somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাচ্চাকালটুকু ফুরিয়ে যাবার আগে বড়দের প্রতি শিশুতোষ কিছু প্রশ্ন এবং অভিযোগ.......

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্যালেন্ডারের আর দুটো মাত্র পাতা ওল্টাবার অপেক্ষা.....

আচ্ছা,বড় হয়ে যাওয়া মানেটা কী? ধাম করে কেউ বড় হয়ে যেতে পারে? না কি ভান করতে করতে শিখে নিতে হয়? কোন বয়সসীমা আছে বড় হবার-আঠারো বছর? সতেরো বছর তিনশত পয়ষট্টিতম দিনে ঘড়ির কাঁটার শেষ স্পন্দনটুকুর মধ্য দিয়ে নিমিষেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়? তাহলে ক্যালেন্ডারের লম্বা লম্বা পাতাগুলো আর মাত্র দু'বার ওল্টাবার অপেক্ষা-তারপরই...........

জানি, 'আজকালকার ছেলেপুলে'দের নিয়ে তোমাদের** অভিযোগ-হতাশার অন্ত নেই। আমাদের অপরিণত মনগুলোতেও কিন্তু তোমাদের কান্ডকারখানা নিয়ে অনেক প্রশ্ন,অনেক চিন্তা,অনেক অভিযোগ জমে। তোমরা বুঝ না;আমরাও বলি না-কারণ তোমাদের মনের সাথে যে আমাদের মনের যোজন-যোজন ফারাক;পুরো এক প্রজন্মের সমান।
শেষ দুটো মাস ফুরাবার আগেই আমার নিজের এবং নিজ চোখে দেখা সমবয়সী বন্ধুদের 'বাচ্চাকাল' নিয়ে মনের মধ্যে বুদবুদিয়ে ওঠা কিছু চিন্তা এবং প্রশ্নকে অক্ষরবন্দি করতে চাই। শিশুর কথা(সংবিধান দেখুন) শিশুতোষই শোনাবে-তবু কথাগুলো একটু ভেবে দেখতে পার।

তোমাদের ব্যারোমিটার-ভাঙা প্রত্যাশা...........

আব্বু-আম্মুরা,আমাদের নিয়ে তোমাদের স্বপ্নগুলো অসীম আকাশে ঘুড়ি হয়ে উড়ে বেড়ায়,প্রত্যাশার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আমাদের শখ,আগ্রহ,মেধা,সামর্থ-এগুলোর কোন পরোয়াই কর না তোমরা। এর কারণটা কি?
মনে করে দেখ তো,তোমরা যখন ছোট ছিলে,আমাদের মতন তোমরাও অনেক সময় বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতে-পরীক্ষার আগে ধুম সে পড়ব! পরীক্ষার আগে প্রত্যাশিত 'ধুম সে পড়তে' না পেরে ভেবেছ পরের পরীক্ষা থেকে......। সব স্বপ্ন পৃথিবীতে কারোরই পূরণ হয় না-তোমাদেরও হয় নি-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরের দিন,পরের সপ্তাহ,পরের পরীক্ষা,পরের ক্লাস-এ খেলাটাকে তোমরা কিন্তু পরের প্রজন্ম পর্যন্ত টেনে এনেছ! ভেবে দেখো,আমাদের উপর তোমাদের পর্বতসম প্রত্যাশার বোঝার আড়ালে নিজেদের জীবনের অপূর্ণতাগুলোর আক্ষেপগুলোই লুকিয়ে আছে কি না। তোমাদের উচ্চাশা-আমার ছেলে 'এটা' হবে। কিন্তু দীর্ঘশ্বাসগুলো বলে-আমি 'এটা' হতে পারি নি,আমার ছেলে হবে।

এক প্রজন্মের আক্ষেপগুলোকে আরেক প্রজন্মের উপর চাপিয়ে দেবার অধিকার কি তোমাদের আছে?

