somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছাতা বিলাস

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব ছোট বেলা থেকেই ছাতার জন্য তীব্র আকর্ষণ বোধ করতাম। যেখানে আমার মত শিশুরা পুতুল খেলনার জন্য বড়দের কাছে বায়না ধরত সেখানে আমার ছাতার প্রতি আলাদা একটা ফেছিনেসন ছিল



বৃষ্টির সাথে ছাতার একটা সম্পর্ক ছিল তাই হয়ত ছাতা আমার এত প্রিয় ছিল। ছাতার প্রতি আকুল আকর্ষনের অন্যতম কারন ছিল, প্রায় প্রতিদিনই একটা করে ছাতা হাড়াতাম। এমন কোন দিনের কথা মনে পড়েনা যেদিন স্কুলে ছাতা নিয়ে গিয়ে সেটা ফেরত এনেছি। মায়ের কাছে সেজন্য ধোলাই ও কম খাইনি। একবার স্কুল খেকে যথারিতী ছাতা ছাড়া বাসায় ফিরেছি আর মা আমাকে আবার স্কুলে ফেরত পাঠালেন স্কুল খেকে ছাতা খুঁজে আনার জন্য। স্কুলে গিয়ে তন্য তন্য করে খুজে যখন কেথাও পেলাম না তখন একদিকে হাড়ানো ছাতার ক্ষোভ অন্য দিকে মায়ের ধোলাই এর আতঙ্ক । কতদিন যে কাাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরেছি। আবার ও মার বকুনি এবং নতুন একটি ছাতা। প্রায়ই আমার ছাতা গুলো ঘুরে ফিরে একই রকম হত। নতুন ছাতা পেয়ে মাকে বোকার মত প্রশ্ন করতাম ”আম্মু আমার না এইরকম একটা ছাতা ছিল?” মার নিরুত্তাপ উত্তর ” কেন দোকানে একই ডিজাইনের ছাতা নেই?”



এভাবে ঘুরে ফিরে একই ডিজাইনের ছাতা হাতে এসে পড়ত আর আমি খুব অবাক হতাম। বোকা ছিলাম বলে বুঝিনি।
আসল ব্যাপার হলঃ মা স্কুলের এক আয় কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্কুল ছটির পর আমার ছাতা সংগ্রহ করে রাখার সেই সাথে কিছু টিপস। মা সপ্তাহ অন্তর ছাতাগুলো সংগ্রহ করে আনত। আর কইয়ের তেলে কই ভাজত। মাকে আজও সেই কথা বল্লে বলে ওটা নাকি এক ধরনের শাস্তি ছিল। আমার ভুলো মনকে সার্প করার একটা প্রকৃয়া। তখন খুব মনে হত মায়েরা এত নিষ্ঠুর কেন? কিন্তু আজ বুঝি তখনকার বাবা মায়েরা যেভাবে ছেলে মেয়েদের শাসন করতেন সেটা তাদের জন্য খুব দরকার ছিল।



কলেজে ওঠার পরও ছাতা হাড়ানোর কর্মকান্ড চলছিল। মা একদিন বিরক্ত কয়ে রেইন কোট কিনে দিলেন। কিন্তু তাতে ব্যাগ ভিজে যেত তাই আবারও ছাতা। তবে ছাতা হাড়ানোর মাঝেও একটা অনন্দ ছিল তা এখন টের পাই। এখনও ছাতা ব্যবহার করি তবে এখনও যখনি কাউকে সুন্দর ছাতা নিয়ে যেতে দেখি তখন মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকি আর মনে মনে বলি ” আহারে ছাতা..”
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
২০টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×