somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কতিপয় বিপদজনক প্রাণী.. .. ..

২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১)
অবশেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিতিয়। ফেলতে বাধ্য হয়।
সে এই মহাকাশযানের ক্যাপ্টেন,এই যানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।সুতরাং তার হতাশা মানে অবশ্যই বড় একটা ব্যাপার।
"নাহ,সম্ভভব নয়। এই গ্রহের কিছু হবে না!"
এই মুহুর্তে কন্ট্রোল রূমে ঈশিয়া ছাড়া অন্য কেউ নেই। অবশ্য এই গ্রহটা পর্যবেনের ব্যাপারে ঈশিয়ার আগ্রহই সবচাইতে বেশী ছিল সবসময়।
"তুমি ঠিকই বলেছিলে,এই গ্রহটাকে পর্যবেক্ষণ করা মানে অযথা সময় নষ্ট।"চরম হতাশ মনে হয় ঈশিয়াকে।হতাশ এবং বিরক্ত।
"ব্যাপারটা অবাক করার মতো।কিন্তু এটাই সত্যি।"
"ঠিকই বলেছো,অবাক করার মতোই ব্যপার।সাধারণত একটা উর্বর গ্রহ কোনো কারণে বন্ধ্যা হয়ে গেলে,দীর্ঘ দীর্ঘ সময় পর গ্রহটি আবার উর্বর হয়ে ওঠে।কিন্তু এই গ্রহটির ক্ষেত্রে তা হয়নি। গ্রহটিকে এমন ভাবে শেষ করে দেয়া হয়েছে যে সে আর নতুন করে জেগে উঠতে পারেনি।"
"কখনও যে পারার সম্ভভাবনা আছে,সেরকমটাও মনে হচ্ছে না।গ্রহটির জন্যে রিতীমত কষ্ট হচ্ছে আমার।"
"আমার রাগ হচ্ছে,তিতিয়।এই গ্রহটিতে প্রধান প্রানীকুল হিসাবে যে প্রাণী প্রজাতিটি বংশ বিস্তার করেছিল,তাদের নিষ্ঠুরতা চিন্তা করে রাগ লাগছে।নিজেদের মাতৃগ্রহকে কেউ এভাবে ধ্বংস করে?করতে পারে?"
"করতে যে পারে,তা তো বোঝাই যাচ্ছে।রেকর্ড দেখো,শেষ যেবার এই গ্যালাক্সিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল তখনকার একটা রিপোর্ট পাবে এই গ্রহটি সম্পর্কে।রিপোর্টে বলা হয়েছে-অসম্ভভব সম্ভভাবনাময় একটি গ্রহ। প্রাকৃতিক প্রাচুর্য অঢেল এবং বৈচিত্রময়। একটি বুদ্ধিমান,উন্নত প্রাণীকুলের বংশ বিস্তারের জন্যে শতভাগ অনুকুল পরিবেশ।"
"বুদ্ধিমান প্রাণীকুল??"ব্যঙ্গ ঝরে ঈশিয়ার কণ্ঠে।"বুদ্ধিমান প্রজাতি হলে কি আর নিজেদের মাতৃগ্রহকে এইভাবে ধ্বংস করতে পারতো? বাতাসে চরম তেজস্ক্রিয়তা,প্রাকৃতিক পরিবেশ পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত,খনিজ সম্পদ শূন্য পর্যন্ত নিঃশেষিত।বেচারী গ্রহটি আর কোনোদিন সজীব হয়ে উঠতে পারবে না।"
জবাব দেয়ার আগে স্ক্রীণে ভেসে ওঠা ছবিটির দিকে গভীর মনযোগে তাকিয়ে থাকে তিতিয়।গ্রহটির ভূ পৃষ্ঠের একটি ছবি। রূক্ষতা,অনুবর্রতায় ভরা খুব বিষন্ন একটি চিত্র।হাজার হাজার মাইল জুড়ে বিস্তৃত শুধু ধাতব সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ,আর কিছু নয়। তেজস্ক্রিয়তায় ভরা ধূলিময় আবহাওয়া। কোথাও এতটুকু প্রাণের চিহ্ন নেই। নিষ্ঠুর ধূসরতা শুধু সবখানে।
"এই গ্রহের প্রাণীগুলোর মহাকাশ আইনে বিচার হওয়া উচিত, ঈশিয়া। কোনো প্রজাতি এতটা নিষ্ঠুর হয় কি করে?নিজেদের গ্রহের প্রতি কি চরম নৃশংসতা!.. .."
