ছোট বেলার ছোট থেকে বড় সব ঘটনাই এখন মনে পরে খুব। সবারই মনে থাকে। কি করেছি, কি খেলেছি, কি পড়েছি, কি দুষ্টুমি করেছি
কিন্তু তখন মানে সেই পিচ্চি বেলায় যে শুধু আনন্দই হত বা খেলাই হত তা কিন্তু না।
রাগ হত, ঝগড়া হত, মারামারিও হত
রাগ বা ঝগড়া যে খুব বড় বিষয় নিয়ে হত তা কিন্তু না। ছোট মানুষদের রাগ অভিমানও ছিল ছোট ছোট বিষয় নিয়ে
" ও কেন আমার কথা শুনেনি!
কেন আমাকে বয়ল দেয়নি!
কেন আমাকে আগে খেলতে দেয়নি!
কেন আমাকে আউট করে দিল!
হেন তেন
আর তারপরেই গাল যেত ফুলে আর চোখ লাল এখুনি কান্না শুরু হবে।
ছোট বেলার অভিমান বা রাগের ছিল অদ্ভুত বহিঃপ্রকাশ।তখন রাগ অভিমান প্রকাশ করার পদ্ধতি ছিল -
যার উপর রাগ হবে তার কেয়া আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুয়ে বলতাম "আড়ি, আড়ি, আড়ি"
বলেই দূরে ছুটে যেতাম।
এই আড়ি ছিল অনেক রকম।
"শুধু আড়ি"
"জীবনের আড়ি"
"মরনের আড়ি"
শুধু আড়ি এমনি এমনি অল্প রাগ হলে দিতাম ।
আর জীবনের আড়ি মানে আর জীবনেও কথা বলব না।
মরনের আড়ি মানে মৃত্যুর পরও কথা বলব না!
শেষের টা ছিল সব থেকে ভয়ঙ্কর আড়ি!
আরও মজার ব্যাপার ছিল যে,
যে যত ভয়ঙ্কর আড়ি দিত তত তাড়াতাড়ি রাগ চলে যেত
আসলে কেউই বেশী সময় রাগ করে থাকতে পারতাম না। রাগ অনেক আগেই চলে যেত কিন্তু মুড মেরে বসে থাকতাম
রাগ ভাঙ্গার ব্যাপারটাও ছিল মজার। রাগ ভাঙ্গলে দুজনই বলতাম "ভাব"
কি সব দিন কাটিয়েছি! এখন ভাবি আর হাসি! কত মজারই না ছিল দিন গুলো!
এখন মাঝে মাঝে সবার উপর, পুরো দুনিয়ার উপর, সব মানুষের উপর ভীষণ রাগ হয়, অভিমান হয়,
মনে মনে আড়ি কাটি, বেশী রাগ হলে জীবনের আড়ি বা মরনের আড়ি। যত ভয়ঙ্কর রাগ হয় তত দ্রুতই রাগ চলে যায়!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




