মির্জা ফকরুল জামিনে মুক্তি পেলেন । বি এন পি নেতা কর্মীদের মনে আনন্দের বন্যা ।কিন্তু আমার মনে হয় , আওয়ামীলীগ কঠিন গেম খেলছে । কেন ? তা একটু সুক্ষ চিন্তা করলেই ধরতে পারবেন । সু নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ না থাকার কারণ হেতুও দীর্ঘদিন মির্জা ফকরুল কে আটকে রাখা হল কেন ? এমন কি চেয়ারপার্সন দেশের বাইরে থাকা কালিন সময়ও মির্জা ফকরুল ভিতরে ছিলেন। এর কারন হল নেতা কর্মীদের কমুনেকেশন নষ্ট করে দেয়া এবং দলকে রাজনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করে দেয়া। আর একবাক্যে সবাই তা মেনে নেবে যে, এই মিশনে আওয়ামীলীগ সাকসেস হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসার কয়েকদিন পর পরই আওয়ামীলীগ মির্জা ফকরুলের প্রতি কি এমন দয়া পরবেশ হল যে,মির্জা ফকরুলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করলেন? চিন্তার বিষয় হল সাম্প্রতিক দুই বাক্তির ফাঁসির পর পরই তাকে জামিন দেয়া হল আর সম্ভত মুক্তি পেতেও বেশি কষ্ট হবেনা । এর কারন টা আমি মনে করি, আওয়ামীলীগ খুব ভাল করেই জানে যে, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে বি এন পি জামাতের মধ্য এখন চরম টান পোড়ান চলছে ।বি এন পি জামাত ইস্যুতে তারা অনেক বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে। আর বি এন পি এর চেয়ারপার্সন দলের অভ্যান্তরিন অনেক নেতা কর্মীর উপর আস্থা একেবারে নাই বললেই চলে । যা আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখেছি। সে ক্ষেত্রে দলের চেয়ারপার্সনের এক মাত্র নির্ভরশিল আর গ্রহন যোগ্য নেতা বলতে এক কথায় মির্জা ফকরুলের নামই আসে । দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করার মত বাক্তি মির্জা ফকরুল ছাড়া চেয়ারপার্সনের কাছে আর কেউ নেই । সে ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ তাকে কিছুটা মুক্তির সাধ পাইয়ে দিয়ে বি এন পির পরবর্তী রন কৌশল কি তা বুঝার চেষ্টা করছে মাত্র। এ মুক্তি সাময়িক । নাটাই আওয়ামীলীগের হাতে ।যখন দেখবে বাতাসের বেগ প্রচুর তখন আওয়ামীলীগ ঘুড়ির সুতা গুটানো শুরু করবে...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