এক্
কোন এক বৃস্টির রাতে তার জন্ম। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা কলেজের শিক্ষক, মা প্রাইমারী স্কুলের হেডমিস্ট্রেস। একমাত্র সন্তান তাই বাবা মা দুজনই খুব আদর করেন। তবে ফাইজলামী বা অতি দুস্টামী করলে মাইর ও কম খায়না। তবে মাইর গুলা আসলে মাইরনা। আদুরে থাপ্পড়।
বৃস্টি তার খুব পছন্দ। বৃস্টি হলে তাকে আর বাসায় পাওয়া যায়না। যখন বৃস্টি শেষ তখন বাপ মা বুঝে, ছেলের ফিরার সময় হয়েছে। এই ফাকে তার বৃস্টিতে লাফ ঝাপ।
আমি এখন তারই স্মৃতি চারণ করছি। সে আমার খুব কাছের বন্ধু। তার অনুরোধেই লিখা।
বাচ্চাকাল:
তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবচে আগে তার যা মনে পড়ে তা হলো তার মায়ের বড় বড় চোখ। কেন? মুরগীর ডিম ফোটানোর জন্য মা ডিম গুলো খাচাবন্দি করে টেবিলে রেখেছিলেন। সেই খাচাতে কি আছে দেখার জন্য খাচা ধরে টান দিল সে। ব্যাস আর কি। সেই চোখ সারাজীবনেও ভুলতে পারবেনা।
তার বাবা মা বলে। ছোটবেলায় নাকি তার বাবাই সবসময় তাকে কাছে রাখত। একদিন সে নাকি কমোড ছাড়াই প্রাকৃতিক কর্ম সারে। শেষে তার মা রাগান্বিত হয়ে তার বাপের গায়ে কমোড ছুড়ে মারল।
সে ছোট বেলায় মুরগী কে বলত কুকু। হাগুকে বলত ডিসাকো (!)। কচ্ছপকে বলত সস্ছপ, ইত্যাদী।
তার ছোট মামা। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই বোনের কাছে চলে আসেন। বাবা মৃত্যুর সময় বলেছিল, আমার ছেলেটাকে তোরা মানুষ করিস। সেই কথা এখনো তারবোন অর্থ্যাৎ মা পালন করে আসছেন।
সে ভাগনেকে খুব আদর করত। তবে আবার কিছু বদভ্যাস ও করেছিল। এই যেমন, দুলাভাইয়ের পকেট সাফ করে ক্যারম খেলা।
একবার দুলাভাইয়ের সিকো ২৫০ ঘড়ি চুরি করে মাত্র ১৬টাকায় বিক্রি করে ক্যারম খেলতে যায়। তবে মানুষ হিসাবে। খারাপনা। খারাপ সংগ আরকি।
এবার ফিরে আসি মুল কথায়।
মায়ের দুধের পর রেডকাউ ছিল তার খাদ্য। মাত্র ৭মাস বয়সেই তার হলো ম্যালেরিয়া। আল্লাহর রহমতে সেখান থেকে বেচে যায়।
হুমম। গল্প চালাতে হলে চরিত্রের নাম প্রয়োজন। এদিকে বন্ধুর নির্দেশ তার নাম ব্যবহার করা যাবেন। যাই হোক নাম তো দরকারই।
আমি তার নাম দিলাম “সময়”। যদিও তার আসল নামটি একটি বিখ্যাত গান থেকে আসা। এবং সেটিও একটা কাহিনী। কিন্তু কিছু পেতে হলে কিছু ছাড়তে হয়।
আমার এই বন্ধুটিও ব্লগার।
চলুন আমরা কাহিনীতে ফিরি।
মায়ের সাথে স্কুলে গিয়ে সে আদর্শলীপি দিক্ষা নিল। যদিও সে ক্লাস করতনা। কিন্তু তার মা পোলাপান কে যেসব পড়াত তাই সে মনে রাখত।
বাবা মা মধ্যবিত্ত হওয়ার কারণে তার ভাগ্যে খেলনা তেমন একটা জুটতনা। তবে কাজিন দের বদৌলতে কিছু কিছু পুরান খেলনা সে ব্যবহার করত।
এই সময়ই তার বাবা একটি ব্যবসার ডিলারশিপ নিল।
সে যে বাসায় থাকত। সেটি ছিল খালের পাশে। বৃস্টির মত পানিও তার বন্ধু ছিল। তার বাসার কাছেই ছিল তাল গাছ।
To be continued……..