বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। এখন ২০২৩। তার মানে দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর। ‘৭১ সালে যার বয়স ১৫-২০ ছিল (বাংলাদেশে বহু মানুষ আছেন যাদের বয়স ৭০ এর ওপর), তিনি অনায়াসেই বলতে পারবেন ওই সময়টায় আসলে কী হয়েছিল। কারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল আর কারা বিপক্ষে ছিল, কারা দেশে অরাজকতা করেছে বা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেজুড়বৃত্তি করেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাও জীবিত আছেন, তারা বলতে পারবেন ওইসময় কার কী অবস্থান ছিল। সাঈদি, নিজামী, গোলাম আজম, কামারুজ্জামানদের অবস্থান জানা খুব কঠিন না।
দেশের আইন-আদালতের ওপর আপনার বিশ্বাস নাই থাকতে পারে, মনে করতে পারেন ওদের রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হয়েছে। তাহলে ওপরের কোনো কাজ না করলেও একটু কষ্ট করে দেশের পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে যেতে পারেন। বইপত্রের ইতিহাস বিকৃত মনে হলে ওই সময়ের পত্রিকাগুলোও পড়তে পারেন। স্পষ্ট হয়ে যাবে সবকিছু।
আমার এই কথাগুলো সত্যসন্ধানীদের জন্য। যদি আপনার জানার আগ্রহ থাকে, তাহলেই করতে পারেন। যদি আপনি পাকিস্তানি ভাবধারার হয়ে থাকেন, আপনার আদর্শ জামায়াত হয়ে থাকে; তাহলে এত কষ্ট করার দরকার নেই। জামায়াত যেমন তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত নয়, তারা মনে করে তাদের অবস্থান ঠিকই ছিল; তাহলে আপনিও ওই ধ্যানধারায় থাকুন অযথা বলবেন না, ওরা অপরাধ করেনি।
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করলে ওদের অপরাধও স্বীকার করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন দোষী সাব্যস্ত হতো, একই ভাবে ওই সময়ের জামায়াত নেতারাও দোষী। ধর্মের লেবাস ধরলে আপনার কাছে বা অনেকের কাছে কেউ ভালো হয়ে গেছে মনে করলেও যারা ক্ষতিগ্রস্ত বা রাষ্ট্রের কাছে তারা ভালো হয়ে যায়নি। ধর্ম আপনাকে যেকোনো অপরাধ করলেও মাফ করতে পারে কিন্তু রাষ্ট্র আপনাকে শাস্তি দেবে। কোনো দল যদি ফায়দা নেয়, সেটা অন্যায়। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলেও তা জায়েজ হয়ে যায় না।
ছবি: নেট
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