ।

ঘটনা চার:
ইফাদ অটোজ থেকে কিস্তিতে একটি চেসিস নিয়ে ছিলাম , ২০০৬ সালে গাড়িটির যাবতিয় পাওনা মিটিয়ে দিয়ে ….. ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা হস্তান্তরের দরখাস্ত করলাম । ইফাদ অটোস থেকে বলল তিন মাস পর এসে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানার কাগজ নিয়ে যাবেন ।
এর পর প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর যাওয়ার পর ২০১২ সালে ইফাদ অটোস থেকে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি চিঠি উত্তরা ব্যাংকের কাছে পাঠাতে সক্ষম হই ।
২০১২ সাল থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ইফাদ অটোজে হাজির হলেও আজ অবদি ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা সংক্রান্ত কোন কাগজ হাতে পেলাম না ।
শিক্ষা পাওয়ার পর আর দিতীয়বার ইফাদ অটোজ থেকে গাড়ী কিনি নি !!!
আসলে যারযার ব্যথা সেই সেই অনুভব করতে পারে ।

***** লাখপতি থেকে কোটিপতি , সব জায়গায় দেখি ভোগীযোগী !! দোষ হয় শুধু ভজহরির !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×