হরতাল কে আমি কখনোই সমর্থন করি না। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল কে কখনোই সমর্থন করা যায় না। তাদের হরতাল মানে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, মারা-মারি ইত্যাদি। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতে অন্যবেপার। যেমন ২০০৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর এবং ২০১১ সালের ৩রা জুলাই তারিখের তেল গ্যাস রহ্মা জাতীয় কমিটির হরতাল নৈতিকভাবে সমর্থন যোগ্য। আর গতকালের সিপিবি এবং বাম দলগুলোর হরতাল কে সমর্থন না করলেও তাদের হরতাল পালনের পদ্ধতি কে আমি স্বাগত জানাই। তারা জনমনে কোন প্রকার ভয়-ভীতি না সৃষ্টি করেই হরতাল পালন করেছে। রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করে নয় জনগণ কে বুঝিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে। খবরে এবং facebook এ দেথলাম তারা পিকেটারের ভুমিকার পরিবর্তে গণসঙ্গীত গেয়ে হরতাল পালন করেছে। তারপরও ঢাকায় নাকি কয়েক জায়গায় গাড়ি ভাংচুর হয়েছে।
আগামীকাল আবার হরতাল আহ্বান করেছে ইসলামী দলগুলো। উনাদের দাবি-দাওয়া যোক্তি/অযোক্তি তা আমি বলছিনা। উনাদের কাছে আমার আহ্বান আপনারা হরতাল পালন করেন কিন্তু দয়া করে কোন প্রকার ভাংচুর করবেন না। আপনাদের দাবির স্বপহ্মে যুক্তি গুলো তুলে ধরুন, রাস্তায় ইসলামিক সঙ্গীত পরিবেশন করুন।
অন্যরা মারামারি করবে তাই বলে আমরা ও তা করবো কেন? সারা বিশ্বে যখন ইসলাম শান্তির র্ধম হিসেবে পরিচিত তখন আমরা সংখাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে কেন আমাদের দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবো।
আর পুলিশ ভাইদের প্রতি অনুরোধ আপনারা অযথা মানুষকে হয়রানি করবেন না। হরতালকারীরা যেন বিশৃংখলা না করে তা দেখা আপনাদের দায়িত্ব কিন্তু আপনরাই তাদের কে বিশৃংখলা সৃষ্টিতে বধ্য করছেন।