শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছি এমন সময় একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন
এলো। হ্যালো বলতেই মেয়েলী কন্ঠ
- সরি ভাইয়া আমার বন্ধুর নাম্বারে ফোন করতে গিয়ে মিসটেক হয়েছে, ওর নাম্বার আর আপনার নাম্বার প্রায় স্যাম।
- ওকে রাখছি।
- আচ্ছা ভাইয়া এটা কোথায়?
- রাজশাহী।
- অাপনি কি করেন? প্লিজ বলা যাবে?
- আমি অনার্সে পড়ছি।
আমার কেন জানি মনে হল মেয়েটি হয়তো আমার পরিচিত সবকিছু জেনেই আমার সাথে ফাজলামি করছে। আমি কথা না বাড়িয়ে
- আমি আপনার সাথে পরে কথা বলব, এখন নামাজ পড়তে যাব।
- আমি আপনার ফোনের অপেক্ষায় থাকব।
ফোন রেখে একটু চিন্তা করলাম কে হতে পারে, নাহ তেমন কাউকে খুঁজে পেলাম না।
যাহোক সন্ধ্যার পর খুব আগ্রহভরে সেই নাম্বারে ফোন দিলাম। মেয়েটি মনে হয় সেই অপেক্ষাতেই ছিল।খুব খুশি খুশি মনে হল।
- কেমন আছেন আপনি?
- ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন।
- বলবো না।
- কেন?
- অাপনি অামাকে তুমি করে না বললে আমি বলবোনা। কারন আমি আপনার বয়েসে ছোট। আমি এখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি।
- নামটা জানতে পারি।
- অবশ্যই, আমার নাম শিমলা। বাড়ী নোয়াখালী।
- নোয়াখালীর কোথায় অাপনার বাড়ী।
- দেখুন আপনি আবারো আপনি বলছেন।
-আসলে, আচ্ছা ঠিক আছে নোয়াখালীর কোথায় তোমার বাড়ী?
- মাইজদি। মাইজদি মহিলা কলেজে পড়ি। মাইজদি টাউনেই আমাদের বাড়ী।
মেয়েটার সাথে আমি যত কথা বলছি ততই তার প্রতি আকৃষ্ঠ হচ্ছি। এত স্মার্টলি কথা বলছে। কন্ঠ ও দারুন। কথা বলছে খুব সাবলীল ভাবে।
আমার কেমন জানি বেপারটা ঘোলাটে লাগছে। কারন আমার জানামতে মেয়েরা এভাবে গায়ে পড়ে কথা বলেনা। সামনে কি আছে দেখার ইচ্ছে হল;
- আচ্ছা ঠিক আছে, ভাল থেকো। পরে কথা হবে।
- একটা কথা বলব!!!
- হুু বলো
- মানে অামি কি অাপনার বন্ধু হতে পারি। আর আপনার নামটা?
- হুম, পার। আর আমার নাম জোবায়ের হাসান।
- তাহলে আজ থেকে আমরা বন্ধু। আমি কিন্তু আপনাকে তুমি করে বলব।
- ওকে, বলিও। এখন রাখি। ভাল থেকো।
-ওকে।
বুঝতে পারলাম ফোন রাখাতে মন খারাপ করেছে। মিনিট দশেক পর শিমলা নিজেই ফোন করলো; আমতা আমতা করছে, কি যেন বলতে চাচ্ছে কিন্তু পারছেনা। আমি বললাম এত সংকোচ না করে কি বলবে বল।
- না সংকোচ না। যদি তুমি কিছু মনে না কর তাহলে একটা কথা বলব, মানে তোমার কাছে একটা জিনিস চাইব।
আমি বুঝতে পারলাম সে খুব টেনশনে অাছে, তার দ্রুত নিঃশাস পড়ছিল। আমার অার বুঝতে বাঁকি রইলো না। আমাকে তার ফাঁদে ফেলেছে এখন ফ্লেক্সি অথবা টাকা-পয়সা চাইবে। কিন্তু না তার কথা শুনে আমার মাথা ঘুরে গেল। টাকা পয়সা নয় সে চাইল!!!
- হ্যাঁ বল। আমি কিছু মনে করব না। আর আমার সাধ্যের মধ্যে হলে অবশ্যই দিব। বল কি চাও।
- আমার ঠোঁটে একটা কিস দিবা? প্লিজ প্লিজ প্লিজ দাওনা লক্ষী।.....
আমি এতটাই অবাক হয়েছিলাম তা বলে বোঝানো যাবেনা। একটি মেয়ের সাথে দেখা নেই পরিচয় নেই। অথচ এমনভাবে কথা বলছে যে তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তাও আবার প্রেমের সম্পর্ক। প্রথমদিনেই বন্ধু, বন্ধু থেকে প্রেম, প্রেম থেকে কিস। সত্যিই কি ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারছিনা। এরপর চারমাস তার সাথে কি ঘটেছে তাই আপনাদের বলব ২য় খন্ডে..........