এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য উপস্থাপন করে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মাছি যেমন তার চোখকে কম্পাসের মতো ব্যবহার করে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াতে পারে, মানুষও ঠিক তেমনটি পারবে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, মানুষের চোখেও রয়েছে মাছির চোখের মতো দিক নির্দেশনার মৌলিক গুণাবলি।
সম্প্রতি ন্যাচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের চোখে রয়েছে এক ধরনের সংবেদনশীল প্রোটিন ও চুম্বক। আর এ চৌম্বকত্ব মানুষের চোখে কম্পাসের মতো কাজ করে। সাধারণত মাছির চোখে এটা দেখা যায়। জন্মগতভাবে মাছিদের চোখে যে 'ম্যাগনেটোরিসেপশন' প্রোটিন থাকে, সেটি ছাড়া তারা চৌম্বকীয় বলয়ে সক্রিয়ভাবে বিচরণ করতে পারে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের চৌম্বকীয় প্রোটিন মাছির চোখে প্রতিস্থাপনের ফলে তারা আগের সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে।
নতুন এ গবেষণার ফল নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, তাঁরা এখনই চূড়ান্তভাবে মানুষের চোখ একেবারে মাছির মতো কাজ করবে এমনটা দাবি করছেন না। তবে এ গবেষণা ভবিষ্যতে অগ্রগতি অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
এদিকে এ নিয়ে ১৯৮০ সাল থেকে গবেষণারত ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট গবেষক রবিন বেকার বলেন, মানুষের চোখে 'ক্রিপটোক্রম' থাকলেও তাতে 'ম্যাগনেটোরিসেপশন' থাকার বিষয়টি এখনো পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি।
সুত্রঃ- এখানে ক্লিক করেন
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




