somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেকরের সন্ধানে -১

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আস্তিক-নাস্তিক সবাই স্রষ্টাকে মানুষের মত কিন্তু অতি পাওয়ারফুল কেউ বলে কল্পনা করি। এটা মানতে না পেরে অনেকেই স্রষ্টাকে অস্বিকার করে, নাস্তিক হয়। স্রষ্টা কি মানুষ বা বস্তুর মত না হয়ে অন্যরকম কিছু হতে পারের না?
আমার মতে স্রষ্টা বা আল্লাহ হচ্ছেন স্বয়ং ০ মাত্রা। ১ মাত্রার “সময়” হচ্ছে স্রষ্টার চেতনা। ফলে সব কিছুই স্রষ্টার জানা থাকে। শক্তি/বিকিরণ হচ্ছে ২ মাত্রার। আর বস্তুর মাত্রা ৩। তাই প্রত্যেকটা অনু-পরমানুকে স্রষ্টার অনুমতি নিয়েই নরা-চরা করে হয়।
মানুষের বিশেষত্য কি? মানুষের বিশেষত্য হল স্বাধিন মন! মানুষ নিয়ত বা ইচ্ছা করতে পারে। আর মানুষের কাছ থেকে তার নিয়তেরই হিসাব নেয়া হবে, কাজ বা সাফল্যের নয়।
ডাইমেনশন বা মাত্রা -এর প্রচলিত অর্থ "ডিরেকশন", যার ডাইমেনশন যত বেশি তার বিস্তৃতি তত বেশি। আমাদের পক্ষে চতুর্মাত্রিক কিছু কল্পনা করা খুব কঠিন নয়, আর চেষ্টা করলে আমদের ত্রিমাত্রিক জগতে চতুর্মাত্রিক কিছু বানানোও জেতে পারে। কিন্তু দ্বিমাত্রিক কিছু বানানো কি সম্ভব? আমরা কি আসলে কোন দ্বিমাত্রিক কিছু কল্পনা করতে পারি? কাগজের তলে আকা ছবি কি আসলে দ্বিমাত্রিক? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হচ্ছি যে, "মাত্রা অর্থ ডিরেকশন বা বিস্তৃতি না হয়ে মাত্রা মানে হওয়া উচিৎ সীমানা। মাত্রা যত বেশি, তত বেশি সীমানা। আপনি ১টা ঘরে আছেন যার ২টি দেয়াল, এই ঘরের ভেতরে আরও কয়েকটি দেয়াল তুললে মনে হবে ঘর বড় হয়ে গেছে, যদিও বাস্তবে তা হয়নাই।
আমাদের মতে ডাইমেনশন মানে হচ্ছে সীমানা/প্রতিবন্ধকাত। যার ডাইমেনশন যত বেশি, সে আসলে তত সীমাবদ্ধ। ১ মাত্রার উপাদান ১টি মাত্র সীমানা, দৈর্ঘ্য, দ্বারা আবদ্ধ, যেমন সময়। ২ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ এই ২টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন শক্তি/বিকিরন। ৩ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতা এই ৩টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন বস্তু। অর্থাৎ মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, ততই তার পরিমাপযোগ্য প্যারামিতার বারতে থাকে। আমরা ৪ মাত্রার বস্তুর প্রজেকশন করতে পারি, কিন্তু ১/২ মাত্রার কিছু কখনওই বানাতে পারি না। কারন ২ মাত্রার কিছু বানাতে হলে উচ্চতার সীমানা অতিক্রম করতে হবে। অপরদিকে ২ মাত্রার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সাথে উচ্চতা যোগ করে ৩য় মাত্রায় পৌছান সম্ভব।
আমরা শক্তিকে ২ মাত্রার বলছি কারন অতি বিক্ষ্যাত ঝালর পরীক্ষায় দেখা যায় শক্তি বা আলো একই সাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে। ত্রিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি আলাদা-আলাদা তলে অবস্থান করলেও দ্বিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি একই তলে অবস্থান করে, ফলে আলো একসাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে।
সময়ের মাত্রা ১, দৈর্ঘ্য। সময় চলছে ত চলছেই। এর শুরু বা শেষ নেই, কারন শুরু বা শেষ করতে হলে আরেকটা ডাইমেনশন দরকার হবে। সময়ের দৈর্ঘের গায়ে প্রস্থ বসিয়ে তাতে শক্তি/বিকিরন আশ্রয় নেয়, আর বিকিরনের গায়ে উচ্চতা বসিয়ে বস্তু জন্ম লাভ করে।
বস্তু ভাঙ্গতে থাকলে শেষ প্রযন্ত কোয়ার্ক/ক্লার্ক পাওয়া যায়। কোয়ার্কের ভেতরে পাওয়া যায় তরঙ্গ। অর্থাৎ ২ মাত্রার শক্তি পুঞ্জীভূত হয়ে ৩ মাত্রার বস্তু গঠন করে। কিন্তু বস্তু পরস্পর যুক্ত হয়ে শক্তি গঠন করার কোন উদাহরণ পাওয়া যায় নয়া।
বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে শক্তি/বিকিরনের প্রবাহের ১টি মাধ্যম খুজেছে। কিন্তু পায় নাই, ফলে সিদ্ধান্ত নিয়াছে যে বিকিরনের সঞ্চারনের জন্য মাধ্যম দরকার না। আসলে মাধ্যম দরকার হয়। সময় হচ্ছে সেই মাধ্যম। ১ মাত্রার সময় হচ্ছে সৃস্টি জগতের প্লাটফর্ম, সময়ের একক মাত্রার উপরে মহাবিশ্ব/স্পেস গড়ে উঠেছে। আমরা বলি স্পেস, আসলে স্পেস হলো সময়ের ১ মাত্রার উপর বস্তু ও শক্তির শয্যা। বস্তু যত গতি লাভ করতে থাকে তত তা ৩য় মাত্রা থেকে মুক্ত হতে থাকে, এবং আলোর গতিতে বস্তু ৩য় মাত্রা থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করে ২য় মাত্রার শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তখন ১টি মজার ঘটনা ঘটে, সময় থেমে যায়। হ্যা, শক্তির কোন বয়স থাকে না। যেমন:- গ্যাভিট্রনের কথা ধরা যাক। যে গ্র্যাভিট্রন সুর্য ও পৃথিবির আকর্ষনের জন্য দ্বায়ি, আমাদের দৃষ্টিতে তার সুর্য থেকে পৃথিবিতে আসতে ৮ মিনিট, কিন্তু গ্র্যাভিট্রনের নিজের কাছে মনে হবে যে সে সুর্য ও পৃথিবিকে একই সাথে ধরে রেখেছে।
সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করলে আপনি ১ টা প্রশ্নে এসে আটকে যাবেন। প্রশ্নটা হচ্ছে, তার আগে কি? স্রস্টাকে কে সৃষ্টি করেছে?
এখন মাত্রা যদি ০ হয়? "০" ডাইমেনশন বিবেচনা করলে দেখবেন মাত্রা "০" বলে এর আগে বা পরে কিছু হতে পারে না। আবার এর কোন আকার থাকতে পারে না এটি নিরাকার। এবং এর কোন সীমানাও থকে না। অর্থাৎ এটা অসীম হয়ে যায়। ধর্মে ঈশরকে নিরাকার বলা হয়েছে। কিন্তু মাত্রা "০" হলেই কেবল নিরাকার হওয়া সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×