আমরা অনেক সহনশীল একটা জাতি। যখন যে আমাদের উপর যখন যা চাপিয়ে দিয়ে যায়, আমরা ভারবাহী গাধার মত সব সয়ে যাই। কখনো মুখ ফুটে সামান্য প্রতিবাদটুকুও করি না। আর যদি বা কেউ করেও, কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকাই না...............হয়তো ভয়ে.....হয়তো অবহেলায়.........হয়তো বা দায়িত্ব এড়িয়ে চলার তাগিদে।
সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম। কিছুক্ষন আগে প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ টা দেখতে দেখতে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। দেখলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনকারীরা চরম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের দফায় দফায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের দাবি মানার ব্যাপারে কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ৫০ জন বুদ্ধিজীবি তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
এ তো গেল পত্রিকার খবর। আমার কথা হচ্ছে, আমরা সবাই তো জানি কিসের দাবিতে তারা অনশন করছেন। তবু একটা বারও কি আমরা তাদের কোন খবর নেবার চেষ্টা করেছি? একবারের জন্যও কি কোনভাবে চেষ্টা করেছি তাদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে? একবারও কি তাদের পাশে গিয়ে তাদের সাথে গলা মিলিয়েছি?
উপরস্থ কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে অনশনরত ছাত্রদেরকে অনশন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন, কিন্তু তারা কি পারতেন না, ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে? তাহলেই কি ব্যাপারটা সমাধান হয়ে যেত না?
ছাত্রদের দাবি কি অযৌক্তিক? ছাত্ররা কি অনৈতিক কোন কিছু দাবি করছে? যা নিজে থেকে হওয়া উচিত তার জন্য আমাদের কেন অনশন করা লাগে? উর্ধতন কর্মকর্তাদের কি বিবেক বলে কিছু নেই? নাকি তারা এত উপরে, যে কোন অন্যায়, কোন অনৈতিক কার্যকলাপ তাদের কানে পৌছায় না?
আজ ৫০ জন শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবি ছাত্রদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু লাভের লাভ কি হয়েছে? কিছুই না। এর মানে কি আমরা ধরে নেব, এসব শ্রদ্ধাস্পদ বুদ্ধিজীবিদের মতমতের কোনই দাম নেই? একদল লোক কেবলই যা খুশি তা করে যাবে, আর আমরা তা মুখ বুজে সহ্য করব?
আমি খবরটা পড়ে কষ্ট পেয়েছি, তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম। আমার এই কথাগুলোতে যদি কারো ব্যক্তি মানসিকতায় আঘাত লেগে থাকে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। জানি আমার এই পোষ্ট অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না, কারন আমি আর দশজনের মত বিনোদনমূলক পোষ্ট লিখতে পারি না। তবু্ও যদি কেউ আমার মত করে ভাবেন, তবে তার জন্যই আমার এই পোষ্ট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




