শেয়ারবাজারের জন্য ২০০৯ ও ২০১০ সা ছিল সম্প্রসারণের বছর। ব্রোকার হাউসগুলো তাদের ব্যবসার জন্য শাখাকে নিয়ে গেছে উপজেলা পর্যন্ত। ঢাকা শহরের প্রত্যেক বড় রাস্তা ও পাবলিক এলাকায় এখন ব্রোকার হাউস আছে। ২০০৯ ও ২০১০ তাদের জন্য দুটো স্বর্ণ বছর ছিল। বেশি শাখা মানে বেশি বিনিয়োগকারী, বেশি বিনিয়োগকারী মানে বেশি অর্থ আর বেশি অর্থ মানে বেশি শেয়ারের জন্য চাহিদা। আর এভাবেই চাহিদা সরবরাহকে পেছনে ফেলে ২০০৯ ও ২০১০-এ বাজারে ওই ভারসাম্যহীনতাটা তৈরি হয়েছিল। ২০১০ সাল ছিল শেয়ারবাজারে অর্থ কামাই করার স্বর্ণ বছর, তা চলে গেছে। তবে সত্য হলো, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী অর্থ বাইরে নিতে পারেনি, তারা বেশি মূল্যে শেয়ার বেচেছে, আবার বেশি মূল্যে শেয়ার কিনেছে। ব্যাংক ও লিজিং কম্পানিগুলো শেয়ারবাজার থেকে অনেক ফায়দা লুটেছে। চাহিদার বিস্ফোরণ ঘটেছে। শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়েছে। কারন শেয়ারের সরবরাহ কম ছিল। এরপর এসইসি বলতে লাগল, শেয়ারের মূল্য বেশি হয়ে যাচ্ছে। একে থামাও। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ২০১০-এর শেষের দিকে এসে বাজারে আস্তে আস্তে ধস নামতে থাকে। ওই ধসকে অনাকাক্সিক্ষত মনে করে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে ভাংচুরও করে। যে বাজার এসইসির সৃষ্টি, সে বাজারকে জোর করে কমাতে গিয়ে এসইসি তোপের মুখে পড়ে এবং এটাই স্বাভাবিক। এসইসির কাজ নয় বাজারকে উঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করা। কিন্তু ২০১০-এ বছরজুড়ে তা-ই ঘটেছে। ২০১০-এ সরকারি শেয়ারগুলো বেচা উচিত ছিল। তাতে বাজারে ভারসাম্য যেমন ফিরে আসত, তেমনি সরকারও শেয়ারগুলোর জন্য ভালো মূল্য পেত। ২০১১-এ এখন আর আগের সেই মূল্য পাবে না। এখন বাজারের অবস্থা দেখে ভল্লুক বা বিয়ারের পদচারণ বোঝা যায়। কোন স্বাভাবিক বাজারে এইভাবে লাগাতার ৫-৬ দিন ধরে ধরপতন হয় না। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী এখন বাজার পর্যবেক্ষণ করে করছে। টার্নওভার বা লেনদেন কমে গেছে। ব্রোকার হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের নিত্যউপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো এখন আর শেয়ারবাজার নিয়ে বড় নিউজ করেনা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা হতাশার আবহ তৈরি হয়েছে। বাজার এখন খুব দ্রুত পড়ছে। এ পড়া যে কত দিন যাবৎ পড়ে, তা কেউ বলতে পারেনা। বাজার তলানিতে গিয়ে অনেক দিন অবস্থান করতে পারে। হয়তো অতি ধীরে উঠতে থাকবে। বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে বিয়ার মার্কেটকে ভয় না করে অতি ধীরে দেখে শুনে ভাল মৌল ভিত্তি শেয়ার দেখে বিনিয়োগ করা । বিয়ার মার্কেটে মার্জিন লোন বা শেয়ার কেনার ঋণ প্রদানও অনেকটা কমে গেছে। ব্যাংক ও লিজিং কম্পানিগুলো নিজেদের পোর্টফলিওতে কেনা-বেচা কমিয়ে দিয়েছে। এসব কম্পানি চায় ছয় মাস-এক বছরের মধ্যে লাভ। অথচ বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করলে লাভ ঘরে আসতে সময় লাগে। ২০১১-এ বাজারে সত্যিকার অর্থে ভল্লুক বা বিয়ারের প্রবেশ ঘটেছে।
শেয়ারবাজারে ভল্লুকের প্রবেশ ঘটেছে!
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন