- আসরের নামাজটা পড়তে পড়তেও পড়া হলো না। ঘুম ছিলো চোখে। বউ কয়েকবার ঢেকে ছাদে চলে গেলো বাগান করতে। আমি যাই নাই, তাই মুরগীর বাচ্চাগুলোরও ছাদে যাওয়া হলো না। ছোটো মেয়েটাও আজ ঘুমোলো আমার পাশে।
- মাগরিবের নামাযটাও বাদ দিয়েছি চাতুরী করে। নিজের রুমে ডোরলক নামায পড়ি কঠিন মনোযোগে, বউ তাই ভাবে। আদতে YouTube এ ভিডিও দেখি নতুবা মোবাইলে গেম খেলি।
- বউয়ের moist cake টা হয় নাই তেমন। গড়পড়তা কেক হয়েছে। একটু dry and hard! তাতেই সে ক্রীম লাগালো।
- গতকাল করোনার টীকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে গিয়ে মহাখালী টিবি গেট থেকে কম দামে কিছু পাঁকা পেঁপে এনেছিল বউ। পিটিয়ে পাকিয়েছে মনে হয়। কোথাও খুব নরম, কোথাও কাঁচার মতো শক্ত। একটু তিতা ভাবও আছে তাতে। মিষ্টি স্বাদটা খুঁজতে হয় কষ্ট করে। পেঁপেটা কেটে দিয়েছি তাও। একটু চিনি ছড়িয়ে দিলাম বাচ্চারা যাতে মজা পায়।
- ছাদ থেকে আনা পুঁই আর কলমি শাক আলাদা করে পরিষ্কার করে নিলাম। বউয়ের criticize সত্ত্বেও কলমি শাক আর পুঁই ভাজি আলাদাভাবে করলাম। খেতে বেশ হয়েছে। ওর চাহিদামত মিক্স করে করলে এতোটা হতো না। মূলার সাথে টাকি মাছের ভর্তা বানাতে চেয়েও হলো না শেষে।
- রাতের খাবারে আমার পাতে মাছ জোটেনি। তিন টুকরো মাছ চারজনে খাওয়ার সংস্কৃতি আমাদের বাসায় নেই। শাক আর ডালে মিশরীয় খাবার বানিয়ে খেয়ে নিয়েছি।
- ফ্রীজ থেকে এক পিস কেক মেরে দিয়েছি। কেউ যখন অফার করছে না, মেরে দেয়াই ভালো।
- মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে ঘুমের আয়োজন করলাম। আজ ছোটো মেয়েটা এলো না। ইশার নামাযটাও ফাঁকিবাজিতে গেলো।