somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

#ছোটগল্পঃ "জীবন গিয়েছে চলে......"

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

==========================
নাহারের সাথে আমার সম্পর্কটা হয়তো বা কোনোকালেই হওয়ার ছিলো না।

একই ভার্সিটিতে পড়তাম আমরা দু'জনই। একই ডিপার্টমেন্টে। নাহার খুব ভালো ছাত্রী ছিলো, তবে অমিশুক। কথাবার্তাও বলতো খুব কম। আদর্শ শিক্ষার্থীর মত সামনের বেঞ্চে বসে নোট তুলতো। আবছা আবছা আলোয় কালো হিজাব পড়া একটা মেয়ে মাথা নিচু করে নোট লিখছে- এ দৃশ্যটা এখনো প্রায়ই আমার চোখে ভাসে।

ক্লাস শেষ করার পর আমরা সবাই মিলে যখন আড্ডা দিতাম, নাহার তখন ক্লান্ত ভঙ্গিতে রওনা হতো টিউশনিতে। অন্য মেয়েদের কাছেই শুনেছিলাম- নাহার নাকি অনেকগুলো টিউশানি করাতো। হলে ফিরতে ফিরতে নাকি প্রায়ই তার রাত সাতটা-আটটা পর্যন্ত বেজে যায়- এমন অবস্থা।

যাই হোক- মেয়েটার সাথে আমার প্রথম কথা হলো ভার্সিটি সেকেন্ড ইয়ারে উঠে। আমার ছোটবোন জেরিন এর জন্য একজন মেয়ে টিচার খোজা হচ্ছিলো বাসা থেকে। হঠাতই তখন আমার নাহারের কথা মনে হলো। আমি জানতাম- অন্তত ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর ব্যাপারে নাহারের অভিজ্ঞতা অন্য আর যে কারো তুলনায় বেশি। তাই দ্বিতীয়বার চিন্তা না করে ওকেই ছাত্রী পড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বসেছিলাম। রাজিও হলো সে সহজে। ততদিনে আমরা সবাই অনুমান করে ফেলেছি- সম্ভবত এই টিউশনির টাকা দিয়ে নাহার নিজের হাতখরচটুকু মেটায়। এজন্যই বুঝি মেয়েটার এতো দৌড়াদৌড়ি......

যদিও আসল ঘটনা জানতে পেরেছিলাম অনেক পরে। নাহারই আমাকে বলেছিলো; ওর পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো না আসলে। বাবার একটা ছোটখাট দোকান আছে, যদিও সে দোকানটা এখন নাকি মা চালায়। কোনো একটা এক্সিডেন্টে বাপ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে আছে আজ প্রায় বছর সাতেক। একটা নয় ফুট বাই পাঁচ ফুট টং দোকানের আয় উপার্জন আর কতই বা হবে। তাই সংসার খরচের একটা বড় অংশ জোগান দিতে হতো নাহারকেই। এছাড়া পিতার চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা- এগুলো তো আছেই। সব সামলাতে এমন হিমশিম খাওয়া একটা জীবন চালিয়ে নিচ্ছিলো কোনোরকমে। খেয়ে না খেয়ে টিউশনির পর টিউশনি করাতো। টাকা জমাতো পরের মাসে সংসারটাকে টেনে নিতে হবে বলে……

নাহারের গল্প শুনে আমি সত্যিকার অর্থে ধাক্কার মত খেলাম। ছোটবেলা থেকে আরাম-বিলাসে বড় হওয়া মানুষ আমি। জীবন যে এতোটা কঠোর হতে পারে, আমারই বয়েসী আরেকটা ছেলে বা মেয়ের জন্য- সেটা নাটক সিনেমায় দেখলেও এতো নগ্নভাবে কখনো সামনে চলে আসে নি। এ কারণেই যে মেয়েটাকে এতোদিন অসামাজিক, কাঠখোট্টা বলে জেনে এসেছি, সে রাতারাতি আমার চোখে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলো অল্পদিনেই। আমি আবিষ্কার করতে শুরু করলাম- সারাক্ষণ সাজগোজ আর ফেসবুক নিয়ে মেতে থাকা মেয়েগুলোকে আমার কাছে কেমন পানশে লাগতে শুরু করেছে......

