প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে এটাই আমার প্রথম ভ্রমন কাহিনী, আর তাই লেখাটি আগোছালো হওয়াই স্বাভাবিক। সেজন্য আমি আন্তরিকভাবেই ক্ষমা প্রার্থী। যাক, ভনিতা না করে সরাসরি মূল ঘটনায় চলে যাই।
এই ভ্রমন কাহিনীর পাত্র-পাত্রী আমরা ৫ জন - আমি নিজে, আমার এক সময়ের বান্ধবী ( বর্তমানে স্ত্রী ), এবং আমর অনুজ প্রতিম তিন অর্বাচীন ছোঁকড়া। আমরা ঠিক করেছি যে বুঁনো পশ্চিমে একটু ঢুঁ মারব।
ওয়েস্টার্ন ছবিগুলোতে আমরা যে বুঁনো পশ্চিমকে দেখি তা চিত্রায়িত হয় মূলত ইউটাহ এবং আরিজোনা তে। আর এ দুটি স্টেটে যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক বিমানবন্দর হলো লাস ভেগাস, যা কিনা তৃতীয় আরেকটি স্টেট নেভাদাতে অবস্হিত! আর তাই আমাদের যাত্রার প্রথম গন্তব্য হলো লাস ভেগাস। বিমানে করে লাস ভেগাস, সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পর্যায়েক্রমে ইউটাহ এবং আরিজোনাতে ড্রাইভ করে ঘোরাঘুরি করা।
আমাদের এই বুঁনো পশ্চিম ভ্রমনের মূল আকর্ষন তিনটি - ১) লাস ভেগাসের চোখ ধাঁধান ক্যাসিনোগুলো, ২) জায়ন ন্যাশনাল পার্ক, এবং ৩) বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। এই তিনটি মূল আকর্ষন নিয়ে পর্যায়েক্রমে তিনটি আলাদা পোষ্ট দেবার ইচ্ছা আছে।
আগামি কালকে বেরিয়ে যাচ্ছি লাস ভেগাসের বিমান ধরার উদ্দশ্যে। ফিরে আসব সোমবারে। মজার ব্যাপার হলো আমরা ৫ জন একই গন্তব্যে পৌছুলেও আমাদের যাত্রার শুরুটা কিন্তু আমেরিকার ৫টি ভিন্ন স্টেট থেকে - আমি উড়াল দেবো ওয়াশিংটন ডিসি থেকে, আমার স্ত্রী ভার্জিনিয়া থেকে, এবং তিন অর্বাচীন বালকের একজন হিউস্টোন ( টেক্সাস ), একজন ইনডিয়ানাপোলিস ( ইনডিয়ানা ) ও একজন মিনয়েপোলিস ( মিনেসোটা ) থেকে।
যদি সুস্হ স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসতে পারি তবে প্রতিশ্রুতি মতো লেখা গুলো পোষ্ট করে দেবো ( যদি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের গ্র্যান্ড খাঁদে পড়ে গ্র্যান্ড সমাধি না হয় )। আর অবশ্যই সাথে থাকবে একগাদা ছবি কেননা প্রিয় Pentax Digital SLR ক্যামেরাটিও হবে আমার সফর সাথী। তবে যাবার আগে এই পোষ্টটিকে একটু আকর্ষনিও করে যাচ্ছি - কিছু ছবি দিয়ে যাচ্ছি। লাস ভেগাসের যে হোটেলে আমরা থাকব সেই হোটেলের ছবি। হোটেলটির নাম লুক্সোর ( দেখতে পিরামিডের মত )। এর সাথে আরও ৩টি হোটেলের ছবি দিচ্ছি - একটি ছবি হোটেল এক্সক্যালিবারের, আরেকটি হোটেল নিউ ইয়র্কের, এবং শেষটি মন্টে কার্লো হোটেলের সম্মুখভাগের। এই ছবিগুলো আগেরবার লাস ভেগাসে গিয়ে তুলেছিলাম।
একথা বলাই বাহুল্য যে লাস ভেগাসের প্রতিটি হোটেলেই একটি করে ক্যাসিনো আছে, তবে সেসব নিয়ে ফিরে আসার পর লেখব।
সবশেষে আমাদের ট্রিপের একটি ম্যাপ দিলাম। ভ্রমনের শুরু লাস ভেগাস ( নেভাদা ) থেকে, সেখান থেকে জায়ন ন্যাশনাল পার্ক ( ইউটাহ ), তারপর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের উত্তর তীর ( ইউটাহ ), তারপর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পশ্চিম তীর ( আরিজোনা ), এবং সবশেষে আবার লাস ভেগাসে ফেরত আসব।
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন