বাংলাদেশে এখন দ্বিতীয় মেয়াদে লকডাউন চলছে। প্রথম লকডাউনে গ্রামে থাকলেও এখন ঢাকায় দ্বিতীয় লকডাউন কাছ থেকে দেখছি আর আকাশ-পাতাল ভেবে পাজল্ড হচ্ছি। এই নগরীর রাস্তায় রাস্তায় সুনসান নিরবতার পাশাপাশি রয়েছে হাহাকার যন্ত্রণা ও মর্মবেদনা। এই মহামারীতে চাকরীচ্যুত হয়েছে মানুষ, আয় কমে গেছে এবং একইসাথে বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে। লকডাউন ও সাটডাউনে দোকান, মার্কেট, শপিংমল, পর্যটনকেন্দ্র, উৎপাদন ও সেবাখাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারিয়েছে বহু মানুষ। তবে কি লকডাউন ক্ষতিকর? কভিড-১৯ নিয়ে যারা পড়াশুনা করেছেন তারা জানেন ভাইরাস হিসেবে করোনা একটি সংক্রামক হওয়ায় একজন কন্টাক্ট থেকে আরেকজনে দ্রুত ছড়ায় এটি। এই উভয়সংকটে মানুষ হয়ে পড়েছে অসহায়। গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের উপার্জন কমে যাওয়ায়, বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরে আসায় পরিবারের নারী ও শিশুরা পড়েছে বিপদে। কারন নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
এই নগরীর রাস্তায় রাস্তায় যেসব দরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা পসরা সাজিয়ে দুপয়সা উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করত তারা আজ নিঃস্ব হওয়ার পথে। প্রায় সাড়ে তিন লাখের মত শ্রমিক পোশাক খাতে চাকরি হারিয়েছে। সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ভেঙ্গে পড়েছে। বেড়েছে করোনায় মৃত্যুহার। জীবন বদলের স্বপ্ন নিয়ে যারা শহরমুখী হয়েছিলেন, তাদের জীবন বাঁচানোই এখন কঠিন। রিকশাচালক, গার্মেন্টস কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড, নাইট গার্ড, হকার, বাসের হেল্পার, কন্ট্রাক্টর সহ নিম্নবিত্ত মানুষেরা বেঁচে থাকার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। এ যেন এক অনন্ত লড়াই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