যদিও ওর ব্যক্তিগত কথাগুলো নাহার আমাকে শুরুতেই বলে নি। ধীরে ধীরে ওর কাছ থেকে আমি সবকিছু জানতে পেরেছিলাম। জেরিনকে পড়ানোর এক মাস পার হওয়ার পর প্রথম বেতন পাওয়ার দিন ওকে আমি হাসতে হাসতে বললাম-
"বেতন পেয়েছো, ট্রিট দিবা না?"
নাহার অল্প একটু হাসলো শুধু। তারপর মৃদু গলায় বলেছিলো- "আচ্ছা। একদিন যাবো নে !"
আমি তো বলেছিলাম রসিকতা করে, কিন্তু সত্যি সত্যি যে এক সপ্তা' পর ও আমাকে মোরগ-পোলাও খাওয়াতে নিয়ে যাবে- সেটা ভাবতে পারি নি। তাছাড়া অত ঘনিষ্ঠতাও ছিলো না ওর সাথে আমার। একটু বিব্রত ভঙ্গিতেই বললাম- "আমি তো দুষ্টামি করেছিলাম নাহার..."
মেয়েটা আমার কথা শুনলো না। কিছুটা অপ্রতিভ হয়েই আমি তার সাথে খেতে গিয়েছিলাম সেদিন। পুরনো ঢাকার নামকরা একটা দোকানে গিয়ে ঢুকলাম আমরা। খাওয়াদাওয়া শেষে একটা সিগারেট ধরানোর পর আমাকে অবাক করে দিয়ে সেটার টাকাও নাহার দিয়েছিলো। তারপর হালকা গলায় বললো- "আমিও একটা পান খাবো। এদিকে একটা বাসায় টিউশনি করাই আমি। প্রায়ই এখানে আসলে ঐ চাচার কাছ থেকে পান কিনে খাই !"

"তুমি তো এই বয়সেই টিউশনি করে লাখপতি হয়ে যাচ্ছ।"- আমি আবারও একটা সস্তা রসিকতা করতে চাইলাম। নাহার আমার কথা শুনে ফ্যাকাশে ভঙ্গিতে একটু হেসেছিলো শুধু। কিছু বলে নি সেদিন।
এরপর থেকে প্রতি মাসে জেরিনের টিউশন থেকে বেতন পাওয়ার পর নাহারের সাথে খেতে যাওয়াটা আমার একরকম অভ্যাস হয়ে গেলো। এরকমই একদিন আমি ওকে কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেছিলাম- "তুমি আমাদের এভয়েড করো কেন?"
"কোথায় এভয়েড করি......?"
"এই যে কোন আড্ডায় তোমাকে পাওয়া যায় না। ডাকলে টিউশনি অথবা শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে পালিয়ে বেড়াও শুধু।"
"আসলে ব্যাপারটা তেমন না রিফাত"- নাহার থেমে থেমে বললো- "তোমাদের রিয়েলিটি আর আমার রিয়েলিটি ভিন্ন। আমি চাইলেই তোমাদের মত অনেক কিছু করতে পারি না !"
"কেন?"
সেই কেন'র উত্তরেই নাহার তার জীবনের গল্প শুনিয়েছিলো সেদিন আমাকে।

আষাঢ়ের এক সুররিয়েলিস্ট দুপুর ছিলো সেটা। আমাদের খাওয়াদাওয়া ততক্ষণে সমাপ্ত হয়ে এসেছে। কিন্তু বৃষ্টির বিরামের নাম নেই। হোটেলের ব্যস্ততা, বিরিয়ানি-পোলাওয়ের ঘ্রাণ আর বাইরে বৃষ্টির ঝমঝম সব মিলে আমার সেই দুপুরটাকে কেমন রূপকথা রূপকথা লাগছিলো। নাহারকে মনে হচ্ছিলো যেনো- গল্পের ভেতর থেকে উঠে আসা কোন চরিত্র......

