
দেড় মাস হয়ে গেছে। বেতন পাইনি একবারও। বেতন চাইলে তারিখ দেয় শুধু। আজ-কাল-পরশু। কোচিং ছেড়ে তালাত ইকবালের এ চাকরিতে এসেছিলাম মোটামুটি একটা অ্যামাউন্ট পাব বলে। খেয়ে-পরে চলে যাবে। সে আশার গুড়ে বালি। একটা টিউশনির টাকা পাইনি। অন্যটায় হাফ দিয়েছে। চলা এখন কঠিন।
শান্তিনগর মোড়ে বসে আছি। ফেসবুকে ঢুকেছি। হঠাৎ একটা মেসেজ এলো। ভিডিও কলে কাজ করতে চায় এক মেয়ে। আমি শকড। প্রোপিকটা আগেই দেখেছিলাম। এত সুন্দর এক মেয়ে এই কাজ করে! অথচ ওর আইডিতে লেখা মাদ্রাসার শিক্ষিকা। জিগ্যেস করলাম, “এই কাজ কেন?’” “অভাবে পড়ে।” মেয়েটা বলল।
সোনালী ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্ট আছে। সামান্য কিছু টাকা জমা। বর্তমান মাসের বাসা ভাড়া বাকি। মালিক তাড়া দিচ্ছেন। ভাবলাম টাকাটা তুলি।
গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া। কার্ড ইনভ্যালিড দেখায়। হটলাইনে ফোন দিলাম। ওরা জানাল অনেকদিন লেনদেন না করায় কার্ড একটিভ না। একটু সময় লাগবে।
রাতে ফোন দিল। বলল, “২৪ ঘণ্টা পর ট্রাই করুন।” করলাম। কাজের কাজ কিছু হলো না। গতমাসে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কার্ড আটকে ছিল ভুল পাসওয়ার্ড দেওয়ায়। ৪৬০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল।
অচেনা নম্বর থেকে ফোন। “ভাই, আমি ইমন।”
“বলো।”
“মালিক বাসা ভাড়ার টাকাটা চাচ্ছে।”
বললাম, “টাকাটা তুলতে পারিনি।”
ছোটন স্যার। সাবেক সহকর্মী। “স্যার, টাকা-পয়সা আছে?”
“আপনারা কি টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না?”
আমার কথায় বেচারা মনক্ষুণ্ণ হলো। এমন কিছু বলব হয়ত ভাবেননি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



