বিছানা সৈরাচারী ছারপোকাদের দখলে,
তারা নিত্য সুখে আমার রক্ত চুষছে আর,
ডিম ফুটিয়ে নতুন খুনে আনছে,
মন অপরাজিতা তোমার দখলে,
তুমি নিত্য চোরাকাঁটা বিঁধাচ্ছো আমাতে,
কখনো তার ডগায় তীব্র সুখ, কখনো তীব্র বিষাদ,
আমার ভেতরে তুমি শিকড় গাঁড়ছো আদরে,
কলম ক্ষমতার দখলে,
এপাশ ওপাশ দুপাশে হাতে দা ছুরি,
ভাবটা এমন,শালা শুধু একটু ট্যা ফোঁ করে দেখ,
দেবো ভিটেয় ঘুঘু চরিয়ে,
ভর দুপুর লাগবেনা মাঝরাতেই চলবে।
বইয়ের পাতায় ইতিহাস,
পুরোটা জুড়েই ক্ষমতা, ভালো লাগলে হাততালি,
ওটা প্রাইমারির বইয়ে দাও,
আর যদি লেগেছে মন্দ, ওতো বড় গন্ধ,
পুরো গল্পটাই মুছে দাও।
ডাল ভাতের হাত দিয়ে বোতলের পানি ছুঁতে যাই,
নাগরিক উড়ন্ত দুপেয়ে এসে ভাগ বসাই,
চেঁচিয়ে বল, "শালা কাকের বাচ্চা"
ফিরতি উত্তর" কাকা"।
যেনো বলতে চায়, গাল কেনো দাও,
রাজনিতীবিদ আর আর আমরা, সবাই তো তোমাদের ভাই, কাকা।
ও বোধহয় সত্যি বলেছিলো।
আমি এখন আর কিচ্ছুতে দাবী তুলিনা,
বিছানা ছেড়ে ক্রংক্রিটের মেঝেতে ঘুমাই,
অপরাজিতার মুখ ভুলে দেখি ল্যাম্পপোস্ট,
ইতিহাসের বইয়ের পাতা দিয়ে বানাই কাগজের প্লেন,
কলম ছেড়ে রাস্তায় হাঁটি
ভরদুপুরে ভাতের বদলে সিগারেট ফুঁকি।
সব ছেড়ে দিলাম,
আমায় ছাড়া নগর তুই ও শুখিয়ে মরবি।
যেদিন ফিরিয়ে দিবি সব,
ছারপোকা বিহীন বিছানা,
কলমের ডগা থেকে খুলে নিবি আগল,
ভাতের প্লেটের পাশে রাখবি এক টুকরো নিশ্চয়তা, ইতিহাসের বইয়ে দিবি স্বাধীনতা,
আর,
মুঠোয় অপরাজিতার আঙ্গুল,
সেদিন ফের সন্ধ্যায় আমি লিখতে বসবো সমাজ, তোর জন্য নতুন এক গান।
স্বাধীনতার গান,অধিকারের গান।।
সমাজ,
আগে আমায় স্বাধীন কর।
রুদ্র রাফি