মনে আছে- নাহারের অভিজ্ঞতাগুলো শুনে কিছুক্ষণ দু'জনই আমরা চুপচাপ হয়ে বসে ছিলাম। বাইরে বৃষ্টির তোড় আরো বেড়েছে। বৃষ্টির সাথে সম্ভবত মানুষের মনের আবেগগুলোও সব ভেসে আসে । এ কারণেই বোধহয় তখন আমার কাছে মনে হয়েছিলো- এই মেয়েটা আসলে ভীষণ দুঃখী। আচ্ছা, আমি কি ভালোবেসে ওর কষ্টগুলো সব ভুলিয়ে দিতে পারবো কখনো !

একদিন আমি নাহারকে আমার সেই ভাবনার কথাটুকু বললাম……

নাহার কিছুক্ষণ অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়েছিলো প্রথমে। তারপর শান্ত গলায় বললো- "কিছু মনে করো না রিফাত। এগুলো আসলে মানুষের সাময়িক আবেগ ! তুমি বাস্তবতা চিনো নি এখনো ! তাই অমন কথা বলতে পারছ?"
"আমার বাস্তবতা জানার দরকার নেই। তোমাকে পেলেই হলো।"
"বললাম তো- এগুলো আবেগের কথা ! আমার আর তোমার জীবন সম্পূর্ণ আলাদা দু'টি ধারার। আমার ফ্যামিলি, সমাজ কিংবা পরিবেশ-পরিস্থিতি- এর কিছুর সাথেই তোমার জীবনের কোন মিল নেই। তুমি বড় হয়েছো সম্পূর্ণ আলাদা সমাজব্যবস্থা আর বাস্তবতায়।"
"আমার সামাজিক অবস্থান ভালো- এটা কি দোষের !"
"আমি তো দোষের কথা বলি নি। কম্প্যাটিবিলিটির কথা বলেছি......"
"তার মানে তুমি রাজি না- এই তো !"
নাহার নীচু গলায় বললো- "না। কারণ কয়দিন পর তুমি নিজেই ভুল বুঝতে পারবে। তখন দু'জনই কষ্ট পাবো রিফাত ! কি লাভ শুধু শুধু কষ্ট বাড়িয়ে। এম্নিতেই আমার মাথার উপর অনেক সমস্যা।"
আমি অবুঝের মত রেগেমেগে বললাম- "ঠিক আছে। তুমি থাকো তোমার ম্যাচিউরিটি নিয়ে, আমি আর তোমার সাথে নেই......"

'নেই' বললেও অবশ্য আমি মনে মনে নাহারের জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম। নাহার যদিও নিজেকে আমার কাছ থেকে গুটিয়ে নিলো। আগের মত আর কথাবার্তা তেমন বলে না, বললেও স্রেফ ফর্মাল- কেমন আছ ভালো আছি ধাঁচের। অনেকদিন ক্লাশেও এলো না। জেরিনের কাছে জিজ্ঞেস করে জানলাম- নাহারের আব্বা নাকি খুব অসুস্থ। সে জন্যই টিউশনি থেকে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছে। জেরিন অবাক গলায় আমাকে বললো- "আমি তো ভেবেছিলাম তুমি জানো ভাইয়া ! আপুর আব্বা নাকি স্ট্রোক করেছিলো......"