"গ্রহের না হয় কথা বাদ দাও.. ..এদের সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে নিজেরা নিজেরা লড়াই করতে গিয়ে এই অবস্থা করেছে। কোনো মানে হয়,বলো?একটি প্রজাতি কতটা নির্বোধ হলে এইরকম কাজ করতে পারে?"
শরীর দুলিয়ে সায় জানায় ক্যাপ্টেন।"যত চিন্তা করছি,ততটাই রাগ হচ্ছে আমার।মন খারাপ হচ্ছে।চলো,আমরা বরং ফেরার প্রস্তুতি নেই।আর ভালো লাগছে না এই নিষ্ঠুরতা দেখতে।.. .."
"ঠিকই বলেছো,আমারও খুব খারাপ লাগছে।তুমি নতুন কোর্স লোড করো,আমি জ্বালানী ব্যবস্থাটা একবার পর্যবেক্ষণ করে ফেলি.. .."
কোর্স ঠিক করার ফাঁকে তথ্যশালায় গ্রহটি সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য সংযুক্ত করে ফেলে তিতিয়,যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায় অনেকটা এইরকম।
গ্রহের নাম:-পৃথিবী
অবস্থান:-মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একটি মধ্যম মানের
নক্ষত্র সূর্যের চর্তুদিকে আর্বতনরত তৃতীয়
গ্রহ।(কোর্স বিস্তারিত-১ম অংশ দ্রষ্টব্য)
বর্তমান অবস্থা:-সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ্যা,মৃত।
পুর্নজাগরণের সম্ভাবনা:-শূণ্য
২)
মস্তিষ্ক সচল হতেই সর্বপ্রথম লিসান মিকির মনে হয়-"সমস্যা কি?"এবং ভাবনাটা আসতেই ক্ষীণ একরকম অস্বস্তি চেপে বসতে শুরু করে মনের ওপরে।
সুরা চেম্বারের ঢাকনার ওপরে বসানো মনিটরে দেখা যাচ্ছে পর্যায়ক্রমিক অগ্রগতি।বিগত একশো বছরেরও অধিক সময়ের মাঝে তাঁকে আর ঘুম থেকে জাগানো হয়নি,সুতরাং শরীরটা পুর্নজাগরিত হয়ে কর্মক্ষম হতে কিছুটা সময় তো নেবেই।ততক্ষণ ধৈয্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই কোনো।
সব্বোর্চ মাত্রার কোনো বিপদ অথবা সুসংবাদ ছাড়া তাঁকে জাগানোর কথা নয় পরিচালক রোবট সিরাসের।ছোটখাট বিপদ সামলে নিতে সে বিশেষ পারদর্শী। কেননা অবস্থা বিশেষে স্বয়ং সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাকে প্রদান করা হয়েছে।হাজার বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর থেকে এই সিরাসই মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে।
সুতরাং এত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তাঁকে পুর্নজাগরিত করার একটিই অর্থ- পরিস্থিতি গুরূতর।অত্যন্ত গুরুতর।
কি হতে পারে?অবশেষে কি বসতি স্থাপনের জন্যে পাওয়া গেছে নতুন কোনো গ্রহ??যে গ্রহে আবার নতুন করে বসতি হবে মানব সম্প্রদায়ের, সমাপ্তি ঘটবে এই যাযাবর জীবনের.. ..
উত্তেজনার বশে প্রায় দৌড়ে কন্ট্রোল রূমের দিকে এগোতে থাকেন লিসান মিকি।তাঁর ধারণা সত্যি হয়ে থাকলে সামনে এখন অনেক কাজ।
এগারোতম বিশ্বযুদ্ধটির পর পৃথিবী যখন পরিণত হয়েছিল একটি সুবিশাল ধ্বংস স্তুপে,তখন অবশিষ্ট মানুষেরা বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল মাটির নিচের শহর গুলোতে।কিন্তু ক্রমশ জীবনধারণ অসম্ভভব হয়ে উঠতে লাগলো। এবং এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো যে মানব সভ্যতার অবশিষ্ট বাহকেরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়বে।খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে বসতি স্থাপনের জন্যে অনুকূল একটি গ্রহ।
কিন্তু বিগত সহস্র সহস্র সৌর বছরেও শেষ হয়নি খোঁজ।পাওয়া যায়নি আকাঙ্খিত সেই গ্রহটি।আজ যদি সত্যিই সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটে থাকে,তাহলে তৎক্ষণাত যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে পৃথিবীর সমস্ত মহাকাশযানগুলোর সাথে।সব গুলো যানেই সংরতি আছে মানব ভ্র“ণ,বৃ কুলের নমুনা,কিছু জীব জন্তুর কোন করা প্রতিরূপ।নতুন করে বসতি স্থাপনে কোনোরকম কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অবশ্য এত বছরের অভিযানের পর কতগুলো যান অবশিষ্ট আছে,তাই বা কে জানে!
৩)
"তোমরা জানো,পৃথিবীর ইতিহাসে এগারোতম বিশ্বয়ুদ্ধের সময়ে আমি একজন উচ্চপদস্থ যোদ্ধা ছিলাম।"আস্তে আস্তে বলেন লিসান মিকি।এ কথাটি বলতে তিনি পছন্দ করেন এবং প্রত্যেক মিটিংয়ের শুরুতেই বলে থাকেন। তাই কন্ট্রোল রূমের কালো টেবিলটি ঘিরে বসে থাকা সতেরো জন মানুষ কোনো জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না।চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে থাকে কেবল।তাদের সকলের সামনে পরিবেশন করা হয়েছে সামান্য কিছু খাদ্য এবং পানীয়।সকলের মনযোগ মোটামুটি সেদিকেই আপাতত।
একে একে সবার মুখের দিকে দৃষ্টি ফেলেন লিসান মিকি,"কিন্তু আমার সম্পূর্ণ জীবনে এতটা গুরূতর কোনো সমস্যায় আমি পড়েছি বলে মনে পড়ছে না।এমনকি যুদ্ধের সময়েও নয়।"
ইয়ুনের খুব জানতে ইচ্ছা করে যে যুদ্ধের সময়ে ক্যাপ্টেন কোন রাষ্ট্রের অধীনে ছিলেন।শেষ পর্যন্ত অবস্থার গুরূত্ব উপলব্ধি করে নিজেকে সামলে নেয় সে।তাদের যানের শ্বাস-প্রশ্বাস জ্বালানীতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।সহজ ভাষায় ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন ভান্ডার।এই অবস্থাতে ক্যাপ্টেনের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
"তোমরা এতক্ষণে জেনে গেছো সমস্যাটি কোথায়।যে পরিমান অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে তাতে খুব বেশী হলে আরও এক সৌর বছর পর্যন্ত চলবে আমাদের।যদি সকলে সুরক্ষা চেম্বারে ঘুমিয়ে থাকি,তাহলে আরও কিছু সৌরবছর পর্যন্ত চলবে।ঘটনা যাই ঘটুক না কেন,পরিণতি একটাই-মৃত্যু!"
"এত সহস্র বছরেও বসতি স্থাপনের জন্যে একটি গ্রহ খুঁজে পেলো না পৃথিবীর কোনো যান.. .."বিড়বিড় করে রূনাক।"আমাদের কতগুলো যান আর অবশিষ্ট আছে,ক্যাপ্টেন?"
"বেশী নয়। এই মুহূর্তে আমাদের অর্ধেকেরও বেশী যান নিখোঁজ।"
"ভয়াবহ সংবাদ।"
"হ্যা,রিশিকা।ভয়াবহ এবং আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার মতো।"
"তাহলে আমরা এখন কি করবো ক্যাপ্টেন?"
"দুটি কাজ করা যেতে পারে।"জবাবটা দেয় ইয়ুন।"এক-আমাদের সকলকে এখনই সুরক্ষা চেম্বারের নিদ্রায় ফিরে যেতে হবে।এবং অপেক্ষা করতে হবে এই আশায় যে অন্য কোনো গ্রহের মহাকাশযান আমাদের বিপদ সংকেত বুঝতে পেরে এগিয়ে আসবে।আর দ্বিতীয়ত.. .."বলার আগে সবার মুখের ওপর একবার দৃষ্টি বুলিয়ে নেয় সে।"দ্বিতীয় উপায়টাতেও আমাদেরকে অপেক্ষাই করতে হবে অন্য কোনো যানের সাহায্যের জন্যে।কিন্তু এ উপায়ে বেঁচে থাকার সম্ভভাবনাকে আমরা কিছুটা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করতে পারি।"
"তারমানে তুমি বলতে চাচ্ছো,আমাদের কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করে আমরা বাকিদের বেঁচে থাকার সম্ভভাবনা বাড়াবো?"
"উত্তেজিত হয়ো না,রূনাক।.. ..হ্যা,আমি সেটাই বলতে চাচ্ছি।পরিস্থিতি অনুযায়ী এটাই হবে সেরা ব্যবস্থা।এত র্দীঘ জীবনে যে সকল সদস্যদের শরীরিক যোগ্যতার অবনতি হয়েছে,তাদেরকে হত্যা করলে খুব একটা ক্ষতি হবে বলে আমার মনে হয় না।"
ইয়ুশের বাক্য গুলো শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয় কন্ট্রোল রূমের মাঝে।পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দীর্ঘসময় তর্কের পর দেখা যায় নিষ্ঠুর পদ্ধতিটির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।সুতরাং হিসাব নিকাশ চলতে থাকে সকলের শারীরিক যোগ্যতার।
এ সবের মাঝে একদম শান্ত ভঙ্গিতে বসে থাকেন ক্যাপ্টেন লিসান মিকি।এই যানের সবচাইতে বয়োজেষ্ঠ্য সদস্য তিনি,শারীরিক যোগ্যতার বিচারে তার নামই হত্যা তালিকার প্রথমে আসাবার কথা।কিন্তু চেহারা দেখে মনে হয় না যে ব্যাপারটা নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত।

এবং অপর একটি মহাকাশযানে:-

মানুষ নামক প্রানীগুলোর হাস্যকর মহাকাশযানটিকে গভীর মনোযোগে পর্যবেণ করছিলেন তারা।মহাবিশ্বের বুকে কোনো প্রাণীকুলের সভ্যতা এতটা পিছনে পড়ে আছে,ব্যপারটা যেন বিশ্বাসই হতে চায় না।এত অনুন্নত একটা মহাকাশযানে তার কি করে ভ্রমন করছে,সেই ব্যপাটারটিই সবচাইতে বিস্ময়কর।
"কি মনে হয়,ক্যাপ্টেন প্রাণীটি এখন কি করবে?"
"করার মত কিছু কি আর অবশিষ্ট আছে?সকলের খাদ্যে ধীরগতির একটি বিষ মিশিয়ে দিয়েছে সে।ধীর গতির হলেও ভয়াবহ বিষাক্ত একটি পদার্থ।"
"পদার্থটি সোজা প্রাণীগুলির স্নায়ুর ওপর ক্রিয়া করবে।তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অসাঢ় হয়ে আসবে শরীর।সকলে পরিণত হবে জড় পদার্থে।"
"ক্যাপ্টেন প্রাণীটি বুদ্ধিমান। অবশিষ্ট ষোলো জনকে ধ্বংস করে ফেলা মানে তার বেঁচে থাকার সম্ভভাবনা ষোলো গুন বেড়ে যাওয়া।"
"বুদ্ধিমান।এবং নৃশংশ।"
".. ..দেখো প্রাণীটি অবশিষ্ট সবাইকে হত্যা করতে শুরু করেছে। অদ্ভভুত একটি যন্ত্র দিয়ে আঘাত করছে নিজের স্বজাতিকে।"
".. ..আঘাত করা মাত্র প্রাণীগুলির শরীর থেকে রঙিন একরকম তরল বের হচ্ছে.. ..এটা মনে হয় প্রাণীগুলির শরীর শীতলকারী তরল.. .."
"কিন্তু আমরা এখন কি করবো?ক্যাপ্টেন প্রাণীটিকে আমাদের যানে তুলে নেবো?"
"গবেষণা করার জন্য ভালো একটি প্রাণী!"
"উন্মাদ হলে তোমরা?এত হিংস্র একটা প্রাণীকে নিজেদের যানে নেয়া অর্থহীণ।"
"মহাকাশ গবেষনার আইন দেখো-কোনো প্রাণী যদি চরম মাত্রার বিপদজনক হয়,তাহলে যত গুরূত্বপূর্ণই হোক না কেন তার থেকে দূরে থাকতে হবে। কোনোভাবেই সেই বিপদজনক প্রাণীর ওপর গবেষনা করার ঝুঁকি নেয়া যাবে না-এটা আমাদের গ্রহের আইন।"
"ঠিকই বলেছো!কিন্তু কি করবো এখন?প্রাণীটিকে একলা ফেলে যাবো?"
"মাথা খারাপ?এত বিপদজনক একটা প্রানীকে জীবিত রেখে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের জন্যে একটি ঝুঁকি বাড়ানো।যারা নিজেদের মাতৃগ্রহ এবং নিজেদের স্বজাতিকে হত্যা করতে পারে,তাদের পক্ষে সবই সম্ভভব।"
"প্রাণীটিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে.. .."
"এত বিপদজনক একটা প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না.. .."
"নিচু বুদ্ধিমত্তার প্রাণী তো,এই জন্যে হিংস্রতা বেশী.. .. .."
"ঠিকই বলেছো,শরীরের জোরে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে চায় তো কেবল নিচু বুদ্ধিমত্তার প্রাণীরাই.. ..
"চলো,একে ধ্বংস করে আমাদের কাজে মন দেই!"


মহাকাশযানটির প্রাণীগুলো যখন ক্যাপ্টেন লিসান মিকিকে ধ্বংসের প্রকিয়া শুরু করেছিল,তখন যানের একটি প্রানী ব্যস্ত ছিল মহাকাশের তথ্য ভান্ডারে খুব গুরূত্বপূর্ণ একটি তথ্য সংযুক্তে।
পৃথিবী নামক হতভাগ্য গ্রহটির নাম-পরিচয়ের সাথে সে যোগ করলো যে তথ্যগুলি,তা অনেকটা এইরকম.. ..

মানুষ:- দৈহিক আকার-আকৃতি এবং শারীরিক ক্ষমতার
ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে বিশ্বাসী,যা সাধারণত
অত্যন্ত নিচু মাত্রার প্রাণীদের মাঝে দেখা যায়।
সেই সাথে অর্থহীন নিষ্ঠুরতার কারণে নিঃসন্দেহে
প্রমাণিত একটি নিম্ন বুদ্ধিমত্তার প্রাণী হিসাবে।

বিপদমাত্রা:- সর্ব্বোচ
(এই প্রানীকুলের সংস্পর্শে আসা মাত্র
অবিলম্বে ধ্বংস করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:২১
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×