স্থানীয় সুত্র জানায়, শনিবার রাত ১২টার দিকে চাটখিল উপজেলার নয়াখোলা ইউনিয়নের সাধুরখিল গ্রামের মোঃ রহমত উল্যার পুত্র উগ্র ধর্মান্ধ মাসুম বাবর কুমার ঘরিয়া মন্ডপে প্রবেশ করে বলি পূঁজার কাজে ব্যবহৃত একটি দা দিয়ে দূর্গা প্রতিমায় আঘাত আঘাত করতে থাকে। এসময় মন্ডপে অবস্থানরত ভক্তরা চিত্কার দিতে থাকলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মন্ডপে ডিউটিরত পুলিশ এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ভাংচুরে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মাহবুবুর রহমান ও সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলেন। এবং রাতেই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এ ঘটনায়ক ক্ষুব্ধ সোনাইমুড়ী উপজেলার অন্যান্য মন্ডপের প্রতিমাগুলো বিসর্জন না দেয়ায় দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূঁইয়ার সাথে পূঁজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বৈঠকের পর সকগুলো মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রুহুল আমিন ওরফে মাসুম বাবর (২৮) এর পকেটে তার নাম ঠিকানা লিখা একটি কাগজ এবং ৪ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করে। অন্যকোন ধর্ম কিংবা প্রতিমা পূজাকে বিশ্বাস করে না বলেই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন নয়। তবে একেকবার এক কথা বলে।
এদিকে রাতে এ ঘটনার পর সোনাইমুড়ী উপজেলাসহ জেলার সবকটি মন্ডপে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