চিহ্নিত করুণ স্বাধিনতা বিরোধিদের - তালিকা প্রকাশ করুণ স্বাধিনতা বিরোধিদের - অন্যথা স্বাধিনতার পক্ষের শক্তি পদে পদে পরাজিত হবেন -
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ খৃস্টাবেদ মুজবনগরের বৈদ্যনাথতলায় স্বাধিন বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি – সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রি, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলিকে অর্থ মনিত্র, খোন্দকার মোস্তাক আহমদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রি, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি করা হয় । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেয়া হয় ।
জামাতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লিগ, পি ডি পি, কৃষক শ্রমিক পার্টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, ইসলামি ছাত্র সংঘ - বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করতে থাকে । পাকিস্থানি বাহিনির অবাধ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ও অপরাপর জঘন্য অপরাধ মূলক কার্যকলাপকে এ সব দলের নেতা কর্মিরা পাকিস্থান রক্ষা কল্পে সঠিক ও সময়োচিত বলে আখ্যায়িত করতে থাকে।
জামাতে ইসলামির নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম, আব্বাস আলি খান, আব্দুল খালেক, মওলানা মুহম্মদ ইউসুফ, পি.ডি.পি. নেতা নুরুল আমিন, মাহমুদ আলি, ফরিদ আহমেদ, ইউসুফ আলি চৌধুরী (মোহন মিয়া), আব্দুল জব্বার খদ্দর, মুসলিম লিগ নেতা খান এ সবুর খান, কাজি কাদের, ফজজুল কাদের চৌধুরী, আব্দুল মতিন, আ.ন.ম. ইউসুফ, খাজা খয়রুদ্দিন, আবুল কাসেম, কৃষক শ্রমিক পার্টির নেতা মোহাম্মদ সোলায়মান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতা পির মোহসিন উদ্দিন (দুদু মিয়া), জাতিয় লিগ নেতা শাহ আজিজুর রহমান, ইলামি ছাত্র সঙ্ঘ নেতা মতিউর রহমান নিজামি, আব্দুল কাদের মোল্লা, আলি আহমেদ মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রমুখ -
পাকিস্থানের সংহতি, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার জন্যে দৃঢ় সংকল্প, আনুগত্য, ঐক্য ও জিবনপাত করার শপথ নেয় ।
এরা ইয়াহিয়া- টিক্কা ও নিয়াজি চক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে – মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাত করা ও মুক্তিবাহিনিকে দ্বংশ করা জন্যে প্রায়ই পাকিস্থানি সামরিক হানাদার বাহিনির সাথে বৈঠক করতো - পাকিস্থানি সামরিক হানাদার বাহিনিকে সহায়তা করার জন্যে গড়ে তোলে “শান্তি কমিটি” -
পাকিস্থানি সামরিক হানাদার বাহিনিকে মুক্তিবাহিনির সন্ধান দেয়া – মুক্তি বাহিনির ক্যাম্প আক্রমন করা – স্বাধিনতার পক্ষের বা মুক্তি বাহিনির পক্ষের লোকদের বাড়ি ঘর লুট করা – অগ্নি সংযোগ করা – এগুলোই ছিলো “শান্তি কমিটির” মূল কাজ ।
পাকিস্থানের সংহতি রক্ষার জন্যে ব্রপক গণসংযোগ করে “শান্তি কমিটি” –
সভা সমাবেশ আলোচনা ও বেতার ভাষণের মাধ্যমে নানাবিধ - মিথ্যা – বানোয়াট - কল্পকাহিনি প্রচার করে জনমনে পাকিস্থন প্রীতি জাগাবার মিথ্যে (ব্যর্থ) টেষ্টা করে –
তারা মুক্তিবাহিনিকে রাষ্ট্রদ্রোহি – সমাজ বিরোধি- দুষ্কিৃতিকারি – ভারতের চর – জারজ সন্তান ও পঞ্চম বাহিনি বলে গালাড়াল করতো – “পাকিস্থান আল্লাহর ঘর – একে রক্ষা করা ঈমানের অংগ” – এ জাতিয় ইসলাম বিরোধি – কোরআন বিরোধি কথা বলে - মুসলমানদের মনে “সাম্প্রদায়িক” মনোভাব জাগানোর মিথ্যে (ব্যর্থ) চেষ্টা করতো – দালাল নেতারা “রাজাকার” বাহিনি গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে – জামাতে ইসলাম নিজস্ব ক্যডার দিয়ে গঠন করে “আল বদর” বাহিনি – এরা মুক্তিযোদ্ধা – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক –মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজিবিদের হত্যা করে -
( পৃঃ ৬৫ – ৬৮ - একাত্তরের ঘাতক দালাল – যা বলেছে যা করেছে – নুরুল ইসলাম সম্পাদিত )
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০