এ কথা শোনার পর আর রাগ করে থাকা যায় না। আমি নিজে থেকেই একদিন ঠিকানা জোগাড় করে নাহারের বাসায় গেলাম। শহরের একেবারে প্রান্তে থাকে ওরা। জায়গাটা এখনো কেমন গ্রাম গ্রাম। নাহার আমাকে দেখে একটু বিব্রতই হলো বোধহয়। ও সম্ভবত ভাবতে পারে নি আমি একেবারে ওর বাসায় গিয়ে হাজির হবো।

ততদিনে ওর আব্বাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে এসেছে। টিনশেডের একটা ছোট্ট বাসায় থাকতো ওরা। নাহারের মা তখন দোকানে। নাহার নিজেই আমাকে চানাচুর মুড়ি মাখিয়ে এনে দিলো। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো ওর খোজ নিতে আসার জন্য।

বিদায় নিয়ে চলে আসার আগে নাহার ছোট্ট করে শুধু বলেছিলো- “ভালোই হলো নিজ চোখে এসে আমাদের অবস্থা দেখে গেলে। এখন বোধহয় তোমারও ডিসিশন নিতে সুবিধা হবে……”

ওইদিনও বৃষ্টি ছিলো। নাহার আমাকে ছাতা হাতে করে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলো। কাচের এপাশ থেকে ভালো দেখা যাচ্ছিলো না কিছু, বৃষ্টির ঝুপঝাপ শব্দও আড়াল করে ফেলছিলো আমাদের গলার আওয়াজ। তারপরো আমি গ্লাসটা অল্প একটু নামিয়ে, উচু গলায় বললাম- "আসি নাহার। ভালো থেকো !"

বৃষ্টি আরো বেড়েছে। আমি সেই দুঃখী মেয়ে আর তার জগতটাকে পেছনে ফেলে রেখে নিজের জগতের দিকে রওনা হলাম।

(শেষ কথা)
---------------
ভার্সিটি পর্যন্ত তা-ও নাহারের সাথে আমার যোগাযোগ কিছুটা ছিলো, কিন্তু পাশ করে বেরিয়ে যাবার পর আর কখনোই আমাদের দেখা হয় নি। ওর ফোন নাম্বারটা বন্ধ। আগের বাসাও ছেড়ে কোথায় জানি চলে গেছে- কেউ বলতে পারে না। উড়ো উড়ো শুনেছিলাম- দোকানটাও নাকি বিক্রি করে দিয়েছে ওর মা।

আমি খারাপ নেই। ভালোই আছি। একই সাথে পৃথিবীর সব থেকে ইতিবাচক আর মন-খারাপ-করা কথাটা হলোঃ "জীবন কখনোই থেমে থাকে না !" আমারও থাকে নি তাই। মিতুল নামের একটা হাসিখুশী, উদার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে আমার। মিতুলকে আমি নাহারের কথা বলেছিলাম, সে নরম গলায় বললো- "জীবন থেমে থাকে না রিফাত। নাহারেরও দিন কেটে যাচ্ছে হয়তো। প্রার্থনা করি- সে ও যেনো ভালো থাকে !"

মাঝে মাঝে ঝুম বর্ষায় আমি গাড়ি নিয়ে বের হই। নিজের অজান্তেই দেখি চানখারপুল চলে এসেছি কখন ! মোরগ পোলাও অর্ডার দিয়ে সেটা না খেয়েই আবার বেরিয়ে আসি দ্রুত। প্রচন্ড অস্থির লাগতে থাকে আমার কেন জানি। শুধু মনে হয়- এক্ষুণি বুঝি শহরের প্রান্তে যেতে হবে আমাকে। সেখানে আমার জন্য হয়তো আজো কেউ একজন অপেক্ষা করে আছে !

অল্প সময় পরই আবার নিজের বিভ্রম ভেঙ্গে আসেআমার। গাড়ির স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে তখন রওনা হই বাসার দিকে। যেতে যেতে ভেজা গলায়, নিজের মনেই আবৃত্তি করি-


"জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!
তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে!
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি চিলের ডানা থামে-
সোনালি সোনালি চিল-শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে-
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে !"
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৬
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×