ঘটনা এক :
দুপুরে ড্রাইভার কে পাঠালাম টায়ার কিনতে । ড্রাইভার খন্দকার ট্রেডার্স টায়ারের দোকানে গিয়ে দোকান দারের সাথে আমাকে ফোনে কথা বলায়ে দিল ।
.
-আমি দোকনদার কে বললাম MRF টায়ার কত ?
- *****/= টাকা ।
- ঠিক আছে , ড্রাইভারকে একজোড়া সিভিল বিট এর টায়ার দিয়ে দেন ।
- সামনের জন্য CEAT টায়ার টা কিন্তু ভাল , একবার লগোয়ে দেখবা নাকি ?
- আমি ম্যানাজারের সাথে আলাপ করে বলছি ।
.
ম্যানাজারকে বললাম CEAT টায়ার কেমন ?
ম্যানাজার বলল CEAT টায়ার দরকার নাই , MRF টায়ারই নেও ।
.
ড্রাইভারকে বললাম MRF টায়ার নিয়ে এসে লাগাও ।
বিকেলে মিলে গিয়ে দেখছি গাড়িতে CEAT টায়ার লাগানো । ড্রাইভারকে ডাকলাম .
- CEAT টায়ার লাগালেন কেন ? আমি বললাম MRF টায়ার লাগাতে ?
- এইটা কি MRF টায়ার না ? আমি দোকানদারকে বুলনু যে MRF টায়ার দিতি !!!
- আপনি দেখে নিবেন না ?
- আমি ইংরাজি পরতি পারি নি , আমাক বুইল্লো এইডি MRF টায়ার !!!
দোকানদারকে ফোন দিলাম :
- কাকা , এটা কেন দিলেন ?
- ড্রাইভার বলল CEAT টায়ার দিতে !!!!
- (ড্রাইভার বলছে আমি MRF টায়ার দিতে বলেছি !! দোকানদার বলছে , ড্রাইভার CEAT টায়ার দিতে বলেছি / আমার আর বুঝতে বাকি থাকলো না ) কাকা আপনি টায়ার বদলায়ে দেন ।
- বাপ টায়ার গাড়িতে লাগায়ে ফেলছে । এইবারের মত এইটায় চালাও পরের বার MRF লিও ।
.
ঘটনা দুই :
টায়ার হাউজ নামে এক দোকানে ফোন দিলাম :
- তাইওয়ানের, তারের ১৮প্লাই MAXISS টায়ার আছে ?
- আছে কিন্তু ১৬ প্লাই হবে ।
- (দামদর ফাইনাল হয়ে যাওয়ার পর ) আমি ড্রাইভার কে টাকা সহ পাঠাচ্ছি , আপনি প্যাডে লিখে দেবেন ’’ তাইওয়ানের, তারের ১৬প্লাই MAXISS টায়ার”” । ব্যতিক্রম হলে কিন্তু ফেরত পাঠাবো ।
ড্রাইভারকে বললাম , টায়ার নিয়ে এসে , আমাকে না দেখিয়ে গাড়িতে লাগাবেন না ।
টায়ার নিয়ে এস ড্রাইভার আমাকে ডাকলো , গিয়ে দেখি : MAID IN VIETNAM (TAIWAN STANDERD) , 16 PR MAXISS TYER সুতার প্লাই । আমি তো সুতার প্লাই লাগাবো না ।দোকানদারকে ফোন দিলাম :
- ভাই সুতার প্লাই লাগাবো না , আপনি সুতার প্লাই দিলেন কেন ? ভিয়েতনামের টায়ারের চাইতে বাংলাদেশি টায়ার খারাপ কি ?
- তারের প্লাইয়ের দাম বেশি , আর তাইওয়ানের ১৮ প্লাই হয়না ।
- আমি তারের প্লাই ছাড়া নিব না , টায়ার ব্যাক পাঠালাম । (((( টায়ার ব্যাক পাঠানোর পর )))
- আজকে তো টাকা ফেরত দিতে পারছি না , খরচ করে ফেলেছি । এক সপ্তাহ পরে এসে নিয়ে যায়েন ।
ঘটনা তিন :
গাড়ীর পেছনের চাকার ড্রাম কিনতে ড্রাইভারকে পাঠালাম … ইউনিক অটোস , নর্থ ব্রুক হল রোড , বাংলাবাজার , ঢাকা । কারন লিলেন্ড গাড়ীর যাবতীয় অরিজিনাল পার্টস এক জায়গাই পাওয়া যায় । যথারিতি এক জোড়া ড্রাম কিনে নিয়ে আসার পর দেখা গেল ড্রাম দেড় ইঞ্চি ছোট , ব্রেক সু বেড় হয়ে থাকছে ।
আবার ড্রাইভারকে পাঠালাম চেন্জ করে আনার জন্য ।
- ইউনিক অটো - আপনার প্রয়জনীয় সাইজের ড্রাম আমার কাছে নেই ।
- তাইলে টাকা ফেরত দেন ।
- টাকা ফেরত দিতে পারবো না । যেদিন এই সাইজের ড্রাম আমার কাছে আসবে , সেদিন নিয়ে যায়েন ।
- তাহলে এখন আমি ড্রাম কিনবো টাকা পাবো কোথায় ?
- আমি যানি না , তবে ২০০০/= টাকা বাটা দিলে , বাকি টাকার অন্য কোন মাল নিয়ে যেতে পারবেন ।
বাদ্ধ হয়ে অপ্রয়োজনীয় , এক্সেল , স্টিক বোল্ড , ক্লাস বকেট, ফেসিং, বিয়ারিং , থালি ও নুর উদ্দিন ভাইয়ের ব্রেক সু নিয়ে টাকা ওয়াসিল করলাম ।
ঘটনা চার:
ইফাদ অটোজ থেকে কিস্তিতে একটি চেসিস নিয়ে ছিলাম , ২০০৬ সালে গাড়িটির যাবতিয় পাওনা মিটিয়ে দিয়ে ….. ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা হস্তান্তরের দরখাস্ত করলাম । ইফাদ অটোস থেকে বলল তিন মাস পর এসে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানার কাগজ নিয়ে যাবেন ।
এর পর প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর যাওয়ার পর ২০১২ সালে ইফাদ অটোস থেকে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি চিঠি উত্তরা ব্যাংকের কাছে পাঠাতে সক্ষম হই ।
২০১২ সাল থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ইফাদ অটোজে হাজির হলেও আজ অবদি ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স ও মালিকানা সংক্রান্ত কোন কাগজ হাতে পেলাম না ।
শিক্ষা পাওয়ার পর আর দিতীয়বার ইফাদ অটোজ থেকে গাড়ী কিনি নি !!!
আসলে যারযার ব্যথা সেই সেই অনুভব করতে পারে ।
***** লাখপতি থেকে কোটিপতি , সব জায়গায় দেখি ভোগীযোগী !! দোষ হয় শুধু ভজহরির !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