তোমরা না বড্ড হুজুগে...............

আচ্ছা ঠিক আছে,আমাদের নিয়ে তোমাদের বাড়বাড়ন্ত প্রত্যাশার হক আছে। কিন্তু আমাদের ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,বিসিএস ক্যাডারই কেন হতে হবে? এজন্য-যে অমুক তার ডাক্তার মেয়েকে,তমুক তার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে নিয়ে বড়াই করে-তাই? জানো? অলিম্পিকে মেডেল না জেতা সবচেয়ে বড় জনসংখ্যার দেশে আমরা থাকি। খোদা আমাদের দেশে যাদেরকে ওমন টিকা দিয়ে পাঠিয়েছিল,তারা এখন কেউ কলে কাজ করে,কেউ বা আমলা অফিসের চেয়ারে ঠুটোঁ জগন্নাথ হয়ে বসে আছে।
অন্যদেশের মেধাবী ছেলেরা বিজ্ঞানী হয়ে নোবেল জেতে,আর তোমার গুণধর সন্তানগুলো সেই নোবেল বিজয়ীদের নাম মুখস্ত করে বিসিএস ক্যাডার হয়!

তোমরা মোবাইলফোনগুলোর মতন কেন হতে পার না?............

তোমরা ভীষণ ব্যস্ত। বাবা-মা-চাচ্চু-ফুপিরা-সব্বাই খুব ব্যস্ত। অবশ্য আমাদেরও খেয়াল রাখো-আমাদের মানে আমাদের স্কুল,কোচিং,রেজাল্ট-এগুলোর। আমাদের আবদার পূরণ কর,সময় সময় বেড়াতে নিয়ে যাও। কিন্তু কখনো কি ইচ্ছে করে না-আমাদের মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো শুনতে? ছোটবেলায় আমাদের মনে কত কথা,কত কল্পনা,কত গল্প জমা হয়,তা জানো? আমাদের সেই বাচ্চা-বাচ্চা মনগুলোকে সঙ্গ দেবার জন্য কাউকে আমাদের চাই-ই-চাই।
তোমরা ব্যস্ত;ক্লান্তির দোহাই দাও-মোবাইল কিন্তু দেয় না। মোবাইলের কিন্তু ক্লান্তি নেই। সব্বার অফিস আছে,ওদের কিন্তু নেই। ওদের মত করে আমাদের মনকে আর কেইবা পড়তে পারে?
এজন্যই তো মোবাইলের সাথে আমাদের এত সখ্যতা।



আমরা 'যান্ত্রিক', না কি 'যন্ত্র'?................

তোমরা বল আমরা খুব ঘরকুনো,আত্মকেন্দ্রিক,সমাজবিচ্ছিন্ন;সারাদিন মোবাইল টিপি। আমরা যান্ত্রিক হয়ে গেছি-আমাদের মধ্যে কোন মানবীয় উদ্দীপনা নেই,প্রাণশক্তি নেই। আমাদের বয়সে তোমরা কত কি করতে-খেলাধুলো,হৈ-হুল্লোড়, গাছে চড়া,সাঁতার কাটা,আরো কত কি! আচ্ছা বলতো তোমাদের এই যান্ত্রিক হৃৎপিন্ডের শহরগুলোতে মাঠ,পুকুর কেন রাখ নি? আমরা হাটতে শেখার পরপরই যখন বারান্দার গ্রিল বেয়ে উঠতাম,বাইরে হাত দুটো বাড়িয়ে দিতাম,তখন কি তোমরা এর অর্থ বুঝতে পারতে না? তিল তিল করে আমাদের প্রজন্মের প্রাণপ্রাচুর্যকে খুন করে কারা আমাদের যান্ত্রিক বানিয়েছে? তোমাদের বাবা-মাও কি ঐ মস্ত-মস্ত ব্যাগগুলো কাঁধে চড়িয়ে তোমাদের নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতন স্কুলগুলোতে ছুটত? বিকেলের আদুরে ঘুমটুকু কেড়ে নিয়ে প্রাইভেট টিউটরের হাতে তুলে দিত? যন্ত্রের সাথে সখ্যতার গল্প তো আগেই বললাম। তোমাদের প্রজন্মের নির্বুদ্ধিতাই আমাদের প্রজন্মকে যন্ত্রবৎ বানিয়ে ছেড়েছে।
যন্ত্রের কাছ থেকে মানবীয় উদ্দীপনা কিভাবে আশা কর?

