ভার্সিটির সেই দারুন সময় গুলোতে ক্লাসের ফাঁকে, কিংবা অলস দুপরে, উচ্ছল বিকেল গুলোতে গুলতানি করতে করতে এক সময় যখন আর কিছুই করার থাকতো না, কিংবা হঠাৎ করে কেউ একটু উদাস হয়ে গেলে অবধারিত ভাবে মাথায় যে ভুতটা চাপতো, সেটা হলো গানের ভুত।
কত অদ্ভুত আর কিম্ভুত গানই না গাইতম, মনে পড়লে এখনও হাসি পায়
এই গানটা বেশি গাওয়া হতো........
নয়া বাড়ির নয়াগো বাইদ্যা
লাগাইলো বাইগুন।
সেই বাইগুন দেইখ্যা কইন্যা
জুড়িলো কান্দন গো, জুড়িলো কান্দন।।
কাইন্দো না কাইন্দো না কইন্যা
না কান্দিও আর!!
এই বাইগুন বেইচা দিমু
তোমার গলার হার গো, তোমার গলার হার।।
নয়া বাড়ির নয়াগো বাইদ্যা
লাগাইলো কচু,
এই কচু বেইচা দিমু
তোমার হাতের বিজু গো, তোমার হাতের বিজু গো।।
নয়া বাড়ির নয়াগো বাইদ্যা
লাগাইলো চৌখান।
চৌ দিকে পালংকে বেড়া
আয়না সারি সারি গো আয়না সারি সারি.
......................................................(মনে নেই)
হাঁস মারলাম, কইতর মারলাম, বাইজা মারলাম টিয়া
ভাল কইরা রাইন্দো কইন্যা,
কালাজিরা দিয়া গো কালজিরা দিয়া।।
.............................................
বাকি অংশ আর মনে নেই।
কার গাওয়া গান তাও মনে নেই, খুব সম্ভবত "মাহিনের ঘোড়াগুলি" ব্যান্ডের গৌতমের গান।
আহা প্রেমিক বেদের প্রেমের পরিমানে মুগ্ধ হয়ে যেতাম।
বেগুন, কচু ঘেচু বেচে হাতের গয়না গড়ে দেওয়া, কি প্রেম কি প্রেম!!!
আবার প্রেমিকাটাও কত স্বার্থপর, একটু ব্যবসার সম্ভাবনা দেখেই কান্না কাটি শুরু, আহলাদের আর সীমা নেই
ময়মনসিংহ গীতিকার এই গানটা এক সময় খুব গাইতাম সবাই মিলে হেড়ে গলায়!!
এখন আবার শুনতে ইচ্ছা করছে, কোথায় যে পাই!!
আনোয়ার ভাই আর রেইবো মেকারের সৌজন্যে পাওয়া গানটির দুটো লিংক.....
http://www.youtube.com/watch?v=wYUWIqi70nU
http://www.mediafire.com/?jt5tk2g5yi
বনপাংশুল নাটকের এই গানটাও খুব জনপ্রিয় ছিল...........
ও বন্ধুরে তোর লাগি মন
ধামুস ধুমুস করে।
তোর লাগি মন
গজারি তে পাতা ঝইড়া পরে......
মনটা যে কিভাবে ধামুস ধুমুস করে আজও বুঝে উঠতে পারলাম না
সেই উত্তাল সময় গুলো..........ক্যাফেটেরিয়া, চৌরঙ্গী, সুপারি বাগান, বকুলতলায়, ভার্সিটির বাসে.............................দল বেধে.....................................কি দারুন ছিল সেই সব দিন গুলো..............................
(বিলাই আপু প্রভাবিত এই পোস্ট নাই কাজ তো খই ভাজ বিভাগে প্রকাশ করা হইলো )
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৮