বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে। পরীক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের স্বার্থেই এ পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সূত্রে জানা গেছে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন সমকালকে বলেন, 'আমরা চাই পরীক্ষা পদ্ধতির গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করতে। মেধাবীরা জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হবে। আর পিএসসির দায়িত্বই হলো মেধাবীদের বাছাই করে
দেওয়া। '
জানা গেছে, বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা পিএসসির রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো_ ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র প্রণয়নে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসা। দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ইংরেজিতে একই ধরনের প্রশ্ন এসেছে। বাজারের প্রচলিত বিসিএস গাইড বইগুলো প্রশ্নের এই গতানুগতিকতা অনুসরণ করে বিভিন্ন সমাধান বের করছে। এ বই পড়ে অনেক পরীক্ষার্থীই বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করছেন। এতে প্রকৃত মেধাবী নির্বাচন করা পিএসসির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। সূত্র জানায়, ইংরেজি প্রশ্নপত্রে ট্রান্সলেশন ও রিট্রান্সলেশন চালু করার বিষয়ে পিএসসির অধিকাংশ সদস্য একমত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নপত্রে প্রার্থীর সৃষ্টিশীলতা ও যাচাইয়ের জন্য গতানুগতিকতা পরিহার করে 'বিশ্লেষণধর্মী' (অ্যানালিটিক্যাল) প্রশ্ন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিএসসির সাম্প্রতিক এক সভায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সর্বশেষ জ্ঞান ও তথ্য প্রশ্নপ্রণেতার জানা থাকতে হবে। এর আলোকেই প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। সাম্প্রতিক কয়েকটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রশ্নের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সঠিক উত্তর দেওয়া ছিল না। এতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং পিএসসিকেও খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়। কমিশনের একজন সদস্য বলেন, খাতা দেখার বেলায়ও একই কথা। সব পরীক্ষকের মাইন্ডসেট এক রকম নয়। কেউ শক্তভাবে খাতা দেখেন, কেউ কিছুটা উদার। ফলে ফল দুই রকম হয়। পরীক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। ভাইভা বোর্ডের গঠন কাঠামোতেও পরিবর্তন এনে প্রার্থীর মেধা-মনন, সৃজনশীলতা ও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তর মডারেশন। পিএসসিতে প্রশ্নপত্র মডারেশনের সময় মডারেটরদের হাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোনো বইপত্র থাকে না। ফলে নতুন কোনো প্রশ্ন সংযোজন করা যায় না। মডারেশন রুমে পর্যাপ্ত বইপত্র রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি সদস্য প্রফেসর এমরান কবীর চৌধুরী চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। চেয়ারম্যান ড. সা'দত হুসাইনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি
সূত্র: দৈনিক সমকাল এবং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা , ২১/১১/১১
আজ মেয়াদ শেষঝল পিএসসি-র বর্তমান চেয়ারম্যান ড. সা'দত হুসাইনের মেয়াদ । মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বোমাটা ফাটল - পাল্টে যাচ্ছে বিসিএস পরীক্ষাপদ্ধতি (বিস্তারিত সংবাদ নিচে দেখুন)। সংবাদপত্রে পিএসসি সদস্যদের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে শুভ উদ্দেশ্যেই এই পরিবর্তন । কিন্তু আমরা ঘরপোড়া গরু, তাই সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাই ! আওয়ামী লীগের দলীয় লোক কেবিনেট সচিব আজিজ কিংবা শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় সেরনিয়াবাত কিংবা চরম দলীয় শিক্ষক হারুন উর রশীদ কিংবা আনোয়ার হোসেনের পিএসসির চয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনায় আমরা শংকিত , কারণ কোন দল ক্ষমতায় থাকতে ; বিশেষত: ক্ষমতা ছাড়ার আগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ দূর্নীতি করে- দীর্ঘদিন থেকেই আমরা তার সাক্ষী । ৩৩ তম বিসিএস এই সরকারের সর্বশেষ বিসিএস । সুতরাং এই বিসিএস নিয়ে গবেষণার পেছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়