আমরা কেন বড়দের সম্মান করতে ভুলে গেছি? জানতে চাও?............

তোমাদের মুখে গল্প শুনতাম-তোমাদের দাদা,না হয় কোন এক বড় চাচা-যাকে তোমরা বাঘের মতন ভয় করতে! ওনাদের কত সম্মান করতে। তাদের কড়া শাসন আর তোমাদের বাঘের মত ভয় পাবার কেচ্ছার আড়ালে যে কথাটা ঢাকা পড়ে যেত,তা হলো ওনারা ন্যায়-নীতি-আদর্শের আধার হয়ে পুরো পরিবারকে বটবৃক্ষের মত ছায়া দিতেন। বাড়ির সামনের বটগাছ যে চেনে,সে ভিনদেশি বটগাছও চিনবে। আচ্ছা বলতো আমাদের এই আণবিক পরিবারগুলোতে কোন বটবৃক্ষ নেই কেন? যদিও বা কেউ থাকে-চুলপাকা,অশীতিপর,তবু তোমাদের চোখের 'পরে ওনাদের প্রতিবিম্ব দেখে বটবৃক্ষের মত তো মনে হয় না!
আচ্ছা,তোমরা কি বটগাছকে গুল্ম কিংবা বিরূৎ বলো?

আরো আছে...দিনে দুপুরে তোমরা যে একের পর এক পাপ করে চলেছো....কি বলছো? পাপ শুধু ছিঁচকে চোরেরাই করে,তোমরা সাধু? নিপাট সভ্য ভদ্রলোক? সত্যিই তাই? আমরা কিছু দেখি না,বুঝি না ভেবেছো? এতকিছু দেখার পর,এত কিছু বুঝার পর,আমাদের কাছে তোমাদের সম্মান কোথায় থাকে তা কখনো ভেবে দেখেছো? পাপ তো সবাই করে,তোমাদের 'বড়'রাও করেছে,কিন্তু তাই বলে এখনকার যুগের মতন এতটা সাবলীলভাবে?

আমরা খুব উচ্ছৃঙ্খল..............কিন্তু কেন?

একটা মজার জিনিস কি জানো? তোমরা মুখে যা বলো,তার চেয়ে তোমরা কি কাজ করো তা আমাদের মস্তিষ্ককে ঢের বেশি আলোড়িত করে। আমরা তোমাদের কথা না বরং কাজ দেখে শিখি। আচ্ছা,ভালো সরকার মানে কি? কোন সরকার ভালো? কোন সরকার এলে তোমরা সরকারের সিদ্ধান্ত সমালোচনা করা থামাবে,কোন সরকার এলে তোমরা সেই সরকারের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করবে? বলো? তোমরা ট্রাফিক আইন মানো? "আরে,আইনে তো কত কিছুই লেখা থাকে!"," আইন শুধু আমাদের জন্যই?","ওরাও তো করে-আমরা করলেই দোষ"-নিজের কীর্তির পক্ষে সাফাই গাও। জানো,এগুলো কিন্তু আমরা দেখি! একদম ছোট্টকাল থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি। দেখে দেখে শিখি। আয়ত্ত্ব করি,রপ্ত করি। অতঃপর তোমাদের বেঁধে দেওয়া নিয়মগুলো ভেঙেও নিজেদের গঠনন্মুখ বিবেককে অজুহাত দেখাতে শিখে নিই-ঠিক তোমাদের মত করে। মিলিয়ে দেখে নাও।

"নইলে বড় হয়ে রিকশা চালাতে হবে".............

