বাংলাদেশের বর্তমানে কোন সমুদ্রগামী প্যাসেঞ্জার শীপ নেই। তবে এককালে ছিলো। ১৯৫৩ সালে GENERAL MANGIN নামে একটি প্যাসেঞ্জার শীপ নির্মিত হয় ফ্রান্সের সেন্ট-নাজারিতে, তখন এটি ফ্রান্সের মারসেলি থেকে পশ্চিম আফ্রিকার ফ্রেঞ্চ উপনিবেশ অংশে চলাচল করতো।
কালক্রমে ১৯৬৯ সালে ফিলিপাইনে বিক্রি হয়ে President নাম ধারণ করে এবং ম্যানিলা থেকে জাপান রুটে চলতো, এরপর ১৯৭২ সালে পানামার পতাকা ধারণ করে Estern Queen নামে সিঙ্গাপুর থেকে অষ্ট্রেলিয়ার ফ্রিমেন্টল এ যাত্রী পরিবহন করতো। ১৯৭৭ সালে ক্রয়সূত্রে এর মালিক হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, চার বছর এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে চলার পর ১৯৮১তে বাংলাদেশ নেভিকে হস্তান্তর করা হলে শহীদ সালাহউদ্দিন নাম ধারণ করে।
প্রধানত: হজযাত্রী পরিবহনের জন্যই এটি কেনা হয়েছিল, তবে বাংলাদেশের জনৈক রাষ্ট্রপ্রধান তার ব্যক্তিগত কাজেও এটি ব্যবহার করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে। বয়স্ক মুরুব্বীদের কাছ থেকে ৭০-৮০র দশকে জাহাজে করে হজ্বযাত্রার গল্প শুনে থাকবেন হয়তো। সেই গল্পের মুল উপজীব্য ছিলো এই জাহাজটিই।
৫৩১ ফুট লম্বা জাহাজটির ১২৪৭৫ গ্রোস টনেজ ছিলো যার বারমিষ্টার এন্ড ওয়েইন ডিজেল ইঞ্জিন ৯৬০০ Bhp শক্তির যোগানে ১৬ নট গতিতে চলতে সক্ষম ছিলো। ৫৮০ জন কেবিনে এবং ১৫৬ জনের ডরমেটরিতে থাকার ব্যবস্থা ছিলো। জাহাজটিতে মোট ১৬৮ জন ক্রু কর্মরত থাকতো। ১৯৮৫ সালে এটি তৈরীর ৩২ বছর পর চট্টগ্রামে স্ক্রাপ করে ফেলা হয়। উপরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে ছবিটি দেখছেন সেটি মিশেল গ্রীণ নামে জনৈক ফটোগ্রাফার কতৃক ০৩.১২.১৯৭৭ সালে জেদ্দা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রার সময় তোলা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৭