সাই সাই করে ছুটে চলছে পিকআপ ভ্যানটি।
চিংড়ি মাছ বোঝাই। ভোরের আগেই পোঁছে যেতে হবে মুন্সীগঞ্জের পাইকারী হাটে।
পাশের সিটে লেপ্টে আছে হেলপার দু‘জন। ড্রাইভার ঘুম ঘুম চোখে তাকিেয় আছে বৃষ্টিভেজা রাস্তার দিকে। হাত চলছে হাতের মতো; পােয়র মতো চলছে পা। মাথাটা একদম ফাঁকা! না, একদম ফাঁকা হয়তোবা নয়; একটা নরম বালিশ আর নরম বিছানার অনুভূতি জায়গা করে নিচ্ছে ধীরে ধীরে।
হঠাৎই ঝাপসা চোখে দেখতে পেলো ব্রীজটা। মুক্তারপুর ব্রীজ। আর তর সইলো না। স্পীড গেলো বেড়ে। ব্রীজটাও পেরিয়ে গেলো প্রায়। তারপর উড়াল দিলো ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে…
সারা বাজার ঘুরে চিংড়ি না পেয়ে হতাশ একজন মাছঅলার কাছ থেকে জানলো চিংড়ির গাড়ির অ্যাক্সিেডেন্টের কথা। তার চোখে-মুখে ফুটে উঠলো দুশ্চিন্তা।
‘কী হবে এখন! হাতেও তো তেমন সময় নাই! বাসায় মেহমান!! অ্যাক্সিডেন্ট করার আর দিন পেলো না!!!’ চরম বিরক্তি নিয়ে তারপরও পা বাড়ালো অন্য বাজারের দিকে…