পড়ালেখা না করার মত একটা সাংঘাতিক অপরাধের শাস্তি এটা! রিকশাওয়ালা হতে হবে আমাকে? কত নীচ ওরা,ওদের সম্মান দিতে নেই-কর্ম এবং ফলের সামঞ্জস্যতা বিধান করে এ শিক্ষাই তো আমরা ছোটকাল থেকে পেয়েছি। এরকম হাজারো 'শিক্ষা' তোমরা আমাদের দিয়েছো, তোমার বাবা-মা তোমাদের দিয়েছেন-তাদের বাবা-মাও......দেখেছো কিভাবে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিজেদের অন্তঃকরণে শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি অসম্মান আর ঘৃণাকে পুষছি? বইয়ের দুটো লাইন কি কখনো অন্তঃকরণকে ধুয়ে মুছে সাফ করতে পারে? কাজেই বইয়ে তো কত কিছুই লেখা থাকে,টিচাররা তো কত কিছুই বলে-কিন্তু কোন রিকশাওয়ালা ভাই বলে ডাকলে তা বরদাস্ত করতে হবে? আচ্ছা,কখনো কাউকে দেখেছো কোন রিকশাওয়ালাকে সালাম দিতে? তালিম শেষে আরবি হুজুরকে যখন এগিয়ে দিয়ে আসতাম,তখন ওনার মুখে শুনতাম,"এই রিকশা,যাবি?"। কেন শুনতাম না "আসসালামু আলাইকুম,যাবেন?"? সব কিছু এত গোলমেলে কেন বলতো?? কিতাবের অক্ষরগুলো কেন হেটে হেটে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না?

আমাদের রুচিবোধ,সংস্কৃতিবোধ এত বাজে কেন?..............

আমরা যখন ডিজে খলিদ,উইজ খলিফা,হানি সিং,বিটিএস এর গান শুনি-তখন তোমাদের মুখগুলো দেখলে মনে হয় যেন শিশি ভর্তি তেতো নিমপাতার পাঁচন খেয়ে নিয়েছ। সত্যিই আমাদের রুচিবোধ এত তেতো কেন? বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি আমাদের কিসের এত টান? তার আগে তোমরা বলো,তোমরা কি আমাদের পুতুলনাচ বা যাত্রাপালা দেখাতে নিয়ে গিয়েছ? ওগুলো কি এখনো আছে? ওগুলো জিইয়ে রাখতে না পারার দায় কি তোমাদের প্রজন্মের নয়? তারপর বলো,ছোট্টকাল থেকে তো কম মগজধোলাই কর নি,কখনো কি রবীন্দ্রসংগীতের মাহাত্ম্য নিয়ে মগজধোলাই করবার চেষ্টা করেছো? ব্যস্ত তোমরা,সময় দিতে পার না,ছেড়ে দিয়েছ চারকোণা একটা জাদুর বাক্সের সামনে,হাতে ধরিয়ে দিয়েছ সব কাজের কাজি একটা যন্ত্র। আচ্ছা,তোমরাই বলো ওটা হাতে নিয়ে ইউটিউবের ট্রেন্ডলিস্টে রবি ঠাকুরকে পাব না কি ডিজে খলিদকে পাব?

তোমাদের হিপোক্রেসি আমরা না দারুণ উপভোগ করি!.........

