somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বাচনে নিরংকুশ বিজয়ীরা সব সময় নিপীড়ক!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভুলে যাইনি ২০০১ সালে অস্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট নিরংকুশ বিজয়ের পর সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়েছিল।সিরাজগঞ্জের পূর্নিমারানী শীল, বাগেরহাটে ছবি বালা, বরিশালে প্রিয়াংকারানী, রাজশাহীর পুঠিয়ায় মহিমা খাতুনদের ওপর যে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল তার বর্ননা শুনলে যে কোন বিবেকবান মানুষের গা শিউড়ে ঊঠে। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকার সমর্থকরা বিরোধী শিবিরের সমর্থকদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে দিয়েছে। নিরংকুশ বিজয় ক্ষমতাকে শুধু পাকাপোক্তই করেনি, জবাবদিহীতার কোন বালাই না থাকায় কেউ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছে না। ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই সন্ত্রাসীদের নিপীড়ন নির্যাতনের সাহস জোগাচ্ছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের দিনই নোয়াখালির সুর্বনপুরের ৪ সন্তানের জননীকে সরকার দলীয় নেতার গনধর্ষন সেই সত্যটাই চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।এই নারীর অপরাধ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর পুর্নিমা,ছবিবালা,মহিমাদের মতনই।এই জননী ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ধানেরশীষে, আর ২০০১ সালের নির্বাচনে পুর্নিমারা ভোট দিয়েছিলেন নৌকায় । নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রানে তান্ডব শুরু হয়েছে।
ফরিদপুরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই এলাকায় ভাঙ্গায় শতাধিক হিন্দু বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নি সংযোগের ঘটনাকে "আওয়ামী ইসলামী" তান্ডব বলা কি ভুল হবে?
খুলনায় পাইকগাছায় এক হিন্দুযুবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।নেত্রকোণার আটপাড়া থানার সোনাচুর বাজারের নিলকমল রায়ের দোকান দখল করলো কারা?
বিজয়ের পর নিপীড়নের ক্ষেত্রে দু'দলের মধ্যে কোথাও কোন পার্থক্য নেই।
একটু ফিরে দেখুন ২০০১ সালে পুর্নিমাদের কিভাবে নির্যাতন করেছিল ৪দলীয় জোটের সিরাজগঞ্জের সমর্থকরা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা।র ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী পুর্নিমারানী শীল ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চারদলীয় নির্বাচনী জোটের(বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট, আর জাতীয় পার্টি) কর্মীদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছিল। নির্বাচনের পর পরই দেশব্যাপী নেমে আসে এক অমানিশার ঘোর অন্ধকার। হিংস্রতা ভর করে বিজয়ী গোষ্ঠীর উপর।তারা নেমে পড়ে প্রতিশোধ নিতে। খুঁজে খুঁজে বের করা হয়েছিল হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান দের যারা তাদের কথা না মেনে নৌকায় ভোট দিতে গিয়েছে। হানা দেয়া হয়েছিল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বাড়ি। নিহত / আহত করা হয়েছে একে একে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল ঘর বাড়ি, ফসলের মাঠ। বিষ ঢেলে দেয়া হয় মাছের খামার। লুট করা হয় অর্থ সম্পদ, গবাদি পশু পাখি। তার চেয়েও বেশী যন্ত্রনার ছিলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিশোরী, যুবতী, কিংবা মায়ের বয়সী নারীদের উপর নির্মম পৈশাচিক নির্যাতন। ধরে ধরে পরিবারের সদস্যদের সামনে, মায়ের সামনে, পিতার সামনে কিংবা স্বামীর সামনে গণ ধর্ষন করা হয়।

এমনি এক কালোরাতে হায়েনার দল উপস্থিত সদ্য কৈশোরে পা পড়া পুর্নিমা রানী শীলের বাড়ি। যার বাবা, মা নৌকায় ভোট দিয়েছিলো বলে কথিত। এটা ছিলো হায়েনাদের চোখে অপরাধ। ১০/১২জনের জামাত বিএনপির দল পুর্নিমার বাড়িতে আসলে তাদের উদ্দেশ্য আর গোপন থাকে না। পুর্নিমার অসহায় বাবা মা বাধা দিবে এমন শক্তি কোথায়। পুর্নিমার মা হায়েনার দল দেখে ছোট মেয়েটার জীবন নিয়ে শংকিত। একদল কুকুরের হিংস্র মুর্তি দেখে পুর্নিমার মা কুকুর গুলোকে অনুরোধ করেছিলো বাবা সম্বোধন করে।
বারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, মরে যাবে।
পুর্নিমা অবশ্য মরেনাই, মরে গেলেই মনে হয় ভালো হতো। তাহলেই সমস্ত ল্যাঠা চুকে যেত।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ধর্ষিতা নারীও মরে নেই।হিংস্র কুকুরদের পাশবিক নিপীড়নে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তার ওপর আওয়ামীলীগের স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে গণধর্ষনে অংশ নেয় ৪/৫ জন হিংস্র কুকুর।থানায় পুলিশ কোন ডায়েরি নিতে চায়নি ধর্ষকরা সরকার দলীয় বলে। দেশকে একটা অসভ্য দেশে পরিনত করছে এইসব জানোয়ারদের বিচরন!
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×