- ঘুম ভাঙলো?
- হুম!
- কী দেখলে আজ?
- যেমন দেখছি রোজ!
- কেমন দেখলে?
- বেড়াতে গিয়েছি কোথাও।
- একলা?
- না, সবাই ছিলো হয়তোবা।
- হয়তোবা কেন?
- কেমন যেন ধোঁয়াটে! মনে হলো সবাই মিলে গিয়েছি। ফেরার সময় ধীরে ধীরে একলা হয়ে গেলাম।
- ধীরে ধীরে?
- হ্যাঁ, ধীরে ধীরেই! প্রথমে তারা ছিলো। আমি মালপত্রে ঠাসা ট্রাকের পিছনে; তারা রিকশায়।
- এক সাথে নয় কেন?
- ব্যাপারটা আমার নিয়ন্ত্রনে ছিলো না বলেই হয়তো। একবার পেছন ফিরে তাকিয়েছিলাম; তাদেরকে আর দেখি নাই।
- তাদেরকে আর খোঁজোনি?
- হ্যাঁ, খোঁজে ছিলাম কিছুদূর; চোখ যায় যতদূর! সব ক'টা অচেনা রিকশাঅলা আর যাত্রী।
- দাঁড়াতে পারতে?
- ট্রাকটা হয়তোবা থামেনি। তারপর তো নিজেকে দেখি এক খেঁয়া ঘাটে, যেখানে কোনো নৌকা নেই। কয়েকজন অচেনা লোকের সাথে সাঁতরে পার হয়ে গেলাম।
- ওরা এলো না?
- তারপর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ব্যাপারটা তখন আমার নিয়ন্ত্রনে। তারা এলে হয়তো নৌকার ব্যাবস্থা করে ফেলতাম। মজার বিষয় হলো যাওয়ার সময় খেয়াঘাটটা ছিলো না!! আর ছিলো না অহনা। আমার ছোট মেয়েটা।
- কাঁদছো?
- নাহ্! আমার অল্পতেই চোখে পানি আসে।
- মুছিয়ে দিই?
- নাহ্! নিজেই মুছে নেবো।
- অপেক্ষা করছো কারো জন্যে?
...........