
ক্রমাগত কাশি কিংবা দেহে এমন কোনো কালশিটে যা যাচ্ছেই না অথবা নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকা ইত্যাদি আসন্ন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে বা এমনও হতে পারে যে এর মধ্যেই মরণব্যাধিটি বাসা বেঁধেছে আপনার দেহে। তাই আপাতদৃষ্টিতে বিরক্তিকর কিংবা গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই, এমন বিষয়ও এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় যদি সুস্থ থাকতে চান।
জেনে নিন এ ধরনেরই ১০টি লক্ষণ, যেগুলোকে এতদিন গুরুত্ব না দিলেও এখন থেকে দিতে হবে বলে বলছেন খোদ চিকিৎসাবিজ্ঞান।
১. ক্রমাগত কাশি বা কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ।
২. আঁচিলে পরিবর্তনের মানে হতে পারে চামড়ার ক্যান্সার।
৩. আন্ত্রিক নিয়মে ক্রমাগতি বিচ্যুতি অর্থাৎ সময়-অসময় না মেনেই যখনতখন মল বা মূত্র ত্যাগ এবং দিনদিন এর পরিবর্তন হতে থাকা।
৪. এমন কালশিটে বা ক্ষত যা সারছে না কিছুতেই। তবে বিষয়টি নির্ভর করবে কোথায় ক্ষত, তার উপরেও। মুখের ঘা হতে পারে মুখে ক্যান্সারের লক্ষণ।
৫. খাবার গিলতে পারা যদি দিন দিন কষ্টকর হতে থাকে, তবে বুঝবেন তা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ।
৬. কোনো কারণ ছাড়াই ওজন ক্রমাগত কমতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৭. মূত্র ত্যাগে ক্রমাগত অনিয়ম মূত্রথলির ক্যান্সারসহ পুরুষদের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার বয়ে আনতে পারে।
৮. কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে কোনো মাংসপিণ্ড গজানো বা বড় হতে থাকাও হতে পারে অনেক ধরনের ক্যান্সারের কারণ।
৯. কোনো কারণ ছাড়া যদি কোনো ধরনের ব্যথায় ভোগেন, তবে তাও হতে পারে ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। তবে এক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনটি কী, তা নির্ভর করবে ব্যথা কোথায়- তার ওপর।
১০. অকারণ রক্তপাত হতে পারে অন্ত্রের ক্যান্সার বা নারীদের জরায়ু কিংবা ঘাড়সহ অন্য যেকোনো ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ, নির্ভর করবে রক্তপাত কোথা থেকে হচ্ছে- তার ওপর।
তাই এ ধরনের কোনো সমস্যায় ভুগে থাকলে তা অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হোন, সুস্থ থাকুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