তোমরা ভারি অদ্ভুত! মুখে বলো এক,করো আরেক। মুখে বলো মিথ্যে না বলতে অথচ পাড়ার আংকেল,পাশের বাসার আন্টির সাথে যখন গল্পগুজব কর,শুনি না ভেবেছো? মুখে খুব বলো নিয়মকানুন সব অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে,কিন্তু নিষিদ্ধকে সিদ্ধ করবার,অনিয়মকে "সবাই করে,তাই করি" বানাবার উপায় তোমরাই দেখিয়ে দাও। আবারও বলছি,আমরা তোমাদের কথা শুনে শিখি না,বরং তোমাদের কাজ দেখে শিখি। বইপঁচা নীতিবাক্যগুলো যে আমাদের কাছে অসার বুলি হয়ে গিয়েছে তা তোমরা বুঝ না? তোমরা শিক্ষাব্যবস্থার দোষ দাও,বলো যে এই শিক্ষাযজ্ঞ আমাদের কেবল গ্র্যাজুয়েট বানাচ্ছে;মানুষ হওয়া শিকেয় উঠেছে। আচ্ছা,নীতিবাক্য যে প্রজন্মের কাছে অসার বুলি,তাদের তোমরা কোন কলে ফেলে মানুষ বানাবে শুনি?

পৃথিবীটা না সত্যিই রসাতলে যাচ্ছে। চারিদিকে দেখো, সবাই হাসছে,খেলছে,গাইছে,নাচছে-কৃত্রিম হর্ষের কলরবের মাঝে একটা মহাবিপর্যয়ের দিকে আমরা ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছি,অবচেতনভাবে;হ্যামিলনের বাশিওয়ালার পেছন পেছন যারা গিয়েছিল,ঠিক তাদের মতন। আজকে তোমরা পাত্তা দিচ্ছো না,হয়তো 'আমরা' যখন 'তোমরা' হব,আর নতুন আরেক প্রজন্ম এসে 'আমরা' হবে,তখনও দিব না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন একটা দিশেহারা অসহায় প্রজন্ম মর্ত্যলোকে এসে আমাদের সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। স্বর্গ থেকে কি জবাব দিবে তখন?

তোমরা ঠিকই বলো 'ঘোর কলিযুগ'। কিন্তু চিন্তা করে দেখো,আমাদের মাঝে খারাপ যা দেখতে পাও,তার দুটো উৎসই থাকতে পারে। এক ডিএনএ-তোমাদের থেকে পাওয়া;দুই উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতি যা তোমাদের প্রজন্মের ও তোমাদের পূর্বসুরীদের অসতর্কতা এবং নির্বুদ্ধিতার ফল। পৃথিবীর আলো আমাদের চোখ ছোয়ার পর থেকেই আমরা এমন আজব একটা জগত-সংসার দেখেই বড় হচ্ছি। তাহলে আজকের এ 'ঘোর কলিযুগ'এর দায় আমাদের কতটুকু,আর তোমাদের প্রজন্মের কতটুকু? দ্বিতীয়বার 'আজকালকার ছেলেপুলে'দের অধঃগতি নিয়ে কিছু বলবার আগে একটু বিচার করে দেখো তো! খাড়া পাহাড়ি চড়াইয়ের মধ্যিখানে উলটোমুখ করিয়ে যাদের নামিয়ে দিয়েছো,তাদের অধঃগতি বিনা আর কোন্ গতি থাকতে পারে?

.........................................................................................................................................................................

*বেয়াদবি মাফ করবেন; 'আপনি' করে লিখলে বেখাপ্পা শোনাত।
ডায়েরির পাতা থেকে কিছু পরিবর্তনসমেত কপি করা পোস্ট। আবোলতাবোল কথা,খাপছাড়া লেখা (শিরোনাম দেখুন) বিরক্তির উদ্রেক ঘটালে ক্ষমা করে দিবেন। তবে কথাগুলো বিচার দেখতে পারেন।
যথেষ্ট যোগ্যতা থাকলে লেখাটা শায়মা ম্যা'মকে উৎসর্গ করতাম। কেননা উনি আমার জানা অন্যান্য 'বড়'দের থেকে একদম আলাদা! সবিস্তারে লিখবো অনেকদিন পর....
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
২০টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×