শিমলার সাথে নিয়মিত আমার কথা চলতে থাকে। কথা বলতে বলতে এমন অবস্থা হল যে, ও সারাদিন শুধু আমার সাথে কথা বলতে চায়। এর মধ্যে শিমলা ওর পরিবার সম্পর্কে আমাকে জানায় যে, বাবা ডাক্তার ছিলেন এখন গত হয়েছেন। দুই ভাই এক বোন। শিমলা সবার ছোট। বড় ভাই ইতালি থাকে। ছোট ভাই বাড়ীতে, ডিগ্রিতে পড়ছে। মা গৃহিণী। পাঁচ তলা নিজস্ব বাড়ী। নিচতলায় চাচা তার ফ্যামিলি আর দোতলায় তাদের ফ্যামিলি থাকে। বাঁকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেয়া।
প্রতিদিন প্রায় সময় তার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা চলে। দিনের বেশিরভাগ সময় ও নিজেই ফোন করে কথা বলতো। আমি মাঝে মাঝে ফোন করতাম। আমার মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকলে ৫০ টাকা ১০০ টাকা পর্যন্ত ফ্লেক্সি করে দিত। এর মধ্যে কথাবার্তার ধরণ অনেক নিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ শিমলা শুধু এডাল্ট কথাবার্তা পছন্দ করতো। সারাদিন যা কথা হতো তার সবই গরম গরম। কোন মেয়ে মানুষ এ ধরনের শব্দ উচ্চারণ করতে পারে, এধরনের বাক্য বিনিময় করতে পারে তা ওর সাথে কথা না বললে আমার অভিজ্ঞতা হতোনা। পাঠক মহোদয় নিশ্চই অনুমান করতে পারছেন। কথাগুলো প্রকাশ করলে আমাকে কেহ সভ্য সমাজের বলে মনে করবেনা। তাই এভাবে বলাটাই শ্রেয় মনে করছি। শিমলার পছন্দের ড্রেসাপ ছিল জিন্স প্যান্ট আর টি শার্ট। তখন ছিল শীতকাল রাত ১২ টা ১ টা পর্যন্ত ছেলেদের সাথে ব্যাটমিন্টন খেলতো। আমি রাতে তেমন কথা বলতাম না। মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখতাম ২০-২৫ টা মিসকল। হঠাত এক গভীর রাতে আমি ফোন রিসিভ করি। কথা বলতে বলতে শিমলা আমাকে প্রশ্ন করলো;
- তুমি কি ড্রিংকস কর?
- না।
এতক্ষণ কথা বলে আমি এটাই অনুমান করছিলাম। ও নিশ্চয় নেশা করেছে। নেশায় বুদ হয়ে আমার সাথে কথা বলছে। মাতালদের মত টেনে টেনে কথা বলছে।
- কি বল! তুমি ড্রিংকস করনা। আরে এতেই তো আসল মজা।
- কি নেশা কর তুমি?
- নেশা বলছো কেন? আমার যখন ভাল লাগে তখন করি। আমি সব খাই তবে বেশি ভাল লাগে ফেন্সিডেল।
- ও আচ্ছা। তো আমাকে বলবে কেন তুমি এগুলো খাও?
- আমার ভাল লাগে তাই খাই। এখনকার সব মেয়েরাই খায়। এসব কথা রাখো তো। এখন আমি না সিডিতে দারুন একটা....... দেখছি। আমাকে একটু আদর করনা জান। আমার খুব খারাপ লাগছে। প্লিজ........ পরবর্তী ৩য় পর্বে।